প্রতীকী ছবি
করোনার তৃতীয় ঢেউয়ের চোখরাঙানি থাকলেও, ছন্দে ফিরছে কাজকর্ম। উৎসবের মরসুমে চাহিদা বৃদ্ধির আশায় বুক বাঁধছে শিল্প। এমন সময় ফের মানুষের দুশ্চিন্তা বাড়াল ডিজ়েল। মাস দুয়েক পরে শুক্রবার আবার বাড়ল গণ-পরিবহণের এই জ্বালানির দাম। কলকাতায় ইন্ডিয়ান অয়েলের পাম্পে লিটার পিছু ২১ পয়সা বেড়ে তা হয়েছে ৯১.৯২ টাকায়। সংশ্লিষ্ট মহলের মতে, মূল্যবদ্ধি এখনও চড়া। অনেক পণ্যের দামই স্বস্তি পাওয়ার জায়গায় নামেনি। ফলে ফের তেলের দাম বৃদ্ধিতে আশঙ্কা তৈরি হয়েছে। পেট্রলের দাম অবশ্য স্থির। কলকাতায় আইওসি-র পাম্পে লিটার ১০১.৬২ টাকা। শনিবার অবশ্য জ্বালানির দাম একই রয়েছে।
বিশ্ব বাজারে অশোধিত তেল অগস্টে ব্যারেলে ৭০ ডলারের নীচে নামার পরে দেশে পেট্রল-ডিজ়েলের দামে দ্রুত কিছুটা সুরাহা দেওয়ার দাবি ওঠে। অভিযোগ তোলা হয়, অশোধিত তেল চড়া হলে যত দ্রুত ও যতটা বেশি হারে দেশে জ্বালানি দামি হয়, উল্টোটা হলে দাম কমে না ততটা। সংশ্লিষ্ট মহল বলছে, ফের সেটাই সত্যি হল। অশোধিত তেল ৭৭ ডলার পেরোতেই দাম বাড়ল ডিজ়েলের। যদিও তেল সংস্থাগুলির দাবি, অশোধিত তেলের দর সম্প্রতি বাড়লেও, ভারতে দাম বাড়েনি। কিন্তু দেশে পেট্রোপণ্যের দাম হিসাব করতে আমদানিকৃত পেট্রল বা ডিজ়েলের খরচও ধরা হয়। বিশ্ব বাজারে সেই ডিজ়েল চড়েছে।
এ দিকে এই দিনই গাড়ি শিল্পকে কার্যত হুঁশিয়ারি দিয়ে সড়ক পরিবহণ মন্ত্রী নিতিন গডকড়ি ফের বলছেন, জ্বালানির আমদানি খরচ কমাতে সংস্থাগুলিকে ‘ফ্লেক্স-ইঞ্জিন’ (পেট্রলের সঙ্গে ইথানল বা মিথানল মিশিয়ে) তৈরিতে বাধ্য করতে তিন-চার মাসের মধ্যে নির্দেশিকা প্রকাশ করবেন তিনি।