— প্রতিনিধিত্বমূলক ছবি।
দরজায় কড়া নাড়ছে লোকসভা ভোট। তার আগে মহিলা কৃষকদের নগদ অনুদান বাড়িয়ে ১২,০০০ টাকা করা হতে পারে বলে সরকারি সূত্রের খবর।
প্রধানমন্ত্রী কিসান সম্মান নিধি প্রকল্পে এখন মোদী সরকার দেশের সব চাষিকেই বছরে ৬০০০ টাকা দেয়। সংবাদ সংস্থা রয়টার্সের দাবি, জমির মালিকানা থাকা মহিলা চাষিদের ক্ষেত্রে তা দ্বিগুণ করার কথা বিবেচনা করা হচ্ছে বলে খবর দিয়েছে প্রশাসনিক মহলের একাধিক সূত্র।
বিরোধী শিবিরের কটাক্ষ, চড়া মূল্যবৃদ্ধি এবং বেকারত্বের ক্ষতে মলম লাগিয়ে মহিলাদের ভোট টানতে চেষ্টার কসুর করছে না কেন্দ্র। হাতে নগদ বৃদ্ধির ভাবনাচিন্তাও ব্যালট বাক্সের দিকে তাকিয়ে। যে কারণে রান্নার গ্যাসের দাম কমানো হয়েছে। যদিও তা মাত্র ২০০ টাকা কমায় দেশবাসীর লাভ হয়েছে সামান্য। মধ্যপ্রদেশেও মহিলাদের হাতে নগদ জোগানের প্রকল্প সাফল্য এনে দিয়েছে। সূত্র জানাচ্ছে, বাজেটে মহিলা কৃষকদের অনুদান বৃদ্ধির প্রস্তাব থাকতে পারে।
২০১৯-এ গত লোকসভা নির্বাচনের আগে চাষিদের আর্থিক সাহায্যে কিসান সম্মান নিধি এনেছিল মোদী সরকার। তাতে বছরে তিনটি কিস্তিতে মোট ৬০০০ টাকা দেওয়া হয়। তবে যাঁদের নিজস্ব জমি রয়েছে, তাঁরাই শুধু ওই অনুদান পান।
অর্থনীতিবিদ অজিতাভ রায়চৌধুরীর দাবি, মহিলাদের ক্ষমতায়ন লক্ষ্য হলে কেন্দ্র বিভিন্ন কাজে তাঁদের মজুরি পুরুষদের সমান করার ব্যবস্থা করুক। কারণ এখনও বহু ক্ষেত্রে এই বৈষম্য তীব্র। একই কাজে মজুরির ফারাক চোখে পড়ার মতো। মহিলাদের আরও বেশি করে নিয়োগের বন্দোবস্তও করা যেতে পারে। তাতে দীর্ঘকালীন ভিত্তিতে সমস্ত মহিলা কর্মীই উপকৃত হবেন।
দক্ষিণ ২৪ পরগনার ধান ও আনাজ চাষি এবং অল ইন্ডিয়া কিসান ক্ষেত মজদুর সংগঠনের রাজ্য সম্পাদক মণ্ডলীর সদস্য রেণুপদ হালদারের মতে, মোদী সরকার কৃষকদের আয় দ্বিগুণ করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল। কথা রাখেনি। এখন মহিলা কৃষকদের অনুদান বাড়াতে চাইছে। এটা লোক দেখানো চটক ছাড়া কিছু নয়। কারণ, এতে প্রকৃত আয় বাড়বে না। তার উপর জমির মালিকানা থাকা মহিলা কৃষকের সংখ্যা এ দেশে খুবই কম। তাঁর দাবি, বরং সরকারি দামে সকলে যাতে সার, বীজ, কীটনাশক পান, সেটা নিশ্চিত করুক কেন্দ্র।