ফাইল ছবি
স্পেকট্রাম নিলাম শেষ হয়েছে সোমবার। দেশ জুড়ে চলছে ৫জি আনার তোড়জোড়। বাজারে কাদেরটা আগে আসবে, তা নিয়ে চর্চা শুরু হতে না হতেই বুধবার ভারতী এয়ারটেল জানিয়ে দিল, চলতি মাস থেকেই ধাপে ধাপে নতুন পরিষেবা চালুর পরিকল্পনা রয়েছে তাদের। সেই লক্ষ্যে প্রয়োজনীয় যন্ত্রাংশের পরিকাঠামো (নেটওয়ার্ক) তৈরির জন্য তিনটি বহুজাতিক সংস্থার সঙ্গে গাঁটছড়া বেঁধেছে তারা।
আশা-আশঙ্কার দোলাচলের মধ্যে দিয়ে শুরু হওয়া ৫জি-র স্পেকট্রাম নিলাম পর্বে এ বার ভাল সাড়া মিলেছে বলে দাবি কেন্দ্রের। দৌড়ে রিলায়্যান্স জিয়ো এগিয়ে। তার পরেই রয়েছে এয়ারটেল। বিভিন্ন ব্যান্ডের প্রায় ২০ হাজার মেগাহার্ৎজ় স্পেকট্রাম কিনতে তারা ৪৩,০৮৪ কোটি টাকা খরচ করেছে। টেলিকমমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব বলেছিলেন, এ মাসের গোড়াতেই টেলি সংস্থাগুলিকে স্পেকট্রাম বরাদ্দ করা হবে। অক্টোবর থেকে ধাপে ধাপে দেশে চালু হবে ৫জি পরিষেবা। তবে এ দিন এয়ারটেলের এমডি-সিইও গোপাল ভিত্তল বলেন, ‘‘সংস্থা অগস্ট থেকেই ৫জি চালু করবে। নেটওয়ার্ক সংক্রান্ত চুক্তিগুলি সম্পূর্ণ হয়েছে।’’
সংস্থা সূত্রের খবর, এরিকসন এবং নোকিয়ার পাশাপাশি স্যামসাঙের সঙ্গেও নেটওয়ার্কের যন্ত্রাংশের জন্য গাঁটছড়া বেঁধেছে এয়ারটেল। তবে শুরুতে সব জায়গায় (যেখানে তারা ৫জি স্পেকট্রাম নিয়েছে) এক সঙ্গে চালু হবে, এমন নয়। বরং ধাপে ধাপে তা বিস্তৃত হবে। এর আগে এয়ারটেল দাবি করেছিল, ৪জি পরিকাঠামো ব্যবহার করে পরীক্ষামূলক ভাবে ৫জি পরিষেবা দিয়েছে তারা। জিয়ো এবং ভোডাফোন আই়ডিয়া (ভি) অবশ্য তা চালুর বিষয়টি স্পষ্ট করেনি।
এ দিকে, মাসুল বৃদ্ধির জেরে চলতি অর্থবর্ষের প্রথম ত্রৈমাসিকে (এপ্রিল-জুন) ভি-র লোকসান আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় সামান্য কমেছে। গ্রাহক পিছু আয় ১২৪ টাকা থেকে বেড়ে হয়েছে ১২৮ টাকা।
সংসদে টেলি প্রতিমন্ত্রী দেবুসিন চহ্বান জানান, দেশীয় প্রযুক্তিতে তৈরি ৫জি পণ্য, অ্যাপ ইত্যাদি পরীক্ষার জন্য ২২৪ কোটি টাকা ব্যয়ে বিশেষ পরিকাঠামো তৈরি করা হয়েছে।