প্রতীকী ছবি
বর্ষাকাল মানেই আবহাওয়ার পরিবর্তন। সঙ্গে ঘরে ঘরে জ্বর, সর্দি, কাশির প্রকোপ বেড়ে যাওয়া। এই ধরনের অসুস্থতার প্রাথমিক লক্ষণগুলি হল নাক বন্ধ, গলা ব্যথা, মৃদু জ্বর সঙ্গে খুসখুসে কাশি। যাকে এক কথায় আমরা ‘ফ্লু’ বলি। অনেকেই এমন সমস্যাগুলিকে বিশেষ গুরুত্ব না দিয়ে উপেক্ষা করেন। যা একেবারেই উচিত নয়। কারণ, পরবর্তীকালে এই সাধারণ উপসর্গগুলিই মারাত্মক আকার ধারণ করতে পারে। তাই ‘ফ্লু’-র প্রতিকারের চেয়ে প্রতিরোধ করাটাই উত্তম পন্থা।
সম্প্রতি আনন্দবাজার অনলাইনের সঙ্গে এক সাক্ষাৎকারে এইচ পি ঘোষ হাসপাতালের সিনিয়র কনসালট্যান্ট পালমোনোলজিস্ট, চিকিৎসক অংশুমান মুখোপাধ্যায় বলেন, “ইনফ্লুয়েঞ্জা ইনফেকশনকে সংক্ষেপে ‘ফ্লু’ বলে। অন্যান্য ভাইরাল সংক্রমণের মতোই ‘ফ্লু’-র উপসর্গগুলি খুব সাধারণ - জ্বর, সর্দি, কাশি ইত্যাদি। যা ঋতু পরিবর্তনের ফলে হয় এবং প্রকৃতির নিয়মে কমেও যায়।”
কিন্তু কখন চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত?
চিকিৎসক মুখোপাধ্যায়ের মতে, “ফ্লু-র নানা প্রকারভেদ আছে। যেমন ‘ইনফ্লুয়েঞ্জা এ’, ‘ইনফ্লুয়েঞ্জা বি’ বা ‘সোয়াইন ফ্লু’। এর মধ্যে ‘সোয়াইন ফ্লু’-র ধরন বেশ জটিল। এই রোগের উপসর্গ দেখা দিলে অবিলম্বে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত।”
‘ফ্লু’ কয় প্রকারের? ‘সোয়াইন ফ্লু’র উপসর্গগুলি কী কী? সবিস্তার জানতে নীচের লিঙ্কে ক্লিক করুন:
চিকিৎসক অংশুমান মুখোপাধ্যায় আরও বলেন, “প্রাথমিক পর্যায়ে ‘ফ্লু’-র উপসর্গগুলিকে উপেক্ষা করা উচিত নয়। এতে সমস্যা বাড়তে পারে। খুব ছোট্ট একটি পরীক্ষার মাধ্যমে ‘ফ্লু’ নির্ণয় করা সম্ভব। দশ বছর আগেও এর প্রতিরোধে কোনও টিকা ছিল না। কিন্তু এখন ‘ইনফ্লুয়েঞ্জা ভ্যাকসিন’ বাজারে সহজলভ্য হয়েছে। তাই সময় থাকতে ভ্যাকসিন নিন। ‘ফ্লু’ প্রতিরোধ করুন এবং সুস্থ থাকুন।”
হেল্পলাইন নম্বর: ০৩৩৬৬৩৪৬৬৩৪
এই প্রতিবেদনটি ‘এইচপি ঘোষ হাসপাতাল’—এর সঙ্গে আনন্দবাজার ব্র্যান্ড স্টুডিয়ো দ্বারা যৌথ উদ্যোগে প্রকাশিত।