প্যাকেটের আটা, ময়দা, বিস্কুট, পেস্ট, কেক, সাবান ইত্যাদি ব্যবসা টাকার অঙ্কে বৃদ্ধির মুখ দেখলেও, তার বিক্রির পরিমাণ বৃদ্ধির বদলে কমে গিয়েছে। ফাইল ছবি।
মূল্যবৃদ্ধির হার সামান্য মাথা নোয়ালেও তা যে এখনও দেশের ক্রেতাদের যথেষ্ট মাথাব্যথার কারণ, তা ফের স্পষ্ট হল নতুন সমীক্ষায়। যেখানে বলা হয়েছে, গত অক্টোবর-ডিসেম্বরে স্বল্পমেয়াদি ভোগ্য পণ্যের (প্যাকেটের আটা, ময়দা থেকে শুরু করে বিস্কুট, পেস্ট, কেক, সাবান ইত্যাদি) ব্যবসা টাকার অঙ্কে বৃদ্ধির মুখ দেখেছে ঠিকই। তবে বিক্রির পরিমাণ বৃদ্ধির বদলে কমে গিয়েছে। এবং এখনও কাঁটা সেই ঝিমিয়ে থাকা গ্রামীণ অর্থনীতিই।
চড়া মূল্যবৃদ্ধির ছেঁকায় ক্রেতার হাত যে পুড়ছে, তার ইঙ্গিত গত বছর থেকে নানা ভাবেই প্রকট হচ্ছিল। চা, কফি, বিস্কুটের মতো দৈনন্দিন ব্যবহারের পণ্যের দাম বাড়লেও সেগুলিকে সরিয়ে রাখা যায়নি। তার বদলে মধ্যবিত্ত ক্রেতারা পকেটের চাপ সামলাতে ছোট প্যাকেট বা তা কম পরিমাণে কেনার দিকে ঝোঁকেন। বিশ্লেষক সংস্থা নিয়েলসেন-আইকিউয়ের সমীক্ষা জানিয়েছে, গত অক্টোবর-ডিসেম্বরে স্বল্পমেয়াদি ভোগ্যপণ্যের ব্যবসা টাকার অঙ্কে ৭.৬% বেড়েছে। কিন্তু পরিমাণের হিসাবে সঙ্কুচিত হয়েছে ০.৩%। এর মধ্যে গ্রামীণ বাজারে ব্যবসা এই নিয়ে সঙ্কুচিত হল টানা ছ’টি ত্রৈমাসিকে। গত ত্রৈমাসিকে সঙ্কোচনের হার ২.৮%। শহুরে বাজারে অবশ্য সামান্য হলেও বেড়েছে ব্যবসা, ১.৬%।
বিভিন্ন ধরনের বিপণি থেকে বিক্রি হয় এই সব পণ্য— প্রথাগত কিরানা বা ছোট দোকান কিংবা মলের মধ্যে থাকা বাজার (মিনি, সুপার বা হাইপার মার্কেট) যা মডার্ন ট্রেড বা আধুনিক বিপণন কেন্দ্র বলে পরিচিত ইত্যাদি। সমীক্ষায় দাবি, আধুনিক এই পরিকাঠামোর ক্ষেত্রে ব্যবসা বেড়েছে প্রায় ১২.৬%। কিন্তু প্রথাগত পরিকাঠামোর বিপণন কেন্দ্রে কমেছে। সঙ্কোচনের হার ১.৫%। টানা পাঁচটি ত্রৈমাসিকে ওই ক্ষেত্রে সঙ্কোচন অব্যাহত। তবে সব ক্ষেত্রেই ক্রেতারা ছোট প্যাকেটের দিকেই ঝুঁকে। আর খাবারের মতো পণ্যের চাহিদায় গতি থাকলেও খাবার নয় এমন স্বল্পমেয়াদি ভোগ্যপণ্য ক্রেতাদের অগ্রাধিকারের তালিকায় নেই।