Harsh Goenka

লোক চাই, কিন্তু পাই কোথায়! আক্ষেপ শিল্পপতির

২০১৭-১৮ অর্থবর্ষে জাতীয় পরিসংখ্যান দফতরের রিপোর্টেই বলা হয়েছিল বেকারত্বের হার (৬.১%) চার দশকের সর্বোচ্চ হওয়ার কথা। অতিমারির সময়ে সেই হার আরও বাড়ে।

Advertisement

নিজস্ব প্রতিবেদন

কলকাতা শেষ আপডেট: ২৪ অগস্ট ২০২৩ ০৪:৪৭
Share:

শিল্পপতি হর্ষ গোয়েন্‌কা। —নিজস্ব চিত্র।

অতিমারির আগে থেকেই দেশে বেকারত্বের হার বহু দশকের সর্বোচ্চ। যা নিয়ে মোদী সরকারকে নিয়মিত আক্রমণ করে বিরোধীরা। কিন্তু শিল্পপতি হর্ষ গোয়েন্‌কার দাবি, তাঁর অভিজ্ঞতা অন্য। বাজারে কর্মসংস্থান নিয়ে অভিযোগ ওঠে বটে, কিন্তু তাঁর সংস্থা চেয়েও দক্ষ লোক পায় না। হর্ষের প্রশ্ন, ‘‘মানুষ কি কাজ করতে আগ্রহী নন? খয়রাতির উপরে নির্ভরশালী হয়ে পড়ছেন?’’ সংশ্লিষ্ট মহলের ব্যাখ্যা, এই বক্তব্যের মাধ্যমে কৌশল শিক্ষা সংক্রান্ত বিতর্ককে সামনে নিয়ে এসেছেন শিল্পপতি। কটাক্ষ করেছেন খয়রাতির রাজনীতিকেও।

Advertisement

২০১৭-১৮ অর্থবর্ষে জাতীয় পরিসংখ্যান দফতরের রিপোর্টেই বলা হয়েছিল বেকারত্বের হার (৬.১%) চার দশকের সর্বোচ্চ হওয়ার কথা। অতিমারির সময়ে সেই হার আরও বাড়ে। সাম্প্রতিক অতীতেও বিভিন্ন পরামর্শদাতা সংস্থা শহর ও গ্রামের কাজের বাজার নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। আবার একই সঙ্গে কাজের চাহিদার সঙ্গে দক্ষতার সামঞ্জস্যহীনতার প্রসঙ্গ উঠে আসছে। এই অবস্থায় সম্প্রতি সামাজিক মাধ্যমে হর্ষ লিখেছেন, ‘‘দেশের মানুষ বেকারত্ব নিয়ে অভিযোগ করেন। আমার সমস্যা নিজের ব্যবসায় দক্ষ লোক না পাওয়া। আমরা নির্মাণকর্মী চাইছি। অথচ যথেষ্ট সংখ্যায় পাচ্ছি না। ট্রাক চালক খুঁজছি। বিপুল ঘাটতি। খুঁজছি কৃষি কর্মী। অথচ পাওয়া যাচ্ছে না। সমাধান জানা নেই।’’ উপায় খুঁজতে গিয়ে তাঁর জিজ্ঞাসা, ‘‘কর্মীর চাহিদা কমাতে কি আরও বেশি যন্ত্রের ব্যবহার প্রয়োজন? নাকি খয়রাতির উপরেই বেঁচে থাকতে চান মানুষ? কৌশল শিক্ষার ক্ষেত্রে কি আমাদের আরও কিছু করা দরকার? এমন কোনও ডিজিটাল প্ল্যাটফর্ম কি প্রয়োজন, যার মাধ্যমে নিয়োগকারী এবং কর্মী উভয়পক্ষ উপকৃত হবেন?’’

সম্প্রতি প্রধানমন্ত্রীর আর্থিক উপদেষ্টা পর্ষদের সদস্য বিবেক দেবরায়ও দক্ষ কর্মীর অভাবের কথা তুলে ধরেছিলেন। বলেছিলেন, অনেক তথাকথিত এমবিএ উত্তীর্ণরই শপিং মলের বাইরের কাউন্টার সামলানোর চেয়ে বেশি যোগ্যতা নেই।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement