তনিশ্ক ‘রিভা’
শীত এল বলে। আর শীত এসে যাওয়া মানেই বিয়ের মরসুম শুরু। বিয়ের অনুষ্ঠানে যা কিছু অপরিহার্য, তার মধ্যে অন্যতম হল গয়না। কনের সাজ পূর্ণতা পায় অলঙ্কারে। বিয়ের গয়না নিছক সাজের সামগ্রী নয়, এর সঙ্গে জড়িয়ে থাকা নানা গল্প, ভালবাসা, শ্রদ্ধা। বিয়ের গয়না তাই একটা আবেগও বটে।
এই আবেগের কথা মাথায় রেখে, সোনা ও হিরের গয়নার সর্বভারতীয় ব্র্যান্ড তনিশ্ক নিয়ে এল বিয়ের গয়নার নতুন ব্র্যান্ড — রিভা। রিভার সম্ভারে আছে হাজারেরও বেশি মায়াবী ডিজাইনের গয়না, বিয়েকে কেন্দ্র করে থাকা প্রতিটা অনুষ্ঠানের জন্য।
আজকের ভারতীয় নারী স্বতন্ত্র, স্বাধীনচেতা। তনিশ্কের রিভা-র গয়নার সম্ভার তৈরি হয়েছে আধুনিক ভারতীয় নারীর কথা মাথায় রেখেই। কনে হোক বা কনের বন্ধু, বাগদান পর্ব হোক, মেহেন্দি কিংবা ওয়েডিং রিসেপশন। রিভা-র সম্ভারে গয়না রয়েছে সকলের জন্য, বিয়ের সমস্ত অনুষ্ঠানের জন্য। সোনার বালা, আংটি, কানের দুল, নাকছাবি, গলার হার, নেকলেস সেট, মঙ্গলসূত্র - প্রয়োজন যেটাই হোক না কেন। এই সমস্ত ধরনের গয়নার চোখ জুড়নো জিজাইন রয়েছে রিভা-তে, যেখানে ধরা দিয়েছে ঐতিহ্য ও আধুনিকতার মেলবন্ধন।
বহু ভাষাভাষীর দেশ ভারতের প্রতিটা রাজ্য, প্রতিটি অঞ্চলের সংস্কৃতি একে অপরের চেয়ে আলাদা। কিন্তু মিল ওই বিয়ের গয়নায়। উত্তরপ্রদেশ, বিহার, ঝাড়খণ্ড, পশ্চিমবঙ্গ, ওড়িশা, অসম, কর্নাটক, মহারাষ্ট্র, গুজরাত কিংবা পঞ্জাব, রাজ্যের নাম যা-ই হোক, ভারতে সোনা ছাড়া বিয়ে হয় না। তনিশ্কের রিভা-তে আছে সোনার গয়নার বিপুল সম্ভার। ২২ ক্যারাটের সোনার গয়নার পাশাপাশি এই সংগ্রহে আছে ২৪ ক্যারাটের খাঁটি সোনার গয়না, যার পোশাকি নাম কুন্দন। সাধারণ হিরের গয়না যেমন আছে, তেমনই আছে নিখাদ পোলকি হিরের গয়না।
‘রিভা’-র গয়না মানে নান্দনিকতার শেষ কথা। সম্প্রতি, রিভার এই সম্ভারকে আরও সমৃদ্ধ করেছেন প্রখ্যাত ফ্যাশন ডিজাইনার তরুণ তাহিলিয়ানি। তাঁর শৈল্পিক ভাবনায় বিভিন্ন ঐতিহ্যশালী গয়না পেয়েছে নতুন রূপ। ঘল ঘরানার রত্নখচিত মুঘল ঘরানার জারদৌসি, নবাবী আমলের লখনউয়ের মুক্তো ও হিরে বসানো চিকনকারি, জম্মু-কাশ্মীরের কাশিদা এবং ইউরোপের স্বরোভস্কি স্ফটিকের কাজ করা হিরের গয়নাকে শিল্পের পর্যায়ে নিয়ে গিয়েছে তরুণ তাহিলানির নকশা।
এর সঙ্গে আছে তনিশ্ক এক্সচেঞ্জ-এর সুবিধা। ব্র্যান্ডের শো-রুমে পুরনো ডিজাইনের গয়না বদলে আধুনিক ডিজাইনে গয়না কিনে নিতে পারবেন। পুরনো গয়না যে কোনও দোকানেরই হোক, এক্সচেঞ্জ মূল্য পাওয়া যাবে ১০০ শতাংশ। সোনার গয়নার মজুরিতে এবং হিরের গয়নার দামের উপরে পাওয়া যাবে ২০ শতাংশ ছাড়।
এই প্রতিবেদনটি ‘তনিশ্ক’-এর সঙ্গে আনন্দবাজার ব্র্যান্ড স্টুডিয়ো দ্বারা যৌথ উদ্যোগে প্রকাশিত।