বিমান পরিষেবা সংস্থার প্রতিষ্ঠা। আর বর্ণময় জীবন। দু’দিক থেকেই মিলের কারণে প্রায়ই তাঁর তুলনা টানা হয় ভার্জিন এয়ারের কর্ণধার রিচার্ড ব্র্যানসন ও কিংফিশার এয়ারের প্রতিষ্ঠাতা বিজয় মাল্যের সঙ্গে। আর এ বার সিবিআই তদন্তের আতসকাচে সেই ‘মালয়েশীয় মাল্য’ টনি ফার্নান্ডেজের নামও।
এয়ার এশিয়ার প্রতিষ্ঠাতা তথা কর্ণধার টনির বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছে সিবিআই। অভিযোগ, এ দেশে টাটাদের সঙ্গে গাঁটছড়া বেঁধে বিমান পরিষেবা চালুর জন্য সরকারি আধিকারিকদের সঙ্গে যোগসাজশে নিয়ম শিথিলের চেষ্টা করেছিলেন তিনি। তদন্ত সংস্থাটির এফআইআরে নাম রয়েছে এয়ার এশিয়া ইন্ডিয়ার ডিরেক্টর আর বেঙ্কটরমন-সহ কয়েক জন কর্পোরেট কর্তা ও সরকারি আধিকারিকের। মালয়েশিয়ার বাসিন্দা টনি অবশ্য ভারতে নেই। আসেন কখনও-সখনও। তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ইন্টারপোলের সাহায্য নিতে পারে সিবিআই।
ঠিক কোন নিয়ম বদল প্রভাবিত করার চেষ্টার জন্য এই মামলা দায়ের, তা স্পষ্ট করেনি সিবিআই। তবে সংশ্লিষ্ট সূত্রে খবর, অভিযোগ মূলত ‘৫/২০ নিয়ম’ বদলের চেষ্টার।
এয়ার এশিয়া ইন্ডিয়া যখন দেশে ডানা মেলার চেষ্টা চালাচ্ছে, তখন নিয়ম ছিল, এখান থেকে আন্তর্জাতিক উড়ান শুরুর জন্য অন্তত পাঁচ বছর উড়ান চালানোর অভিজ্ঞতা থাকতে হবে। থাকতে হবে কমপক্ষে ২০টি বিমান। শোনা যাচ্ছে, এই নিয়ম শিথিলেরই নাকি চেষ্টা করেন টনি। এয়ার এশিয়ার অন্যান্য কয়েকটি শাখার বিমানকে দেখাতে চেয়েছিলেন এয়ার এশিয়া ইন্ডিয়ার বিমান হিসেবে। অভিযোগ বিদেশি লগ্নির নিয়ম ভাঙারও। প্রশ্ন উঠছে, আসলে কি তাদের শেয়ার ৪৯ শতাংশের বেশি? যেখানে বিদেশি লগ্নির ঊর্ধ্বসীমা ৪৯%। উল্লেখ্য, এর আগে এয়ার এশিয়া ইন্ডিয়ায় বেআইনি লেনদেনের অভিযোগ তোলেন টাটা গোষ্ঠীর বিতাড়িত চেয়ারম্যান সাইরাস মিস্ত্রি।