এফআরএল-কে কিনতে যে ৪৯টি সংস্থা ইচ্ছেপত্র জমা দিয়েছে, তার অন্যতম মুকেশের রিলায়্যান্স ইন্ডাস্ট্রিজ়ের রিলায়্যান্স রিটেল ভেঞ্চার্স। ফাইল ছবি।
ফিউচার রিটেলকে (এফআরএল) কিনে নেওয়ার দৌড়ে অনেকখানি এগিয়েও পিছোতে হয়েছিল মুকেশ অম্বানীকে। তবে কিশোর বিয়ানির দেউলিয়া হয়ে যাওয়া খুচরো ব্যবসার সংস্থাটিকে ঝুলিতে ভরার উৎসাহে ভাটা পড়েনি। সূত্রের খবর, এফআরএল-কে কিনতে যে ৪৯টি সংস্থা ইচ্ছেপত্র জমা দিয়েছে, তার অন্যতম মুকেশের রিলায়্যান্স ইন্ডাস্ট্রিজ়ের রিলায়্যান্স রিটেল ভেঞ্চার্স। আগ্রহ প্রকাশ করেছে প্রতারণার অভিযোগে বিদ্ধ আদানি গোষ্ঠীও। বাকিদের মধ্যে রয়েছে জিন্দল পাওয়ার, সেঞ্চুরি কপার কর্প, গ্রিনটেক ওয়ার্ল্ড ওয়াইড, পিনাক্ল এয়ার ইত্যাদি। সংশ্লিষ্ট মহলের মতে, বিগ বাজারের মতো খুচরো বিক্রির বিরাট চেন এ ক্ষেত্রে ব্যবসা বিস্তারে ইচ্ছুকদের কাছে লোভনীয়। ফলে প্রতিযোগিতা হতে পারে তীব্র।
ফিউচার গোষ্ঠীর ১৯টি সংস্থা ব্যবসা করে খুচরো ও পাইকারি বিপণন, পণ্য পরিবহণ, মজুতের। এর মধ্যে ফিউচার রিটেল খুচরো বিক্রি চালায় বিগ বাজ়ার, ইজ়িডে, ফুডহল-এর মতো ব্র্যান্ড নামে। ৪৩০টি শহরে রয়েছে ১৫০০টি বিপণি। ২০২০-তে ওই ১৯টি সংস্থাকে ২৪,৭১৩ কোটি টাকায় কিনতে চুক্তি করে রিলায়্যান্স। কিন্তু তা আটকে যায় ফিউচারের অন্য অংশীদার অ্যামাজ়নের সঙ্গে আইনি ঝামেলায়। শেষে ফিউচার গোষ্ঠীর ঋণদাতারা সেই চুক্তি খারিজ করে।
ঋণদাতাদের বকেয়া শোধে অপারগ ফিউচার রিটেলকে এখন দেউলিয়া আইনে চাঙ্গা করার চেষ্টা চলছে। নিযুক্ত হয়েছেন রেজ়লিউশন প্রফেশনাল। মাস চারেক আগে অবশ্য এফআরএল পুনরুজ্জীবনের পরিকল্পনা ব্যর্থ হয়েছিল। সূত্রের দাবি, সে বারও রিলায়্যান্স, আদানি-সহ ১১টি সংস্থা ইচ্ছেপত্র দেয়। কিন্তু কোনও পুনরুজ্জীবন পরিকল্পনা জমা পড়েনি। তার পরেই ঋণদাতাদের কমিটি ইচ্ছেপত্র জমার ক্ষেত্রে দু’টি বিকল্প ঘোষণা করে। এক, পুরো ফিউচার রিটেলকে কেনা। দুই, সংস্থাটির ব্যবসাকে ভাগ করা পাঁচটি ক্লাস্টার বা গুচ্ছের কোনও একটিকে বা একাধিক গুচ্ছকে চাঙ্গা করার প্রস্তাব দেওয়া। নতুন করে এফআরএলের জন্য ইচ্ছুক ক্রেতার আগ্রহপত্র চাওয়া হয় গত ২৩ মার্চ। তা জমা দেওয়ার শেষ তারিখ ছিল ৭ এপ্রিল।