প্রতিপদ তিথি, কৃত্তিকা এবং বিশাখা নক্ষত্রের অধিষ্ঠাতা অগ্নি অবস্থান করেন বাস্তুর দক্ষিণ-পূর্ব অংশে
চান্দ্রমাস এবং তিথি নিয়ে আলোচনায় গত পর্বে আপনাদের জানিয়েছিলাম, তিথি দিনের যে কোনও সময় শুরু হতে পারে, এবং ১৯ ঘন্টা থেকে ২৬ ঘন্টার কাছাকাছি সময়ে পরিবর্তিত হয়। অনেকেই হয়ত জানেন, মুহূর্ত গণনার বিশেষবিধিও রয়েছে সনাতন জ্যোতিষশাস্ত্রে, যেখানে- তিথি, যোগ, নক্ষত্র, বার ইত্যাদি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। সনাতন জ্যোতিষশাস্ত্র অনুসারে, প্রতি ৪৮ মিনিটে এক-একটি মুহূর্ত হয়, এবং মুহূর্তগুলিকে কয়েকটি বৈশিষ্ট্যে বা গুণাবলীতে পরিগণিত করা হয় (তিথি, যোগ, নক্ষত্র, বার ইত্যাদি)।
স্বভাবতই শুভাশুভ বিচার করে, নির্দিষ্ট দিন-ক্ষণ নির্ধারণের ক্ষেত্রে, এই তিথি, যোগ, নক্ষত্র, মুহূর্ত প্রত্যেকটিই অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। সনাতন শাস্ত্র মতে, কোন তিথি “শুভ”, কোনগুলি “অশুভ”, কোন-কোন তিথি পঞ্চতত্ত্বের (ক্ষিতি-অপ-তেজ-মরুৎ-ব্যোম) কোন উপাদান দ্বারা প্রভাবিত, গত পর্বে তা-ও আপনাদের জানিয়েছি। তবে, পঞ্চতত্ত্বের প্রভাব ছাড়াও, প্রত্যেকটি তিথি এবং নক্ষত্রের অধিপতি দৈবশক্তির উল্লেখ রয়েছে জ্যোতিষশাস্ত্রে। আজকের পর্বে সে বিষয়ে আলোকপাত করব...
এভাবেই, জ্যোতিষশাস্ত্র অনুসারে ২৭টি প্রধান নক্ষত্রেরও এক-একজন অধিপতি দৈবশক্তি রয়েছে...
প্রত্যেক ব্যক্তির যেমন নির্দিষ্ট জন্মতারিখ, জন্মতিথি, জন্মবার, জন্মনক্ষত্র, যোগ ইত্যাদি থাকে... তেমনই প্রত্যেক তিথি এবং নক্ষত্রেরও অধিপতি দৈবশক্তি (প্রাচীন সনাতন শাস্ত্রে এর উল্লেখ রয়েছে) থাকে (উপরিউক্ত), এবং এই দৈবশক্তির/উর্জার প্রকাশ আমরা বাস্তুতে দেখতে পাই। যেমন... বাস্তুর কেন্দ্রে অবস্থান করেন ব্রহ্মা, জ্যোতিষশাস্ত্র অনুসারে দ্বিতীয়া তিথি এবং রোহিণী নক্ষত্রের অধিষ্ঠাতা হলেন ব্রহ্মা, আবার প্রতিপদ তিথি, কৃত্তিকা এবং বিশাখা নক্ষত্রের অধিষ্ঠাতা অগ্নি অবস্থান করেন বাস্তুর দক্ষিণ-পূর্ব অংশে। চতুর্থী তিথি এবং অশ্বিনী নক্ষত্রের অধিষ্ঠাতা গনেশ বাস্তুর উত্তর-পূর্বে অবস্থান করেন, অন্যদিকে বাস্তুর উত্তর-পশ্চিম থেকে উত্তরের মধ্যবর্তী অংশে অবস্থানরত নাগ, অশ্লেষা নক্ষত্র এবং পঞ্চমী তিথি-কে নিয়ন্ত্রণ করেন। উত্তর-পশ্চিম থেকে বাস্তুর কেন্দ্রের মাঝামাঝি অংশে অবস্থান করেন রুদ্র... এই রুদ্র একদিকে যেমন আর্দ্রা নক্ষত্রের অধিষ্ঠাতা, তেমনই অষ্টমী তিথিরও অধিকর্তা। এভাবেই বাস্তুতে অবস্থানকারী ৪৫টি ডিভাইন ফিল্ড বা উর্জা, ১৬টি তিথি (প্রতিপদ থেকে চতুর্দশী = ১৪টি তিথি + পূর্ণিমা + অমাবস্যা = ১৬টি তিথি), প্রধান ২৭টি নক্ষত্র, পঞ্চতত্ত্ব (ক্ষিতি-অপ-তেজ-মরুৎ-ব্যোম)... প্রত্যেকটি কোনও না কোনও ভাবে পরস্পরের সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত। কারণ, 'একো বশী সর্বভূতান্তরাত্মা / একং রূপং বহুধা যঃ করোতি' (কঠোপনিষদের দ্বিতীয় অধ্যায়ের দ্বিতীয় বল্লি-র ১২ নং শ্লোক), অর্থাৎ একই ব্রহ্ম বিভিন্ন রূপ ধারণ করে বিভিন্ন বস্তুর মধ্যে যোগসূত্র রূপে জগতের সমস্ত কিছুতেই প্রচ্ছন্নভাবে নিহিত। এখানেই শেষ নয়, এ বিষয়ে অসংখ্য সূত্র রয়েছে জ্যোতিষশাস্ত্রে। পরবর্তী পর্বগুলিতে ধীরে ধীরে সে বিষয়ে আপনাদের অবগত করব।
তবে, আপনারা প্রয়োজনে প্রত্যেকদিনের শুভাশুভ গণনা শিখে, দুর্ভাগ্য হ্রাস করে সৌভাগ্যকে আকর্ষণ করতে পারেন ASTRAL DAILY PLANNING COURSE-এর মাধ্যমে। পৃথিবীর যে কোনও প্রান্ত থেকে আপনি এই অনলাইন কোর্স (মোবাইল-মোবাইল) শিখতে পারেন। Daily planning অর্থাৎ, দিনের কোন সময়ে জরুরি মিটিং করবেন, কখন গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নেবেন, কখন সংযত আচরণ করলে ঝামেলা-ঝঞ্ঝাট এড়াতে পারবেন... আপনি নিজেই এই গণনা শিখতে পারবেন।
ASTRAL DAILY PLANNING COURSE এবং বাস্তু বিষয়ক পরামর্শ পেতে WhatsApp - 86173 72545 / 98306 83986 (Payable & Non-Refundable)।
ডিসক্লেইমার: এটি একটি বিজ্ঞাপন প্রতিবেদন এবং বিজ্ঞাপনদাতার সঙ্গে যৌথ উদ্যোগে প্রকাশিত। প্রতিবেদনে প্রকাশিত সমস্ত বক্তব্য / মন্তব্য একান্তই বিজ্ঞাপনদাতার নিজস্ব। এর সঙ্গে আনন্দবাজার অনলাইনের সম্পাদকীয় দফতরের কোনও সম্পর্ক নেই। সংশ্লিষ্ট বিষয়ে কোনও সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে অবশ্যই যাচাই করে নিন।