গয়না কেনার আগে সতর্ক থাকা উচিত। প্রতীকী চিত্র
ধনতেরস এখন বাঙালিরও প্রিয় পরব। এখন থেকেই কাউন্ট ডাউন চলছে। কমবেশি সকলেই এই সময়ে সোনায় বিনিয়োগ করতে চান। কেউ কেউ গয়না কেনেন। তবে ইদানীং সোনার বন্ড ঋণপত্র কেনার রেওয়াজও তৈরি হয়েছে। এ ছাড়া বিভিন্ন সংস্থার থেকে অনলাইনে ডিজিটাল সোনা কেনা যায়। কিন্তু যারা সোনা কিনবেন তাঁদের পাঁচটি বিষয়ে অবশ্যই নজর রাখা উচিত। না হলে ঠকতে হবে।
১। প্রথমেই জানতে হবে যে সোনা কিনছেন, সেটা কতটা খাঁটি। কেমন ভাবে বুঝতে হয় সোনা কতটা খাঁটি। ২৪ ক্যারাট সোনা হল খাঁটি। ২৪ ক্যারাট সোনা মানে ৯৯.৯ শতাংশ খাঁটি। কিন্তু দোকানে সাধারণত ২২ ক্যারাট সোনা দিয়েই অলঙ্কার তৈরি হয়। দেখে নিতে হবে গয়নায় যেন ২২ ক্যারাটের সোনা দেওয়া হয়। ২২ ক্যারেট সোনা মানে ৯১.৬ শতাংশ খাঁটি। ২১ ক্যারাটে থাকে ৮৭ শতাংশ, ১৮ ক্যারেটে থাকে ৭৫ শতাংশ। তবে আমাদের দেশে ২২ এবং ২১ ক্যারেট সোনা দিয়েই বেশি গয়না তৈরি করা হয়।
২। স্পেকট্রোমিটার নামে একটি যন্ত্রে সোনা মাপার পরে খাদের পরিমাণ ধরা যায়। যন্ত্রই বলে দেবে কত ক্যারাটের সোনায় গয়না বানানো হয়েছে। সুতরাং, স্পেকট্রোমিটার মেশিনে মেপে খাদ যাচাই করেই সোনা কেনা উচিত।
৩। সোনার গয়না কতটা খাঁটি, তা ঠিক করে ‘ব্যুরো অফ ইন্ডিয়ান স্ট্যান্ডার্ডস’ (বিআইএস)। প্রত্যেক গয়নায় একটি নম্বর হলমার্ক করা থাকে, বিআইএস স্ট্যাম্প, সোনার ক্যারাট, হলমার্কের সাল, স্বর্ণকারের পরিচয় ও স্থান— এই তথ্য থাকতেই হবে। কেনার আগে অবশ্যই দেখে নিতে হবে এই ব্যাপারগুলি।
৪। বেশি পরিমাণে গয়না বিক্রির জন্য অনেক সময়ে স্বর্ণ ব্যবসায়ীরা ‘মেকিং চার্জ’-এর উপর বাড়তি ছাড় দেওয়ার কথা বলেন। কেনার আগে অবশ্যই জেনে নেওয়া উচিত ছাড় সংক্রান্ত যাবতীয় তথ্য। কোথাও কোনও গুপ্ত খাতে বেশি টাকা বেরিয়ে যাচ্ছে কি না, তা যাচাই করা দরকার। আবার একই গয়নার দাম বিভিন্ন দোকানে এক এক রকমের হয়। তার কারণ হতে পারে সোনার মান বা মেকিং চার্জ। ফলে কেনার আগে একাধিক দোকানে গিয়ে দাম যাচাই করা উচিত। না হলে ঠকার ভয় থাকে।
৫। এমনটা ভাবার কোনও কারণ নেই যে সোনা কেনা মানেই ‘ভাল লগ্নি’। বাজার দেখে বুঝতে হয় সোনায় বিনিয়োগ করা ঠিক হচ্ছে কি না। সোনার গয়নায় পাথরের কাজ থাকলে, তা দেখতে ভাল লাগে কিন্তু তার দামও বেড়ে যায় কয়েক গুণ। অথচ, পরে সেই গয়না বিক্রি করলে পাথরের দাম পাওয়া যায় না। ফলে, সোনার গয়নায় পাথর না থাকাই বেশি ভাল।