—প্রতীকী চিত্র।
দেশ জুড়ে নগরায়নের কারণে ফ্ল্যাট-বাড়ির চাহিদা দ্রুত চড়বে বলে জানিয়েছে আর্থিক সমীক্ষা। দাবি করেছে, কোভিডের পরে বহু মানুষের নিজস্ব আস্তানা তৈরির সাধ বাড়ায় এই ক্ষেত্রের ভবিষ্যৎ উজ্জ্বল। তবে হুঁশিয়ারি, মাঝপথে থমকানো বিভিন্ন প্রকল্প আবাসন ক্ষেত্রের বড় চ্যালেঞ্জ। যার অবিলম্বে সমাধান জরুরি।
সমীক্ষায় বলা হয়েছে, জিডিপিতে আবাসনের অংশীদারি ৭ শতাংশের বেশি। এতেই স্পষ্ট অর্থনীতিতে এর প্রভাব। পাশাপাশি লাগাতার নগরায়ন এবং দেশবাসীর বাড়তে থাকা নিজস্ব আস্তানার আকাঙ্ক্ষায় ভর করে ক্ষেত্রটি ফুলেফেঁপে উঠছে। ২০১১ সালে যেখানে শহুরে এলাকায় ৩১% মানুষ থাকতেন, সেখানে ২০৫০-এর মধ্যে দেশের অর্ধেকই বাস করবেন সেখানে। তাই এর সঙ্গে পাল্লা দিয়ে সরকারকে পরিকল্পনা ছকতে হবে। গড়তে হবে সাধারণ মানুষের সাধ্য অনুযায়ী আস্তানা। ভবিষ্যতে এমন ফ্ল্যাট-বাড়ি এবং সহজে ঋণের সুবিধার উপরে নির্ভর করবে ক্ষেত্রটির গতিপথ।
তবে সেই পথে যে বাধা হয়ে দাঁড়াতে পারে আটকে থাকা প্রকল্পগুলি, সেটাও স্পষ্ট সমীক্ষায়। যে কারণে সেগুলি সম্পূর্ণ করার উপরে আলাদা করে জোর দেওয়া হয়েছে। ইন্ডিয়ান ব্যাঙ্কিং অ্যাসোসিয়েশনের তথ্য তুলে ধরে বলা হয়েছে, সারা দেশে প্রায় ৪.১ লক্ষ প্রকল্প মাঝপথে থমকে। সেগুলিতে লগ্নির অঙ্ক প্রায় ৪.১ লক্ষ কোটি টাকা। এই নিয়ে ইতিমধ্যেই নগরায়ন মন্ত্রক বিশেষজ্ঞ কমিটি গঠন করেছে। যারা এ জন্য মূলত ক্রেতাদের আর্থিক সমস্যাকে দায়ী করেছেন। অন্যতম কারণ কাঁচামালের দাম এবং নির্মাণে দেরির ফলে প্রকল্পের বেড়ে যাওয়া খরচও।