—প্রতীকী চিত্র।
খুচরো বাজারে খাদ্যপণ্যের দাম এখনও চড়া। এই পরিস্থিতিতে বুধবার কেন্দ্রীয় কৃষি এবং কৃষক কল্যাণ মন্ত্রক জানাল, গত আর্থিক বছরে চাল, গম, বাজরার মতো প্রধান খাদ্যশস্যগুলির রেকর্ড উৎপাদন হয়েছে দেশে। সবগুলি মিলে তার পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৩৩২২.৯৮ লক্ষ টন। যা তার আগের বছরের থেকে ২৬.১১ লক্ষ টন বেশি। দেশের একাধিক রাজ্যে খরা এবং তাপপ্রবাহ সত্ত্বেও এমন নজিরবিহীন ফলন আশাব্যাঞ্জক।
অর্থনীতিবিদ অভিরূপ সরকার বলেন, ‘‘গত অর্থবর্ষে (২০২৩-২৪) যে খাদ্যশস্য উৎপাদন হয়েছে, সেটাই এই অর্থবর্ষে বাজারে আসবে। কাজেই আশা করা যায়, রেকর্ড উৎপাদনের ইতিবাচক প্রভাব খাদ্যপণ্যের দামে পড়বে। তবে তা অনেকটা নির্ভর করছে ওই সব পণ্য রফতানির ব্যাপারে সরকারি নীতির উপর।’’
এ দিকে, রাজ্যের কৃষি বিপণনমন্ত্রী বেচারাম মান্না জানিয়েছেন, কলকাতা, হাওড়া এবং বিধাননগরের বহু বাজারে আলু, পেঁয়াজ, বেগুন-সহ বিভিন্ন আনাজের দাম বিপুল চড়ার অভিযোগ আসছে। রাজ্য সরকারের গঠিত বিশেষ টাস্ক ফোর্স এবং কৃষি বিপণন দফতর এ ব্যাপারে কড়া নজরদারি চালাচ্ছে। তাঁর দাবি, ‘‘ওই সব বাজারের কিছু অসাধু ব্যবসায়ী বন্যার ছুতো দিয়ে অনেক বেশি দামে খাদ্যপণ্য বিক্রি করছেন। অথচ বন্যা বিপর্যস্ত জায়গা থেকে সেগুলি আসে না।’’ রাজ্যে বাজারদরের থেকে কমে খাদ্যপণ্য বিক্রির জন্য সুফল বাংলার বিপণন কেন্দ্র বাড়ানো হয়েছে বলেও জানান মন্ত্রী। আরও বেশি কেন্দ্র খুলতে বিভিন্ন পুরসভার কাছে জায়গা চেয়েছেন তাঁরা।