ভিন্ন দৃষ্টিভঙ্গি ছায়া ফেলেনি দাম্পত্যে

দু’জনের দৃষ্টিভঙ্গি এতটাই আলাদা, যে মনে হতে পারে তাঁরা ভিন্ন মেরুর বাসিন্দা। তবুও তাঁদের দাম্পত্যে তার কোনও ছায়া পড়েনি। যেন গণতান্ত্রিক আদর্শের পরাকাষ্ঠা হয়েই স্ব স্ব ক্ষেত্রে দুনিয়া দাপাচ্ছেন সুধা ও নারায়ণমূর্তি।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২৬ মার্চ ২০১৭ ০২:৪৫
Share:

সম্মান: জীবনভর কাজের জন্য বণিকসভা ইন্ডিয়ান চেম্বার অব কমার্সের স্বীকৃতি পেলেন সুধা মূর্তি। সেই উপলক্ষে তাঁর হাতে স্মারক তুলে দিচ্ছেন শিল্পপতি এস কে বিড়লা। শনিবার কলকাতায়। নিজস্ব চিত্র

দু’জনের দৃষ্টিভঙ্গি এতটাই আলাদা, যে মনে হতে পারে তাঁরা ভিন্ন মেরুর বাসিন্দা। তবুও তাঁদের দাম্পত্যে তার কোনও ছায়া পড়েনি। যেন গণতান্ত্রিক আদর্শের পরাকাষ্ঠা হয়েই স্ব স্ব ক্ষেত্রে দুনিয়া দাপাচ্ছেন সুধা ও নারায়ণমূর্তি।

Advertisement

শনিবার ইন্ডিয়ান চেম্বার অব কমার্স (আইসিসি) ও আইসিসি ক্যালকাটা ফাউন্ডেশন সুধা মূর্তিকে তাঁর সারা জীবনের কাজের জন্য সম্মানিত করেছে। তাঁর হাতে স্মারক তুলে দেন শিল্পপতি এস কে বিড়লা। পরে এক প্রশ্নের জবাবে সুধা স্পষ্ট জানান, তাঁর ও তাঁর স্বামী, ইনফোসিস-এর অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা নারায়ণমূর্তির ভিন্ন দষ্টিভঙ্গির কথা। সুধা বিশ্বাস করেন গ্রামীণ ভারতের উন্নয়নে। তাঁর স্বপ্ন, গ্রামের শিশুরা যেন তিন বেলা খাবার পায়। প্রয়োজনীয় পোশাক এবং শিক্ষা শেষে কাজ পায়। আর নারায়ণমূর্তি চান প্রযুক্তির ব্যবহার করে উন্নয়ন। সুধার কথায়, ‘‘ওঁরা মূলত শহরে কাজ করেন।’’ তা হলে তাঁদের মধ্যে দ্বন্দ্ব রয়েছে? মানতে নারাজ সুধার কথায়, ‘‘আমরা আলাদা ভাবে, আলাদা জায়গায় কাজ করি। তাই এই পার্থক্য।’’ আর তখনই যেন গণতন্ত্রের প্রকৃষ্ট উদাহরণ হয়ে ওঠেন তাঁরা।

কবে এ রাজ্যে পা রাখবে ইনফোসিস ফাউন্ডেশন? সুধা বলেন, ‘‘যেখানে ইনফোসিসের অফিস আছে, সেখানে আমরা যাই।’’ তা হলে ইনফোসিস রাজ্যে এলে তাঁরা কি এখানে আসবেন? সুধা সহাস্যে বলেন, ‘‘সেটা তাদের ব্যবসায়িক সিদ্ধান্ত। আমি ব্যবসা বা রাজনীতি, কিছু নিয়েই মন্তব্য করব না।’’

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement