অত্যাধুনিক ও আধুনিক মানের শিক্ষা প্রদানে বর্তমানে উল্লেখযোগ্য একটি নাম ‘সিস্টার নিবেদিতা ইউনিভার্সিটি’। মাত্র পাঁচ বছরেরও কম সময়ে ভারতের অন্যতম সেরা বিশ্ববিদ্যালয়ে পরিণত হয়েছে এই বিশ্ববিদ্যালয়। আকর্ষণীয় ক্যাম্পাস, দূরদর্শী নেতৃত্ব, উন্নত মানের কোর্স করার সুবিধা এবং দক্ষ ফ্যাকাল্টি সদস্যদের সহযোগিতা— সব কিছু মিলে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের আরও ভাল মানের শিক্ষার পরিবেশ প্রদানে সহায়তা করেছে।
সম্প্রতি কৃষি বিজ্ঞান শাখাতেও নতুন কেরিয়ার গড়ার সুযোগ করে দিচ্ছে সিস্টার নিবেদিতা বিশ্ববিদ্যালয়। কৃষি বিজ্ঞানে স্নাতকদের জন্যে কেন্দ্রীয় এবং রাজ্য কৃষি উন্নয়ন বিভাগের বিভিন্ন ক্ষেত্রে প্রচুর চাকরির সুযোগ রয়েছে। এর মধ্যে অন্যতম হল রাজ্য কৃষি বিভাগের সহকারী কৃষি পরিচালকের (এডিএ) পদে যোগদান।
রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্ক এবং বেসরকারি ব্যাঙ্কগুলির ফিল্ড অফিসার, গ্রামীণ উন্নয়ন অফিসার এবং কৃষি ও প্রবেশনারি অফিসার হিসাবে কৃষি এবং সংশ্লিষ্ট বিজ্ঞান স্নাতকদের জন্যেও চাকরির সুযোগ করে দেওয়া হচ্ছে।
সিড সংস্থাগুলিতে সিড অফিসার, বিজ্ঞানী, টেকনিক্যাল অফিসার এবং অন্যান্য উপযুক্ত পদেও কাজের সুযোগ রয়েছে। এ ছাড়াও অন্যান্য ক্ষেত্রে চাকরির সুযোগের মধ্যে রয়েছে ফার্ম/চা বাগান ব্যবস্থাপনা, জমি মূল্যায়ন, কৃষি গ্রেডিং, প্যাকেজিং এবং লেবেলিং।
অ্যাগ্রো-ইন্ডাস্ট্রি সেক্টরে পোস্ট গ্র্যাজুয়েটদের জন্যে বিজ্ঞানী, সেলস্ ও মার্কেটিং এবং উৎপাদন বিষয়ে বিশেষজ্ঞ হিসাবেও কেরিয়ার গড়ার সুযোগ রয়েছে। এই কাজের ক্ষেত্রগুলি উৎপাদন, খাদ্য প্রক্রিয়াকরণ, শস্য ও বীজ প্রক্রিয়াকরণ, যন্ত্রপাতি এবং সরঞ্জাম, সার, কীটনাশক, আগাছানাশক এবং স্টার্ট-আপের সঙ্গে সম্পর্কিত।
এ ছাড়াও আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে জাতিসঙ্ঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থা, আইসিআরআইএসএটি, আইএলআরআই এবং কৃষি উন্নয়নের সঙ্গে সম্পর্কিত অন্যান্য সংস্থাগুলিও কৃষি পরামর্শদাতাদের নিয়োগ করে।
উচ্চতর ডিগ্রি-সহ কৃষি পেশাদাররা আইসিএআরের অধীনে গবেষণার ক্ষেত্রেও ‘এগ্রিকালচার রিসার্চ সায়েন্টিস্ট’ (এআরএস) হতে পারেন। এএসআরবি দ্বারা সায়েন্টিফিক পদ এবং এসএইউতে লেকচারশিপের জন্যে পরিচালিত এআরএস/নেট পরীক্ষার মাধ্যমে এই পদে নিয়োগ করা হয়।
কৃষিবিদ্যায় স্নাতকরা আইসিএআর ইনস্টিটিউটে কিছু টেকনিক্যাল পদের জন্যও আবেদন করতে পারেন। টেকনিক্যাল পোস্টের টি-৫ (টেকনিক্যাল অফিসার) স্তরের পদটি পোস্ট-গ্র্যাজুয়েট এবং তার উচ্চতর ডিগ্রিধারীদের জন্যও একটি ভাল বিকল্প।
বেসরকারি খাত:
১. বীজ, সার, কীটনাশক এবং চিনি শিল্পের মতো কৃষি-ভিত্তিক শিল্পগুলি এমন কিছু সম্ভাব্য ক্ষেত্র, যেখানে কৃষি স্নাতকরা তাদের স্নাতকোত্তর কোর্স সম্পন্ন হওয়ার আগেই চাকরির সুযোগ পেতে পারেন। খাদ্য শিল্পের সম্ভাবনাকে কাজে লাগাতে ‘রিলায়েন্স ফ্রেশ’, ‘আদিত্য বিড়লা গ্রুপ’, ‘ওয়ালমার্ট’, ‘আইটিসি’, ‘নীলগিরিস’, ‘প্যান্টালুনস্’, ‘কিউ-শপস্’,‘ফুড বাজার’ এবং অন্যান্য খুচরো বাজারগুলি তাদের ব্যবসা সম্প্রসারণ করছে যা কৃষি স্নাতকদের জন্যে চাকরির সুযোগ বাড়ায়।
২. কৃষি সেলস্ ও মার্কেটিং, পরিবহণ, খামারজাত উপকরণ, গুদামজাতকরণ ইত্যাদি ক্ষেত্রে সরকারি এবং বেসরকারি খাতেও চাকরির সুযোগ রয়েছে।
৩. উদ্যোগপতি: কৃষি স্নাতকরা পরবর্তীতে নিজস্ব ব্যবসাতেও সফল হতে পারেন। পাশাপাশি কৃষি, উদ্যানবিদ্যা এবং সংশ্লিষ্ট ক্ষেত্রেও উদ্যোগপতিদের সফলতার বহু নিদর্শন রয়েছে।
এই প্রতিবেদনটি ‘সিস্টার নিবেদিতা ইউনিভার্সিটি’র সঙ্গে আনন্দবাজার ব্র্যান্ড স্টুডিয়ো দ্বারা যৌথ উদ্যোগে প্রকাশিত।