উত্তর-পূর্বে উড়ান চালাতে আগ্রহী এয়ার-এশিয়া ইন্ডিয়া

উত্তর-পূর্ব ভারতে উড়ান চালাতে চায় এয়ার- এশিয়া ইন্ডিয়া। বৃহস্পতিবার বেঙ্গালুরুতে এমনই ঈঙ্গিত দিলেন এয়ার-এশিয়ার কর্তা টনি ফার্নান্ডেজ। তবে, কবে থেকে এই উড়ান শুরু হবে সে নিয়ে স্পষ্ট করে কোনও দিনক্ষণের কথা তিনি জানাননি। আপাতত আরও কয়েকটি বিমান আসার অপেক্ষায় রয়েছেন। তারপর উত্তর-পূর্ব ভারত- সহ অন্যান্য নতুন রুটে উড়ান চালাতে শুরুর পরিকল্পনা রয়েছে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ০৪ জুলাই ২০১৪ ০২:০৪
Share:

এয়ার-এশিয়া ইন্ডিয়ার পরিষেবা শুরুর উদ্যাপনে বেঙ্গালুরুতে সংস্থার সিইও টনি ফার্নান্ডেজ (মাঝে)। ছিলেন রতন টাটাও। ছবি: পিটিআই।

উত্তর-পূর্ব ভারতে উড়ান চালাতে চায় এয়ার- এশিয়া ইন্ডিয়া। বৃহস্পতিবার বেঙ্গালুরুতে এমনই ঈঙ্গিত দিলেন এয়ার-এশিয়ার কর্তা টনি ফার্নান্ডেজ। তবে, কবে থেকে এই উড়ান শুরু হবে সে নিয়ে স্পষ্ট করে কোনও দিনক্ষণের কথা তিনি জানাননি। আপাতত আরও কয়েকটি বিমান আসার অপেক্ষায় রয়েছেন। তারপর উত্তর-পূর্ব ভারত- সহ অন্যান্য নতুন রুটে উড়ান চালাতে শুরুর পরিকল্পনা রয়েছে।

Advertisement

গত ১২ জুন ভারতের আকাশে ডানা মেলে ইতিমধ্যেই হইচই ফেলে দিয়েছে কম খরচের এই বিমানসংস্থা। ভারতের টাটা গোষ্ঠী এবং টেলস্ট্রা ট্রেডপ্লেস-এর সঙ্গে গাঁটছড়া বেঁধে দেশের অভ্যন্তরীণ আকাশে নতুন এই বিমান পরিষেবার সূচনা করেছেন টনি। বেঙ্গালুরু থেকে প্রথমে গোয়া, তারপরে চেন্নাইয়ে উড়ান চালাতে শুরু করেছে তাঁর সংস্থা। অদূর ভবিষ্যতে কোচিতেও উড়ান চালানোর কথা ঘোষণা করা হয়েছে। বেঙ্গালুরু-গোয়া রুটে ৯০০ টাকা, কোচি রুটে ৫০০ টাকায় বিমান টিকিট বিক্রি করছে এয়ার এশিয়া ইন্ডিয়া। যে কারণে তীব্র প্রতিযোগিতার মুখে পড়েছে ভারতের আকাশ দাপিয়ে বেড়ানো সস্তার দুই বিমানসংস্থা ইন্ডিগো এবং স্পাইসজেট। এয়ার এশিয়া ইন্ডিয়ার চাপে তারাও টিকিটের দাম কমাতে বাধ্য হচ্ছে।

কম দামের টিকিট প্রসঙ্গে এ দিন টনি জানান, বিমান জ্বালানির উপরে কেন্দ্র এবং রাজ্য সরকারগুলি যে কর নেয় তা অবিলম্বে কম করা উচিত। তাতে টিকিটের দাম কমবে। বিভিন্ন বিমানবন্দরে যে কর নেওয়া হয় তা-ও তুলনায় অনেক বেশি বলে মন্তব্য করেছেন তিনি। এই কর কমলে কমে যাবে টিকিটের দাম। তার ফলে আরও অনেক বেশি মানুষ নিয়মিত বিমানে যাতায়াত করতে পারবেন। তাঁর কথায়, “আমি তো প্রতিযোগী সংস্থাগুলিকেও বলতে চাই, সবাই মিলে যদি টিকিটের দাম কমাতে পারি, তা হলে আরও অনেক ভারতীয়কে বিমানে চড়ার সুযোগ করে দিতে পারব আমরা।” এ দিনের অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন রতন টাটাও। তাঁরও মতে, ভারতের এত জনসংখ্যা, অথচ তার খুব কম সংখ্যক মানুষই বিমানে চড়ার সুযোগ পান। ফলে, বিমান পরিষেবা সংস্থাগুলির ব্যবসা বাড়ানোর অনেক সুযোগ রয়েছে।

Advertisement

কিন্তু, এত সস্তায় টিকিট বিক্রি করে সংস্থা কি টিঁকতে পারবে?

টনি জানিয়েছেন, এই মূহূর্তে এয়ার এশিয়া ইন্ডিয়া লোকসানে চলছে। তাঁরা প্রথমে ভেবেছিলেন এই বছরের অক্টোবর মাসের মধ্যেই না লাভ-না ক্ষতির জায়গায় পৌঁছে যাবেন। কিন্তু এখন ওই জায়গায় পৌঁছতে মনে হচ্ছে ডিসেম্বর পর্যন্ত গড়িয়ে যাবে। অক্টোবর মাসের মধ্যে পাঁচটি নতুন বিমান কেনার কথা ছিল তাঁদের। সেগুলিও আসছে না বলে জানিয়েছেন সিইও মিত্তু চান্ডিল্য। তবে নতুন এই সংস্থার জন্য খুব তাড়াতাড়িই আরও বেশি বিমান নিয়ে আসা হবে বলে আশ্বাস দিয়েছেন টনি।

গত মাসে এয়ার-এশিয়া ইন্ডিয়া বেঙ্গালুরু-গোয়া রুটে যে উড়ান চালু করেছে, সেখানে সস্তার টিকিটের জন্য বিপুল সাড়া পেয়েছেন বলে জানিয়েছেন টনি। তাঁর দাবি, খুব ভাল যাত্রী পাচ্ছেন।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement