—প্রতীকী চিত্র।
সম্প্রতি গৃহস্থের রান্না করার গ্যাস সিলিন্ডারের দাম ২০০ টাকা কমিয়েছে মোদী সরকার। এর পরে পেট্রল-ডিজ়েলও কমানো হতে পারে বলে যখন প্রত্যাশা বাড়ছে, তখন বিশ্ব বাজারে ফের ৯০ ডলারে উঠল অশোধিত তেলের ব্যারেল। ফলে দেশেও দাম কমার সুযোগ কমল বলেই ধারণা সংশ্লিষ্ট মহলের একাংশের। তবে এই আবহে আর্থিক পরিষেবা সংস্থা জেএম ফিনান্সিয়াল সিকিউরিটিজ় এক রিপোর্টে দাবি করেছে, নভেম্বর-ডিসেম্বরে গুরুত্বপূর্ণ কিছু রাজ্যে বিধানসভা ভোট শুরু। তাতে চোখ রেখে দিওয়ালি নাগাদ পেট্রল-ডিজ়েলের দাম লিটার পিছু ৩-৫ টাকা কমানোর ব্যবস্থা করতে পারে কেন্দ্র। যার বেশিরভাগটাই হতে পারে কেন্দ্রীয় উৎপাদন শুল্ক কিংবা রাজ্যের ভ্যাট কমিয়ে।
রিপোর্টে অবশ্য ইঙ্গিত, সরকার রাষ্ট্রায়ত্ত তেল সংস্থাগুলিকেও দাম কমানোর জন্য চাপ দিতে পারে। কারণ চলতি অর্থবর্ষের প্রথমার্ধে তারা বিপুল মুনাফা করতে পারে বলে অনুমান। জেএম ফিনান্সিয়াল বলেছে, তেলের দাম কমলে মূল্যবৃদ্ধির হাত থেকে কিছুটা রেহাই পাবেন মানুষ। তবে সংস্থাগুলির আয় আবার ধাক্কা পারে বিশ্ব বাজারে অশোধিত তেলের দাম ৮৫ ডলারের উপরে থাকলে ও আগামী ক’মাসের মধ্যে তাদের তেলের দাম কমাতে বাধ্য করা হলে। তাই শুল্ক বা ভ্যাট ছেঁটেই দাম কমানো উচিত, মত রিপোর্টে।
সম্প্রতি তেলমন্ত্রী বলেছেন, বিরোধী রাজ্যগুলি ভ্যাট কমালে কেন্দ্র পরের পদক্ষেপ নিয়ে ভাববে। তবে বিরোধী মহলের একাংশ বলছে, জ্বালানির দামে ক্ষুব্ধ মধ্যবিত্ত ও মহিলা ভোটব্যাঙ্কের মন জিততে মোদীরা গ্যাসের দাম কমিয়েছেন। তেলেও সেই ফায়দা লোটা হবে।