ফাইল চিত্র।
টানা ১০ বার বৃদ্ধির পর বুধবার সামান্য কমেছে বিমান জ্বালানি এটিএফের দাম। কিন্তু স্বস্তি ফেরেনি। বিমান সংস্থাগুলিকে কলকাতায় তা কিনতে হবে কিলোলিটার পিছু ১,২৬,৩৬৯.৯৮ টাকায়। যা অস্বাভাবিক বেশি বলেই মনে করে সংশ্লিষ্ট মহল। যে কারণে এ দিনই যাত্রী ভাড়া বাড়াতে দেওয়ার দাবি তুলেছে তারা।
করোনার প্রথম ঢেউয়ের সময়ে বিমান ভাড়া বেঁধে দিয়েছিল কেন্দ্র। পরে কয়েক ধাপে তা কিছুটা বাড়ানো হয়। কিন্তু এখনও কোনও সংস্থা ৪০ মিনিটের নীচের উড়ানে (কর বাদে) ২৯০০ টাকার কম এবং ৮৮০০ টাকার বেশি নিতে পারে না। ইন্ডিগোর সিইও রণজয় দত্ত বলেন, করোনার অনিশ্চয়তার পরে এ বার বিমান শিল্প চড়া জ্বালানির দামে ভুগছে। ভাড়া না-বাড়ালে কোনও সংস্থার পক্ষেই খরচ সামলে ভেসে থাকা সম্ভব নয়।
তার উপরে একাংশের বক্তব্য, ইউরোপীয় ইউনিয়ন এককাট্টা হয়ে রাশিয়ার তেলে নিষেধাজ্ঞা বসাতে পারে বলে বার্তা দিতেই বিশ্ব বাজারে অশোধিত তেল মঙ্গলবার ব্যারেল পিছু ১২৪ ডলার ছাড়িয়েছিল। বুধবার তা ১১৭ ডলারে নামলেও আশঙ্কা থাকছেই, হুমকি বাস্তবায়িত হলে এবং তাতে জোগান কমলে দামের চাপ আরও বাড়বে। বিশেষজ্ঞদের মতে, বিশ্ব বাজারে জ্বালানির চড়া দামই যেখানে ভারত-সহ বিভিন্ন দেশের মূল্যবৃদ্ধিকে ঠেলে তুলে অর্থনীতির অগ্রগতির পথ রুদ্ধ করছে, সেখানে এমন উদ্বেগ অমূলক নয়।
পেট্রল-ডিজ়েল এবং রান্নার গ্যাসের দাম নিয়েও নিশ্চিন্ত থাকা যাচ্ছে না। যদিও বেশ কিছু দিন হল দেশে তেলের দাম স্থির। বরং সম্প্রতি কেন্দ্র উৎপাদন শুল্ক কমানোয় তা কিছুটা কমেছে। কলকাতায় ইন্ডিয়ান অয়েলের পাম্পে এখন পেট্রল ও ডিজ়েল লিটারে যথাক্রমে ১০৬.০৩ টাকা ও ৯২.৭৬ টাকা। গৃহস্থের হেঁশেলের এলপিজিও জুনে বাড়েনি।
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, Twitter এবং Instagram পেজ।