কেটে গিয়েছে প্রায় এক বছর। কেন্দ্রের আঞ্চলিক উড়ান প্রকল্পে কলকাতা থেকে ছোট বিমান চালানোর কথা ছিল ডেকানের। কিন্তু তারা সেই পরিষেবা শুরুই করেনি। শনিবার কলকাতায় এসে বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান গুরুপ্রসাদ মহাপাত্র বলে গেলেন, ‘‘ডেকানকে আরও মাস দুয়েক সময় দেওয়া হয়েছে। এটাই শেষ। তার মধ্যেও উড়ান চালু না হলে এই বরাত বাতিল করে নতুন দেওয়া হবে।’’
কলকাতা থেকে অন্ডাল, কোচবিহার, জামশেদপুর, বার্নপুর ও রৌরকেল্লায় ছোট বিমান চালানোর বরাত পেয়েছিল ডেকান। ঠিক হয়েছিল, প্রকল্পটির আওতায় ভর্তুকি নিয়ে এই সব ছোট ছোট শহরে উড়ান চালাবে ক্যাপ্টেন গোপীনাথের সংস্থা। আর তাদের হাত ধরেই পূর্ব ভারতে পরিষেবা দেবে ১৮ আসনের বিমান।
অথচ ২০১৭ সালের সেপ্টেম্বরের পরে বার বার সেই পরিষেবা চালু করতে ব্যর্থ হয় ডেকান। কলকাতা থেকে উত্তর-পূর্ব ভারতেও এই প্রকল্পে উড়ান চালানোর বরাত পেয়েছিল তারা। কিন্তু মাঝে এক মাসের জন্য কলকাতা-ডিমাপুর রুটে উড়ান চালিয়ে তা তুলে নেওয়া হয়। সংস্থা সূত্রের খবর, নাসিকে একটি বিমান বসে যাওয়ায় কলকাতারটি সেখানে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। কিন্তু সেই বিমান আর ফিরে আসেনি।
কলকাতা থেকে কোচবিহার-সহ আশেপাশের শহরে উড়ান চালুর প্রসঙ্গে ডেকানের এক কর্তা জানান, ছোট বিমানবন্দরগুলির মধ্যে শুধু কোচবিহার ও অন্ডালেরটি চালু রয়েছে। বাকিগুলি সম্পূর্ণ হয়নি। এই অবস্থায় একটি বিমান নিয়ে এলেও, সেটিকে বসিয়ে রাখতে হবে। লোকসান হবে সংস্থার। তবে সূত্রের দাবি, শেষ সুযোগের হুঁশিয়ারির মুখে দাঁড়িয়ে এ বার মাস খানেকের মধ্যেই কলকাতায় একটি বিমান আনার সিদ্ধান্ত নিয়েছে তারা।