—প্রতীকী চিত্র।
গত ২০১৯-এ প্রথম দফায় ৬৯,০০০ কোটি টাকা। দ্বিতীয় দফায় ২০২২ সালে ১.৬৪ লক্ষ কোটি। এ বার ৮৯,০০০ কোটির কিছু বেশি। বুধবার রাষ্ট্রায়ত্ত টেলিকম সংস্থা বিএসনএলের জন্য তৃতীয় দফার ত্রাণ প্রকল্পে সায় দিল কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভা। যার প্রায় পুরোটাই স্পেকট্রাম খাতে খরচ হবে, দাবি টেলিকম মন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণবের। তবে সংশ্লিষ্ট মহলের ক্ষোভ, কেন্দ্র চার বছরে তিনটি ত্রাণ দিয়ে তীব্র আর্থিক সঙ্কটে থাকা সংস্থাটিকে চাঙ্গা করার দাবি করলেও লাভ হয়নি। বরং এখনও ৪জি পরিষেবা না আনতে পারায় প্রতিযোগিতায় পিছিয়ে পড়ছে তারা। প্রতিদ্বন্দ্বী সংস্থাগুলি চালু করছে ৫জি।
এ দিন মন্ত্রিসভায় মঞ্জুর মোট ৮৯,০৪৭.৯২ কোটি টাকার মধ্যে ৫৩১.৮৯ কোটি বিবিধ খরচের জন্য। বাকিটা বাড়তি স্পেকট্রামে। ৭০০, ৩৩০০ ও ২৫০০ মেগাহার্ৎজ় ব্যান্ড এবং ২৬ গিগাহার্ৎজ় ব্যান্ডের স্পেকট্রাম বরাদ্দ হয়েছে। সূত্রের খবর, বেসরকারি সংস্থাগুলির মতো তাদের সেগুলি বাজার থেকে কিনতে হবে না। বরাদ্দ স্পেকট্রাম বাবদ অর্থ সংস্থার অংশীদারি হিসেবে তাদের দিল কেন্দ্র। পরে তা আবার কেন্দ্রীয় টেলিকম দফতরকে মেটাবে বিএসএনএল। আগের ত্রাণ প্রকল্পেও কিছু স্পেকট্রাম বরাদ্দের অর্থ দেওয়া হয়েছিল। তিনটি ত্রাণ মিলিয়ে সংস্থাকে ৩.২২ লক্ষ কোটি টাকারও বেশি জোগাল কেন্দ্র।
মন্ত্রীর আশা, এ বার বিএসএনএল প্রতিযোগিতায় শামিল হবে। দেশের বিভিন্ন প্রান্তে দ্রুত গতির ৪জি এবং ৫জি পরিষেবা দেওয়ার জন্য মজবুত হবে। বিশেষত সেই সব গ্রামাঞ্চলে, যেখানে কোনও সংস্থা তা দেয় পযদিও প্রশ্ন উঠেছে, লাভজনক না হওয়ায় বেসরকারি সংস্থা যেখানে যেতে আগ্রহী নয়, সেখানে ব্যবসা করতে গিয়ে বিএসএনএল ফের লোকসানে ডুববে না তো? কেন্দ্রের দাবি, ত্রাণের জেরেই ২০২১-২২ থেকে সংস্থা কার্যকরী মুনাফা দেখছে। গত অর্থবর্ষে তা বেড়ে হয়েছে ১৫৫৯ কোটি টাকা। ঋণ ৩৩,০০০ কোটি টাকা থেকে নেমেছে ২২,২৮৯ কোটিতে। তিন বছরে ঋণমুক্ত হবে।
উল্লেখ্য, রাষ্ট্রায়ত্ত সি-ডট, টাটারা (টিসিএস, তেজস) মিলে যে দেশীয় ৪জি ও ৫জি প্রযুক্তি গড়েছে, তার ভিত্তিতে তৈরি যন্ত্রাংশের বরাত দিয়েছে বিএসএনএল। সংস্থার সিএমডি পি কে পুরওয়ার জানান, ওই বরাত সব স্পেকট্রামে পরিষেবা চালুর জন্য যথেষ্ট। এ দিন কেন্দ্রের দাবি, ক’মাসের মধ্যেই তা শুরু হবে দেশে। তবে পর্যায়ক্রমে ৪জি আসতে এ বছরের শেষ হয়ে যাবে।