প্রতীকী ছবি।
বন্ধুর কাছ থেকে কথাটা শুনে চমকে উঠেছিলেন কর্পোরেট কর্তা। কারণ, তাঁর সংস্থার সঙ্গে সম্পর্কহীন ওই বন্ধু বিশদে সংস্থার বিপণন কৌশল বলে যাচ্ছিলেন! তাজ্জব কর্পোরেট কর্তা জেনেছিলেন, তাঁর সংস্থার কোনও কর্মী ব্যক্তিগত ল্যাপটপ বিক্রি করেছিলেন। সেটাই ঘুরেফিরে পৌঁছেছে তাঁর বন্ধুর হাতে। সেখান থেকেই সম্ভবত ‘ফাঁস’ হয়েছিল বিপণনের গোপন কৌশল।
ডিজিটাল দুনিয়ায় তথ্যের নিরাপত্তা এখন কর্পোরেট সংস্থাগুলির বড় মাথাব্যথা। শুক্রবার ইনফোকমে এই সংক্রান্ত আলোচনায় উঠে এল এমনই সব ঘটনা। কথা হল তথ্যের নিরাপত্তা এবং কর্মীদের নিজস্ব কম্পিউটার বা মোবাইল ব্যবহারের ব্যবস্থার (ব্রিং ইওর ওন ডিভাইস) মধ্যে সমন্বয়ের কথাও।
অনেক সংস্থাই তথ্যের নিরাপত্তার খাতিরে কর্মীদের ব্যক্তিগত যন্ত্রে (ল্যাপটপ, মোবাইল ইত্যাদি) সংস্থার কাজ করতে বা তথ্য সংরক্ষণ করতে দেয় না। কিন্তু ইমামির প্রেসিডেন্ট (আইটি) বেঙ্কট রাও ডামেরার মতে, ব্যবসায় গতি প্রয়োজন। এখন গড়ে প্রত্যেকে তিনটি করে যোগাযোগের যন্ত্র ব্যবহার করেন। তাই বিধিনিষেধ না-চাপিয়ে তথ্যের নিরাপত্তা আরও জোরালো করা প্রয়োজন।
হোন্ডার অপারেটিং হে়ড (আইটি) হিলাল খান বলছেন, সংস্থার কর্মীদের নিজস্ব যন্ত্র ব্যবহার করতে না-দেওয়ার বদলে সংস্থার উচিত কর্মীদের পছন্দমাফিক যন্ত্র দেওয়া।
উঠে এসেছে ভিন্ন মতও। নেটম্যাজিকের সিনিয়র ভিপি সীমা অম্বাস্থা বলছেন, তাঁদের মতো ডেটা সেন্টারের ব্যবসায় এই ধরনের ‘স্বাধীনতা’ দেওয়া শক্ত। কারণ, তথ্যের নিরাপত্তার গোলমাল হলে বড় বিপদ হতে পারে। মাইক্রোসফট কর্তা যতীন্দ্র সিংহ পাবলার দাবি, আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স ও মেশিন লার্নিং তথ্যের নিরাপত্তা আরও জোরদার করবে।