—ফাইল চিত্র।
কয়েক ঘণ্টার মধ্যে পর পর দু’বার টাকা তোলা যাবে না এটিএম থেকে! এক বার টাকা তুললে, তার পর ফের টাকা তোলার জন্য অপেক্ষা করতে হবে ৬-১২ ঘণ্টা! এমনই প্রস্তাব উঠেছে দেশের ব্যাঙ্কিং সেক্টরের শীর্ষকর্তাদের বৈঠকে।
হঠাৎ কেন এই চিন্তা-ভাবনা? ব্যাঙ্ককর্তারা জানিয়েছেন, মূলত এটিএম প্রতারণা রুখতেই এ প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে। শুধুমাত্র সময়সীমা বেঁধে দেওয়াই নয়, এর সঙ্গে রয়েছে আরও একগুচ্ছ প্রস্তাব। ক্রেডিট বা ডেবিট কার্ড দিয়ে অনলাইনে লেনদেনের মতোই এককালীন পাসওয়ার্ড দিয়ে যাতে এটিএম থেকে টাকা তোলা যায়, সে প্রস্তাবও দিয়েছেন ব্যাঙ্ককর্তারা। এমনকি, এটিএম কিয়স্কগুলিতে নজরদারি চালানোর জন্য একটি সেন্ট্রালাইজড মনিটরিং সিস্টেম চালু করার কথাও ভাবছেন তাঁরা। ঠিক যেমন, ওরিয়েন্টাল ব্যাঙ্কের ২,৬০০টি এটিএমের মধ্যে ৩০০টি এটিএমে হেলমেট পরে টাকা তুলতে ঢুকলে গ্রাহককে তা খোলার পরামর্শ দেওয়া হয় যন্ত্রের মাধ্যমে। এ রকমের ব্যবস্থা সব এটিএমে চালুর করার কথাও ভাবা হচ্ছে।
ডিপার্টমেন্ট অব ফিনানশিয়াল সার্ভিসেস-এর নির্দেশে গত সপ্তাহে দেশের ১৮টি ব্যাঙ্কের মধ্যে একটি বৈঠক হয়। তাতে দিল্লির স্টেট লেভেল ব্যাঙ্কার্স কমিটি (এসএলবিসি) এ ধরনের প্রস্তাব পেশ করেছে। কিন্তু কেন? এসএলবিসি-র আহ্বায়ক তথা ওরিয়েন্টাল ব্যাঙ্ক অব কমার্সের সিইও এবং এমডি মুকেশ কুমার জৈন বলেন, ‘‘এটিএম প্রতারণার ঘটনাগুলি সাধারণত রাতের দিকেই ঘটে। বিশেষ করে মধ্যরাত থেকে ভোরবেলাতেই এ ধরনের অপরাধ হচ্ছে। এটিএমে দু’টি লেনদেনের মধ্যেকার সময়ের ব্যবধান বাড়ালে তা হয়তো রোখা যাবে।’’
আরও পড়ুন: ৩০০০ কর্মীকে ছেঁটে ফেলল মারুতি সুজুকি, গাড়ি শিল্পে জাঁকিয়ে বসছে সঙ্কট
আরও পড়ুন: ৩৭০ প্রত্যাহারের পরে কাশ্মীরে প্রথম জঙ্গি সক্রিয়তা, তুলে নিয়ে খুন দুই পশুপালককে
আরও পড়ুন: বিধানসভায় পর্ন দেখা সেই নেতাই এখন কর্নাটকের উপ-মুখ্যমন্ত্রী, দলেই প্রশ্নের মুখে ইয়েদুরাপ্পা
এই প্রস্তাবগুলিতে কাজ হবে কি না, তা হয়তো এখনই নিশ্চিত করে বলা যাচ্ছে না। তবে গত বছরের তুলনায় চলতি বছরে যে এটিএম প্রতারণা সংখ্যা বেড়েছে, তা জানাচ্ছে পুলিশের রেকর্ড। সেই পরিসংখ্যান অনুযায়ী, ২০১৮-১৯ অর্থবর্ষে দেশের মধ্যে সবচেয়ে বেশি ২৩৩টি এটিএম প্রতারণার ঘটনা ঘটেছে মহারাষ্ট্রে। কেবলমাত্র দিল্লিতেই এর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১৭৯। গত অর্থবর্ষে ৯১১টি এ ধরনের প্রতারণার ঘটনার অভিযোগ করা হয়েছিল পুলিশে। চলতি বছরে তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৯৮০টি। এটিএম ক্লোন করা থেকে শুরু করে এটিএম ব্যবহার না করা সত্ত্বেও গ্রাহকের টাকা গায়েব হয়ে যাওয়ার ভূরি ভূরি উদাহরণ প্রকাশ্যে এসেছে। এ সবে রাশ টানতেই এটিএম থেকে টাকা তোলায় নয়া বিধিনিষেধ চালুর কথা ভাবছে ব্যাঙ্কগুলি।