ভারতের ধনীতম ১% মানুষের হাতে থাকা সম্পদের অঙ্ক আর্থিক ভাবে সবচেয়ে তলানিতে থাকা ৯৫.৩ কোটি (মোট নাগরিকের ৭০%) মানুষের সম্পদের চার গুণেরও বেশি। ওয়ার্ল্ড ইকনমিক ফোরামের ৫০তম বৈঠকের আগে মানবাধিকার সংগঠন অক্সফ্যামের প্রকাশ করা সমীক্ষা রিপোর্টে এমনই বৈষম্যের ছবি উঠে এসেছে।
এই নিয়ে কেন্দ্রকে আক্রমণ করেছেন কংগ্রেস নেতা রাহুল গাঁধী। টুইটারে তিনি লিখেছেন, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী দরিদ্রদের সম্পত্তি ছিনিয়ে ‘বন্ধু শিল্পপতি’ এবং যে সমস্ত ক্ষমতার দালালদের উপরে তিনি নির্ভর করেন তাঁদের দিয়ে দিচ্ছেন।
‘টাইম টু কেয়ার’ নামে ওই রিপোর্ট অনুযায়ী, বিশ্বের ২১৫৩ জন প্রথম সারির ধনকুবেরের হাতে সবচেয়ে নীচের ৪৬০ কোটি (সারা পৃথিবীর জনসংখ্যার ৬০%) মানুষের মোট সম্পদের চেয়েও বেশি সম্পদ রয়েছে। জানানো হয়েছে, নির্দিষ্ট লক্ষ্য নিয়ে কাজ করা না-গেলে এই বৈষম্য কমানো অসম্ভব।
ভারত
ধনীতম ১ শতাংশের হাতে থাকা সম্পদের পরিমাণ আর্থিক ভাবে সব চেয়ে তলানিতে থাকা ৯৫.৩ কোটি মানুষের সম্পদের চার গুণেরও বেশি।
• ৬৩ জন ধনকুবেরের মোট সম্পদ ২০১৮-১৯ অর্থবর্ষের বাজেটের (২৪.৪২ লক্ষ কোটি টাকা) চেয়ে বেশি।
• প্রথম সারির প্রযুক্তি সংস্থার সিইও এক বছরে যা রোজগার করেন, তা উপার্জন করতে এক জন মহিলা গৃহকর্মীর ২২,২৭৭ বছর লাগবে।
• মহিলা এবং কম বয়সি মেয়েরা মিলে বিনা পারিশ্রমিকে দিনে মোট ৩২৬ কোটি ঘণ্টা শ্রম দেন। ভারতীয় অর্থনীতিতে এই শ্রমের অবদান বছরে ১৯ লক্ষ কোটি টাকা। যা মোট শিক্ষা বাজেটের ২০ গুণ।
সারা বিশ্ব
• ২১৫৩ জন ধনকুবেরের সম্পত্তির মোট পরিমাণ আর্থিক ভাবে সব চেয়ে নীচের দিকে থাকা ৪৬০ কোটি মানুষের সম্পত্তির চেয়ে বেশি।
• ২২ জন ধনীতম ব্যক্তির সম্পত্তি আফ্রিকার সব মহিলার সম্পত্তির চেয়ে বেশি।
সব মহাদেশেরই বিভিন্ন জায়গায় শুরু হয়েছে বিক্ষোভ। কোথাও দুর্নীতি, কোথাও মূল্যবৃদ্ধি, কোথাও অন্য কারণে। এই সবের পিছনে আসল কারণ যে বৈষম্য, তা-ও স্পষ্ট করা হয়েছে রিপোর্টে। অনেকের মতে, ভারতও এর ব্যতিক্রম নয়। দেশের বিভিন্ন জায়গায় সংশোধিত নাগরিকত্ব আইনের বিরুদ্ধে যে বিক্ষোভ চলছে, সেখানেও উঠে আসছে কাজ না-থাকা বা কম উপার্জনের মতো বিষয়গুলি।