নিজেদের সিংহভাগ মালিকানা ৩৫টি ঋণদাতা ব্যাঙ্কের হাতে তুলে দেওয়ার পরিকল্পনা করেছিল বিপুল ধারে জেরবার রিলায়্যান্স কমিউনিকেশন্স (আর-কম)। সে জন্য ৪৫ হাজার কোটি টাকা ঋণের ৭,০০০ কোটিকে বদলে দেওয়ার কথা ছিল সংস্থার ৫১% শেয়ারে। রিজার্ভ ব্যাঙ্কের নির্দেশ মেনে ঋণ ঢেলে সাজাই ছিল যার উদ্দেশ্য। কিন্তু মঙ্গলবার সংস্থাকে ঘুরিয়ে দাঁড় করাতে সেই পথ বদলানোর কথা ঘোষণা করলেন কর্ণধার অনিল অম্বানী।
তাঁর ঘোষণা অনুযায়ী নতুন এই কৌশলের আওতায় রয়েছে:
• সংস্থার কিছু স্পেকট্রাম, টাওয়ার ও জমি-বাড়ি বেচে প্রায় ৪০ হাজার কোটি টাকা জোগাড়।
• চায়না ডেভেলপমেন্ট ব্যাঙ্কের আর্থিক সাহায্য।
• সংস্থার কিছু শেয়ার লগ্নিকারী সংস্থাকে দিয়ে অর্থ তোলা।
অনিল জানান, ঋণদাতাদের সঙ্গে এ ব্যাপারে নতুন করে চুক্তি হয়েছে আর-কমের। যেখানে রিজার্ভ ব্যাঙ্কের ঋণ ঢেলে সাজার কাঠামো থেকে বেরিয়ে আসছে সংস্থা। ফলে ধারের এতটুকুও শেয়ারে পরিবর্তিত হচ্ছে না। কেউ সংস্থার শেয়ার অধিগ্রহণও করছে না। এমনকী চিনের যে ব্যাঙ্ক পাওনা না-পেয়ে দেউলিয়া আইনের আওতায় তাদের জাতীয় কোম্পানি আইন ট্রাইব্যুনালে টেনে নিয়ে গিয়েছিল, তারাও সংস্থার পুনরুজ্জীবন পরিকল্পনায় তহবিল জোগাতে রাজি। একই সঙ্গে সংস্থার ত্রাতা হিসেবে নতুন লগ্নিকারীর হাত ধরা গিয়েছে বলেও দাবি অনিলের। যদিও সেই নাম জানাননি তিনি।
আগের চুক্তি অনুযায়ী, আর-কমের মালিকানা ব্যাঙ্কগুলির হাতে যাওয়ার সময়সীমা ২৮ ডিসেম্বর। কিন্তু তার দু’দিন আগেই পাশা উল্টোলেন অনিল। দাবি করলেন, ঋণদাতারা এক পয়সাও ধার মকুব করছে না সংস্থার। তা সত্ত্বেও নতুন পথে হেঁটে মার্চের মধ্যেই ঋণ-সমস্যা থেকে পুরোপুরি বেরিয়ে আসতে পারবে আর-কম।