—প্রতীকী চিত্র।
উৎসব পার করে বিয়ের মরসুম, কৃষিতে আয়ের ধারাবাহিকতা, দু’চাকার গাড়ি বাজারের চাকা ঘোরা এবং সর্বোপরি যাত্রিবাহী গাড়ির নজিরবিহীন বিক্রি— সব মিলিয়ে দেশের খুচরো গাড়ি বাজারের পক্ষে নতুন বছরের শুরুটা যথেষ্ট ইতিবাচক হল। কিন্তু সেই আলোর রোশনাইয়ের মধ্যেও কিছু সংশয় ও ঝুঁকির কথা উঠে এল বিক্রেতাদের (ডিলার) সংগঠন ফাডা-র বক্তব্যে। সেই সঙ্গে বাজারের অনিশ্চয়তা, যন্ত্রাংশ জোগানের সমস্যা ও নগদের জোগানের ওঠাপড়ার মতো সংশয়ও রয়েছে বিক্রেতামহলে।
অতিমারির পরে যাত্রিবাহী গাড়ির বিক্রি বাড়লেও বিশেষ করে কম দামি যাত্রিবাহী এবং দু’চাকার গাড়ির চাহিদা বিপুল ধাক্কা খাওয়ায় উদ্বেগ তৈরি হয়। গত বছর থেকে অবশ্য সার্বিক ভাবে চাকা ঘুরতে শুরু করে। মঙ্গলবার জানুয়ারিতে শোরুম থেকে বিক্রির পরিসংখ্যান প্রকাশ করে ফাডা জানিয়েছে, গত বছরের জানুয়ারির চেয়ে এ বারে সার্বিক গাড়ি বিক্রি ১৫% বেড়েছে। ফাডার প্রেসিডেন্ট মণীশ রাজ সিঙ্ঘানিয়া জানান, গত মাসে যাত্রিবাহী গাড়ি বিক্রি হয়েছে ৩.৯৩ লক্ষেরও বেশি। যা নতুন নজির। বৃদ্ধির গতিপথে ফিরেছে দু’চাকার বাজারও। তবে পরিকাঠামো উন্নয়ন-সহ আর্থিক নানা ইতিবাচক দিক যেমন বাণিজ্যিক গাড়ির বাজারে কিছুটা ইন্ধন জুগিয়েছে, তেমনই কোথাও কোথাও বিরূপ আবহাওয়া, নগদের জোগানে টান, গাড়ির চড়া দাম ও ঋণ বণ্টনে রাশ বাধাও তৈরি করেছে।
ফাডা-র বক্তব্য, উৎসবের মরসুমে গাড়ির চাহিদা বজায় থাকা, নতুন গাড়ি বাজারে আসা, সহায়ক সরকারি নীতি, ভবিষ্যতের সম্ভাবনাময় বাজার— এই সব অবশ্যই ইতিবাচক দিক। কিন্তু সেই সঙ্গে রয়েছে একাধিক চ্যালেঞ্জ এবং বাজারের পরিস্থিতির জটিলতা। মণীশ জানান, চাহিদা থাকা সত্ত্বেও তাঁদের ভাঁড়ারে গড়ে ৫০-৫৫ দিনের যাত্রিবাহী গাড়ি মজুত থাকছে। গাড়ি সংস্থাগুলি বাজারের পরিস্থিতি বুঝে জোগান না দিলে অদূর ভবিষ্যতে বাড়তি মজুতের চাপ তৈরি হতে পারে। এ ছাড়াও ফাডা-র আশঙ্কা, ভোট মরসুমে সতর্ক পদক্ষেপ করতে পারেন ক্রেতারা। গাড়ি কেনার সিদ্ধান্তে তার বিরূপ প্রভাব পড়তে পারে। তা ছাড়া বিভিন্ন ধরনের গাড়ির যন্ত্রাংশের জোগান এখনও মসৃণ নয়। বহাল নগদের জোগানের ওঠাপড়াও। তা অতিক্রম করে বিক্রি বাড়াতে ক্রেতাদের ঋণ দেওয়ার ক্ষেত্রে জোর দেওয়া জরুরি বলে মনে করে ফাডা।