—প্রতীকী চিত্র।
গত কয়েক বছরে মাথা গোঁজার জন্য নিজস্ব আস্তানা কেনার খরচ বেড়েছে অনেকটাই। তারপরও দেশের প্রথম সারির সাতটি শহরে (মোট আবাসনের বাজারের ৫১%) এ বছরের জানুয়ারি-মার্চ ত্রৈমাসিকে ফ্ল্যাট-বাড়ির বিক্রি গত এক দশকে সর্বোচ্চ জায়গায় পৌঁছেছে বলে দাবি আবাসন উপদেষ্টা সংস্থা অ্যানারকের। যদিও কলকাতা-সহ কয়েকটি শহরে এই তিন মাসে বিক্রি গত বছরের একই সময়ের চেয়ে কিছুটা কমেছে।
চড়া মূল্যবৃদ্ধির জের পড়েছিল আবাসন ক্ষেত্রেও। কাঁচামালের দাম বেড়ে যাওয়ার সঙ্গে অতিমারির পরে ফ্ল্যাটের চাহিদা বৃদ্ধি— সব মিলিয়ে বছর দু’য়েক আগে থেকে চড়তে শুরু করেছিল তার দামও। অ্যানারক জানাচ্ছে, গত বছরের জানুয়ারি-মার্চের তুলনায় এ বারে ওই সাত শহরে (বৃহন্মুম্বই, পুণে, বেঙ্গালুরু, হায়দরাবাদ, দিল্লি ও রাজধানী সংলগ্ন অঞ্চল, চেন্নাই ও কলকাতা) গড়ে ফ্ল্যাটের দাম বেড়েছে ১০%-৩২%। এর মধ্যে হায়দরাবাদ ও বেঙ্গালুরুতে বৃদ্ধির হার সবচেয়ে বেশি, যথাক্রমে ৩২% ও ২৫%।
তবে দাম বাড়লেও জানুয়ারি-মার্চে বিক্রি ১৪% বেড়েছে বলেও দাবি উপদেষ্টা সংস্থাটির। অ্যানারকের হিসাবে, এই সময়ে বিক্রি হয়েছে ১,১৩,৭৭৫টি সম্পত্তি। সংস্থার চেয়ারম্যান অনুজ পুরী জানান, তা গত এক দশকে সর্বোচ্চ। ১.৫ কোটি টাকা বা তারও বেশি দামি ফ্ল্যাটের উল্লেখযোগ্য চাহিদা বৃদ্ধিও এর অন্যতম কারণ বলে দাবি তাঁদের। যদিও তার চেয়ে কম দামি ফ্ল্যাটের বাজারের ছবিটা আলাদা ভাবে ব্যাখ্যা করেননি তাঁরা।
এ দিকে, ২০১৭-১৮ সালকে ভিত্তি ধরে প্রতি ত্রৈমাসিকে ঋণদাতা সংস্থাগুলির থেকে পাওয়া তথ্যের ভিত্তিতে দেশের ৫০টি শহরে ফ্ল্যাটের দামের হিসাব কষে ন্যাশনাল হাউজ়িং ব্যাঙ্ক-ও (এনএইচবি)। তাদের পরিসংখ্যান বলছে, ২০২২-২৩ অর্থবর্ষের অক্টোবর-ডিসেম্বরের তুলনায় চলতি অর্থবর্ষের অক্টোবর-ডিসেম্বরে সব শহর মিলিয়ে গড়ে দাম বেড়েছে ৪.৭%। তবে কলকাতা ও নিউটাউনে ফ্ল্যাটের দাম বাড়লেও, কমেছে বিধাননগর ও হাওড়ায়।
পরিসংখ্যান
অ্যানারকের হিসাব, দেশের সাতটি বড় শহরে গত বছরের জানুয়ারি-মার্চের তুলনায় এ বছরের জানুয়ারি-মার্চে আবাসনের দাম বেড়েছে ১০%-৩২%।
তবে চাহিদাও সামগ্রিক ভাবে ১৪% বেড়েছে।
আলোচ্য সময়ে বিক্রি হয়েছে ১,১৩,৭৭৫টি সম্পত্তি। যা গত এক দশকের সর্বোচ্চ।
উল্লেখযোগ্য ভাবে বেড়েছে ১.৫ কোটি টাকা বা তার বেশি দামি ফ্ল্যাটের চাহিদা।
কলকাতা-সহ কয়েকটি শহরে ফ্ল্যাটের বিক্রি অবশ্য কমেছে।