ASSOCHAM

ছোট শিল্পের জন্য ত্রাণের সওয়াল অ্যাসোচ্যামের

সুরাহা হিসেবে তিনটি পদক্ষেপের পরামর্শ দিয়েছে অ্যাসোচ্যাম।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ২৪ মে ২০২১ ০৬:১৪
Share:

প্রতীকী ছবি।

করোনার প্রকোপে সব চেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ছোট-মাঝারি শিল্প (এমএসএমই)। বহু সংস্থা ঝাঁপ বন্ধ করতে বাধ্য হয়েছে, কোথাও হয়েছে ছাঁটাই। বর্তমান পরিস্থিতিতে বিশেষত এই ক্ষেত্রের জন্য আলাদা ত্রাণ প্রকল্প জরুরি বলে মনে করে বণিকসভা অ্যাসোচ্যাম। তাদের মতে, এ জন্য কেন্দ্র ও রাজ্য সরকারকে যৌথ ভাবে কাজ করতে হবে। এগোতে হবে খুব সতর্ক ভাবে। যাতে কি না ছোট শিল্পের চাহিদা বুঝে তাদের কাছে ঠিকমতো সুরাহা পৌঁছনোর ব্যবস্থা করা যায়।

Advertisement

এর আগে গত বছরে ত্রাণ প্রকল্পের অংশ হিসেবে ছোট শিল্পের জন্য বেশ কিছু ঘোষণা করেছিল মোদী সরকার। সম্প্রতি রিজ়ার্ভ ব্যাঙ্কও তাদের কাছে ঋণের টাকা পৌঁছে দিতে জোর দেওয়ার কথা বলেছে। অ্যাসোচ্যামের প্রেসিডেন্ট বিনীত আগরওয়ালের মতে, করোনার প্রথম ঢেউয়ের মতোই দ্বিতীয় ধাক্কাতেও বড় সংস্থাগুলি দ্রুত পরিস্থিতির সঙ্গে মানিয়ে নিতে পারছে। কিন্তু অসুবিধার মুখে পড়ছে ছোট-মাঝারি সংস্থাগুলি। বিশেষত, হোটেল ও আতিথেয়তা শিল্পের মতো পরিষেবা ক্ষেত্রের সঙ্গে যুক্ত সংস্থা, যাদের সরাসরি ক্রেতার সামনে যেতে হয়। কোনও ক্ষেত্রে চাহিদা কমেছে তো কারও আবার পাওনা বাকি। তার উপরে সম্প্রতি কাঁচামালের দামও বিপুল বেড়েছে। যা কিনা চাপ বাড়াচ্ছে এমএসএমই-র উপরে। সব মিলিয়ে ছোট ও বড় শিল্পের মধ্যে অসামঞ্জস্য দেখা দিচ্ছে। এই কারণেই ছোট সংস্থাগুলির জন্য ঠিকমতো পরিকল্পনা করে এগোনো খুব জরুরি বলে জানিয়েছে বণিকসভাটি।

সুরাহা হিসেবে তিনটি পদক্ষেপের পরামর্শ দিয়েছে অ্যাসোচ্যাম। প্রথমত, কোনও বন্ধক ছাড়াই ছোট শিল্পের জন্য কার্যকরী মূলধন খাতে ব্যাঙ্কগুলির ঋণ ২০% বাড়ানো। দ্বিতীয়ত, এমএসএমই-র অনুৎপাদক সম্পদ চিহ্নিত করার পদ্ধতি বদল। তৃতীয়ত, ছোট বিপণি, রাস্তার দোকানের মতো ক্ষেত্রে সরাসরি নগদ দেওয়া বা কার্যকরী মূলধন ঋণ হিসেবে জোগানো। সেই সঙ্গে গত বারের মতো এ বারও গ্রামাঞ্চলে জোর দেওয়ার কথাও বলেছে তারা।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement