স্মার্ট ইন্ডিয়া হ্যাকাথন ২০২৩
কলকাতা, ১৯ ডিসেম্বর ২০২৩: শিক্ষা মন্ত্রকের ইনোভেশন সেলের উদ্যোগে শুরু হল স্মার্ট ইন্ডিয়া হ্যাকাথন ২০২৩। টেকনো মেন সল্টলেক ক্যাম্পাস এবং টেকনো ইন্ডিয়া ইউনিভার্সিটি ক্যাম্পাসে বিশিষ্ট অতিথিদের উপস্থিতিতে সূচনা হয় এই দেশব্যাপী কর্মসূচির।
আমন্ত্রিতদের তালিকায় ছিলেন বিশেষ অতিথি আইন মন্ত্রকের বিচার বিভাগের অধিকর্তা বি. চন্দ্র মহিয়ার, প্রধান অতিথি সিইএসসি লিমিটেডের ম্যানেজিং ডিরেক্টর রবি চৌধুরী এবং সংস্থার ডিরেক্টর শঙ্কর নাথ মুখোপাধ্যায়, গেস্ট অব অনার মৌলানা আবুল কালাম আজাদ প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, পশ্চিমবঙ্গের পরীক্ষা নিয়ামক শুভাশিস দত্ত, প্রধান অতিথি অ্যাকসেঞ্চার সলিউশন প্রাইভেট লিমিটেডের ম্যানেজিং ডিরেক্টর শঙ্কর ঘোষ, গেস্ট অফ অনার ইন্ডাস নেট টেকনোলজিস-এর প্রতিষ্ঠাতা এবং সিইও অভিষেক রুংতা, টেকনো ইন্ডিয়া গ্রুপের কো-চেয়ারপার্সন অধ্যাপক মানসী রায়চৌধুরী, মেক ক্যালকাটা রেলেভেন্ট এগেন-এর প্রতিষ্ঠাতা এবং টেকনো ইন্ডিয়া গ্রুপের চিফ ইনোভেশন অফিসার মেঘদূত রায়চৌধুরী, এবং মিসেস ওয়াই-ইস্ট এর সহ-প্রতিষ্ঠাতা ও সিইও এবং টেকনো ইন্ডিয়া গ্রুপের সাসটেনেবিলিটি ডিরেক্টর পলিন লারাভয়ার। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের পরে শুরু হয় স্মার্ট ইন্ডিয়া হ্যাকাথন-এর পশ্চিমবঙ্গ পর্বের প্রতিযোগিতা।
স্মার্ট ইন্ডিয়া হ্যাকাথন (SIH) হল শিক্ষা মন্ত্রকের ইনোভেশন সেলের এক দেশব্যাপী উদ্যোগ যা সরকার, বিভিন্ন মন্ত্রক ও বিভাগ, শিল্প এবং অন্যান্য সংস্থাগুলিতে তৈরি হওয়া সমস্যাগুলির সমাধানের জন্য ছাত্রদের একটি মঞ্চ প্রদান করে৷ SIH ইতিমধ্যেই বিশ্বের বৃহত্তম উন্মুক্ত ইনোভেশন মডেল হিসাবে প্রশংসিত হয়েছে, যা পড়ুয়া মহলে প্রোডাক্ট ইনোভেশন এবং সমস্যা সমাধানের সংস্কৃতি গড়ে দিতে উদ্যোগী। ২০১৭ সাল থেকে প্রতি বছর SIH উচ্চশিক্ষার ছাত্রছাত্রীদের জন্য SIH সফ্টওয়্যার এবং SIH হার্ডওয়্যার দু’টি সংস্করণে পরিচালিত হয়। গত বছর অর্থাৎ ২০২২ সালে, স্কুল স্তরে উদ্ভাবন এবং সমস্যা সমাধানের মনোভাব গড়ে তোলার লক্ষ্যে স্কুলপড়ুয়াদের জন্য স্মার্ট ইন্ডিয়া হ্যাকাথন-জুনিয়রও চালু করা হয়েছিল।
২০১৭ সালে শুরুর পর থেকেই স্মার্ট ইন্ডিয়া হ্যাকাথন প্রতি বছরই আকারে আরও বড় হয়েছে। তা নিয়ে ছাত্রছাত্রী এবং প্রবলেম স্টেটমেন্ট দানকারী সংস্থাগুলির মধ্যেও যে উৎসাহ বাড়ছে, অংশগ্রহণকারীদের ক্রমবর্ধমান সংখ্যাই তার প্রমাণ। প্রতি বছর লক্ষ লক্ষ পড়ুয়াকে প্রভাবিত করার পাশাপাশি SIH তাদের শিক্ষাগত যোগ্যতাকে বাস্তব সমস্যা সমাধানে প্রয়োগের সুযোগ দিতে একটি জাতীয় স্তরের মঞ্চ তৈরি করে দিয়েছে। ছাত্রছাত্রীদের মধ্যে উদ্ভাবন এবং ব্যবসার দিকে আগ্রহকেও আরও বাড়িয়ে তুলছে এই কর্মসূচি।
এই বছর জাতীয় স্তরে SIH-এর চূড়ান্ত পর্বে অংশ নিচ্ছে ১২ হাজারেরও বেশি প্রতিযোগী। আড়াই হাজারের বেশি মেন্টরদের সঙ্গে দলগুলি নোডাল কেন্দ্রে পৌঁছবে এবং SIH ২০২৩-এর চূড়ান্ত পর্বে নির্ধারিত সমস্যা সমাধানে কাজ করবে। দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আসা ১২৬ জন অংশগ্রহণকারীকে নিয়ে তৈরি ২১টি দল আইন ও বিচার মন্ত্রকের ৪টি সমস্যা সমাধানের জন্য প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করবে। এই পড়ুয়ারা টেকনোর মূল ক্যাম্পাস সল্টলেকে প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করছে, যেখানে প্রতিটি সমস্যা সমাধানের পুরস্কারমূল্য ১ লাখ টাকা। টেকনো ইন্ডিয়া ইউনিভার্সিটি ক্যাম্পাসে ১৫৪ জন অংশগ্রহণকারীর মোট ২২টি দল আইন মন্ত্রক ও বিচার বিভাগের ৪টি সমস্যা সমাধান করেছে। প্রতিযোগিতার চূড়ান্ত পর্বে শিক্ষার্থীদের জন্য কারাওকে, গান, নাচ এবং জুম্বার মতো বিনোদনমূলক কর্মসূচিরও আয়োজন করছে টেকনো ইন্ডিয়া গ্রুপ।
“টেকনো ইন্ডিয়া গ্রুপের ভাবনা ও দর্শনের মূলে রয়েছে আগামী প্রজন্মের উদ্ভাবকদের তুলে ধরা। কলকাতার নোডাল কেন্দ্র হিসেবে টেকনো ইন্ডিয়া ইউনিভার্সিটি এবং টেকনো মেইন সল্টলেকে স্মার্ট ইন্ডিয়া হ্যাকাথন ২০২৩-এর সূচনার সঙ্গে সঙ্গে আমরাও এক নতুন সফরে পা বাড়িয়েছি। সৃজনশীলতা, সহযোগিতা এবং প্রযুক্তিগত উৎকর্ষকে বাড়তে দেওয়াই যার লক্ষ্য। শুধুমাত্র নতুন প্রতিভা লালনের প্রতি আমাদের প্রতিশ্রুতিকে তুলে ধরার লক্ষ্যেই এই অনুষ্ঠান নয়। বরং ভারতের জন্য একটি স্মার্ট এবং পরিবেশবান্ধব ভবিষ্যৎ গড়তে প্রযুক্তির মুখ্য ভূমিকার উপরেও তা জোর দেবে,’’ বলেন টেকনো ইন্ডিয়া গ্রুপের সহ-সভাপতি, অধ্যাপক মানসী রায়চৌধুরী।
উপযুক্ত পরিবেশে সুনির্দিষ্ট প্রক্রিয়ায় SIH-এর আয়োজন এবং পড়ুয়াদের অংশগ্রহণের জন্যে স্মার্ট ইন্ডিয়া হ্যাকাথন নোডাল কেন্দ্র হিসাবে ৪৭টি উচ্চ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান/ইনকিউবেটরকে চিহ্নিত করেছে শিক্ষা মন্ত্রকের ইনোভেশন সেল এবং অল ইন্ডিয়া কাউন্সিল ফর টেকনিক্যাল এডুকেশন। প্রতিটি নোডাল কেন্দ্রে, শিক্ষা মন্ত্রকের প্রতিটি কেন্দ্রে ইনোভেশন সেলের মনোনীত এক এক জন কর্মকর্তা SIH–এর চূড়ান্ত পর্বের পুরো সময়কালে পর্যবেক্ষণ এবং সভাপতিত্ব করবেন।
স্মার্ট ইন্ডিয়া হ্যাকাথনের সূচনাকাল থেকে ভারতের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী প্রতি বছরই অংশগ্রহণকারীদের সঙ্গে কথা বলেন। এ বারেও চূড়ান্ত পর্বের দিনে সন্ধ্যায় শিক্ষার্থীদের সঙ্গে আলাপচারিতায় মাতবেন তিনি।
টেকনো ইন্ডিয়া গ্রুপ প্রসঙ্গে:
টেকনো ইন্ডিয়া গ্রুপ হল দেশের অন্যতম বৃহৎ এবং পূর্ব ভারতের বৃহত্তম বেসরকারি শিক্ষা গোষ্ঠী। এই গ্রুপের আওতায় রয়েছে অসংখ্য শিক্ষার্থী, ৫ হাজার শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মী সদস্য, ২১টি ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ (AICTE এবং বিশ্ববিদ্যালয় অনুমোদিত), ১২টি বাণিজ্যিক স্কুল, ১৮টি পাবলিক স্কুল (প্লে-গ্রুপ থেকে XII), ১০ লক্ষ প্রাক্তন ছাত্র, ৬টি উচ্চমাধ্যমিক স্কুল, ১০০টি অত্যাধুনিক ক্যাম্পাস এবং বিদেশি প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে সংযোগ। এই গ্রুপের প্রতিষ্ঠিত টেকনো ইন্ডিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ই রাজ্যের প্রথম বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়।
এই প্রতিবেদনটি ‘টেকনো ইন্ডিয়া গ্রুপ’-এর সঙ্গে আনন্দবাজার ব্র্যান্ড স্টুডিয়ো দ্বারা যৌথ উদ্যোগে প্রকাশিত।