পাহাড়ে লাগাতার গণ্ডগোল তাঁদের হিসেবের খাতায় ছোপ ফেলছে বলে অভিযোগ করলেন বন্ধন ব্যাঙ্কের প্রতিষ্ঠাতা ও কর্ণধার চন্দ্রশেখর ঘোষ। তাঁর দাবি, সেখানে রাজনৈতিক গোলমাল ও টানা বন্ধের জেরে ঋণের টাকা আদায় মার খাচ্ছে। যা ইন্ধন জোগাচ্ছে অনাদায়ী ঋণের বৃদ্ধিতে। সেই সঙ্গে, একাধিক রাজ্যে কৃষিঋণ মকুবের ঘোষণাও চলতি অর্থবর্ষের প্রথম ত্রৈমাসিকে বন্ধন ব্যাঙ্কের অনুৎপাদক সম্পদ বাড়িয়েছে বলে তাঁর অভিযোগ।
এমনিতে মোট ঋণের সাপেক্ষে অনুৎপাদক সম্পদের পরিমাণ বন্ধন ব্যাঙ্কে তুলনামূলক ভাবে কম। তবে ওই দুই কারণে তা বেড়ে হয়েছে ০.৮২%। আর্থিক সংস্থানের পরে নিট হিসেবে দাঁড়িয়েছে ০.৪৯%।
বৃহস্পতিবার আর্থিক ফলাফল ঘোষণা করতে গিয়ে চন্দ্রশেখরবাবু বলেন, উত্তরপ্রদেশ, মহারাষ্ট্র ও মধ্যপ্রদেশে মাছ চাষ, গো-পালন ইত্যাদির মতো কৃষির সঙ্গে যুক্ত ক্ষেত্রে ঋণ মেটানো প্রায় বন্ধ। কারণ, তাঁদের ধারণা হয়েছে কৃষিঋণের মতো এই ঋণও মকুব হবে। দার্জিলিং প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘‘ঋণের টাকা আদায় করতে যাওয়াই সমস্যা হয়েছে।’’
তবে এ সব সত্ত্বেও আলোচ্য ত্রৈমাসিকে ব্যাঙ্কটির নিট মুনাফা বেড়েছে ৩৫%। হয়েছে ৩২৭ কোটি। আমানত ও ঋণ বেড়েছে যথাক্রমে ৫১% ও ৩৫%। ব্যবসা বাড়াতে বিদেশি মুদ্রা লেনদেন চালুর পাশাপাশি মিউচুয়াল ফান্ড এবং বিমা পলিসি বিক্রির সিদ্ধান্ত নিয়েছে তারা।