প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। —ফাইল চিত্র।
তেল-গ্যাস থেকে শুরু করে চাল-ডাল-আনাজের দামে কাপুঁনি ধরছে মানুষের। এর মধ্যেই শুক্রবার গত ন’বছরে দেশের নাগরিকদের আয় তথা আর্থিক উন্নতির ছবি তুলে ধরে ২০৪৭ সালের মধ্যে উন্নত দেশ হয়ে ওঠার বার্তা দিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। তার স্বপক্ষে যুক্তি হিসেবে তুলে আনলেন এসবিআই রিসার্চ-সহ একাধিক রিপোর্টকে। যা বলছে, গত ন’বছরে দেশে বিশেষত মধ্যবিত্ত এবং নিম্ন-মধ্যবিত্তের আয় বেড়েছে বিপুল হারে। গড় আয় ২০১৪ সালের ৪.৪ লক্ষ টাকার থেকে বেড়ে এ বছরে হয়েছে ১৩ লক্ষ টাকা। মাথা তুলেছে আয়করের রিটার্ন জমাও।
মোদীর দাবি, এই ছবি এক দিকে আয় বৃদ্ধি ও অন্য দিকে নিয়ম মানার প্রবণতারই প্রকাশ। যার হাত ধরে ২০৪৭ সালের মধ্যে দেশ ‘বিকশিত ভারতে’ পরিণত হবে। তবে এ দিনই ভারতের রেটিং লগ্নিযোগ্যতার শেষ ধাপে (Baa3) ধরে রেখেছে মুডি’জ়। কোন দেশকে ঋণ দেওয়া কতটা ঝুঁকির, তারই মাপকাঠি এই রেটিং। মুডি’জ়ের মতে, মূলত সরকারি ঋণ বৃদ্ধি, ৭-১০ বছর ধরে আর্থিক বৃদ্ধির গতি ক্ষমতার তুলনায় কম হওয়া (এর মধ্যে গত ৯ বছর মসনদে রয়েছে মোদী সরকার) এবং দেশে রাজনৈতিক অস্থিরতাই মূল্যায়ন নিচুতে ধরে রাখার কারণ।
সংশ্লিষ্ট মহলও মনে করাচ্ছে, সংসদে অর্থ মন্ত্রকের পেশ করা তথ্য বলছে গত অর্থবর্ষে দেশে ৭.৪ কোটি মানুষ আয়কর রিটার্ন জমা দিয়েছেন ঠিকই। কিন্তু এর মধ্যে ৭০% কর দেন না। করোনার মধ্যেও তিন বছর আগে তা ছিল ৪৫%। এটা মূলত মানুষের আয় কমার ছবিই তুলে ধরে। ফলে শুধু রিটার্নের সংখ্যার বিচারে ভারত এগোচ্ছে বলা যায় কি, প্রশ্ন তাদের।