নতুন অর্থবর্ষের দ্বিতীয় মাসে দেশের গাড়ি শিল্পের বেশির ভাগ সংস্থা ভাল ব্যবসার মুখ দেখল। যদিও ডিজেল গাড়ি নিয়ে অনিশ্চয়তার প্রভাব যাত্রী গাড়ির বিক্রির উপর একেবারে যে পড়েনি তা নয়। হোন্ডা-র মতো সংস্থার বিক্রি ধাক্কা খেয়েছে গত মাসে। তবে ভাল বর্ষার যে-পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে, তার পরিপ্রেক্ষিতে আগামী দিনে ক্রেতার আগ্রহ বাড়বে বলেই আপাতত আশায় গাড়ি শিল্প।
গত বছরের মে মাসের তুলনায় এ বারের মে-তে দেশের বৃহত্তম গাড়ি সংস্থা মারুতি-সুজুকির বিক্রি সার্বিক ভাবে ১০.৬% বেড়েছে। যা সম্ভব হয়েছে মূলত তাদের নতুন ও দামি গাড়িগুলির হাত ধরেই। যেমন তাদের একটু বড় ধরনের গাড়ির (ইউটিলিটি ভেহিকল ভিতারা ব্রেজা, এস ক্রস, আর্টিগা, জিপসি, গ্র্যান্ড ভিতারা) বিক্রি দ্বিগুণেরও বেশি বেড়ে হয়েছে ১৩,৫৯৬। পাশাপাশি মারুতির ‘কমপ্যাক্ট’ (যেমন সুইফট, এস্টিলো, রিৎজ, ডিজ্যায়ার ও ব্যালেনো) গাড়ির বিক্রি বেড়েছে ১১%।
কিন্তু মারুতির ছোট গাড়ির (যেমন অল্টো, ওয়াগনআর ইত্যাদি) বিক্রি মে মাসে কমেছে প্রায় ৫.৬%।
ডিজেল গাড়ির অনিশ্চয়তার জেরে অন্যতম ভুক্তভোগী মহীন্দ্রা। সার্বিক ভাবে তাদের যাত্রী গাড়ির বিক্রি বেড়েছে ৮%। সংস্থা-কর্তা প্রবীণ শাহেরও আশা, ভাল বর্ষা হলে ক্রেতার আগ্রহ বাড়বে।
মে মাসের হিসেবে উল্লেখযোগ্য ব্যবসা করেছে রেনো ইন্ডিয়া। গত বারের চেয়ে এ বারের মে-তে তাদের বিক্রি ১৩২% বেড়ে হয়েছে ৮৩৪৩। তবে এর মধ্যে হোন্ডার বিক্রি ১৩,৪৩১ থেকে কমে হয়েছে ৯৯৫৪টি। সংস্থা সূত্রের খবর, ডি়জেল গাড়ি নিয়ে অনিশ্চয়তার জেরে হঠাৎ করে পেট্রোল গাড়ির বিক্রি বেড়েছে। কিন্তু সেই চাহিদার সঙ্গে তাল মেলাতে না-পারায় বিক্রি ধাক্কা খেয়েছে।
আবার টাটা মোটরসের সার্বিক ভাবে যাত্রী গাড়ির বিক্রিও কমেছে ১৫%। তবে মূলত নয়া গাড়ি ‘টিয়াগো’র সাফল্যে জেরে তাদের ‘হ্যাচব্যাক’ গাড়ির বিক্রি বেড়েছে ৭%।
তবে যাত্রী গাড়ির চেয়ে পরিস্থিতি ভাল বাণিজ্যিক গাড়ির ক্ষেত্রে। মহীন্দ্রার বিক্রি বেড়েছে ১৫%। এর মধ্যে মাঝারি ও ভারী বাণিজ্যিক গাড়ির ক্ষেত্রে তা ৪৬%। অশোক লেল্যান্ডের হালকা বাণিজ্যিক গাড়ির বিক্রি না-বাড়লেও মাঝারি ও ভারী গাড়ির বিক্রি বেড়েছে ৮%। ভিই কমার্শিয়াল ভেহিকলের বিক্রি বেড়েছে প্রায় ৪৩%। টাটা মোটরসের সার্বিক বাণিজ্যিক গাড়ির বিক্রি বেড়েছে ১৪%। ভাল বর্ষার আশায় রয়েছে কৃষি ক্ষেত্রও। মহীন্দ্রার ট্র্যাক্টর বিক্রি বেড়েছে ১৯.৫%, এসকর্টের ১০%।