Amrita University

শিক্ষার্থীদের কেরিয়ার গড়ে দেয় অমৃতা বিশ্ববিদ্যালয়

এনআইআরএফ র‍্যাঙ্ক অনুযায়ী ‘ইউনিভার্সিটি ক্যাটাগরি’ অর্থাৎ বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিপ্রেক্ষিতে পঞ্চম স্থানে রয়েছে অমৃতা বিশ্ববিদ্যালয়। বলা বাহুল্য, অন্যান্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলির তুলনায় নিজেদের অবস্থান বরাবরই এক ধাপ এগিয়ে রেখেছে অমৃতা।

এবিপি ডিজিটাল ব্র্যান্ড স্টুডিয়ো

শেষ আপডেট: ১৬ জানুয়ারি ২০২৩ ১৬:০৪
Share:

অমৃতা বিশ্ববিদ্যালয়

দীর্ঘ দুই দশকেরও বেশি সময় ধরে শিক্ষাজগতে বিশেষভাবে জায়গা করে নিয়েছে অমৃতা বিশ্ববিদ্যালয়। বহু বিষয়ে পড়াশোনার পাশাপাশি বিস্তৃত গবেষণার সুযোগ রয়েছে এই বিশ্ববিদ্যালয়ে। ইঞ্জিনিয়ারিং, ম্যানেজমেন্ট, মেডিসিন, ডেন্টিস্ট্রি থেকে ফার্মাসি, নার্সিং, এগ্রিকালচার,বায়োটেকনোলজি, সায়েন্স, মাস কমিউনিকেশন, আর্টস অ্যান্ড হিউম্যানিটিস এবং সোশ্যাল অ্যান্ড বিহেভিয়ারাল সায়েন্সে - সব মিলিয়ে শিক্ষার্থীদের জন্য প্রায় ২৫০টিরও বেশি স্নাতক, স্নাতকোত্তর,ইন্টিগ্রেটেড এবং পিএইচডি কোর্স নিয়ে হাজির হয়েছে এই শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। অন্ধ্রপ্রদেশের অমরাবতী,কেরলের কোল্লাম ও কোচি, কর্ণাটকের বেঙ্গালুরু ও মাইসোর, তামিলনাড়ুর চেন্নাই ও কোয়েম্বাটোর এবং দিল্লির এনসিআর ফরিদাবাদ – মোট আটটি ক্যাম্পাস রয়েছে অমৃতা বিশ্ববিদ্যালয়ের।

এনআইআরএফ র‍্যাঙ্ক অনুযায়ী ‘ইউনিভার্সিটি ক্যাটাগরি’ অর্থাৎ বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিপ্রেক্ষিতে পঞ্চম স্থানে রয়েছে অমৃতা বিশ্ববিদ্যালয়। ‘দ্য ইমপ্যাক্ট র‍্যাঙ্কিং’ অর্থাৎ শিক্ষাক্ষেত্রে প্রভাবের পরিপ্রেক্ষিতে দেশে প্রথম এবং বিশ্বে ৪১তম স্থান অধিকার করেছে এই প্রতিষ্ঠান। নিজ গুণেই বছরের পর বছর ধরে, ধারাবাহিক ভাবে বিশ্বের সেরা বিশ্ববিদ্যালয়গুলির মধ্যে নিজেদের জায়গা করে নিয়েছে এই বিশ্ববিদ্যালয়।

এখানের স্নাতক কোর্সগুলি এমন ভাবেই তৈরি করা হয়েছে যে তা শিক্ষার্থীদের কাছে সুযোগের বিস্তৃত পরিসর তুলে ধরে। এই প্রতিষ্ঠানে আর্টস, সায়েন্স, মেডিক্যাল সায়েন্স, ইঞ্জিনিয়ারিং, ভিজ্যুয়ালমিডিয়া, কমার্স, অ্যালাইড সায়েন্স, ফুড সায়েন্স অ্যান্ড নিউট্রিশন, কেমিস্ট্রি ইত্যাদি নানা বিষয়েস্নাতক ডিগ্রি অর্জন করে উপযুক্ত কেরিয়ার গড়ে তুলতে পারে শিক্ষার্থীরা।

বলা বাহুল্য, অন্যান্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলির তুলনায় নিজেদের অবস্থান বরাবরই এক ধাপ এগিয়ে রেখেছে অমৃতা। তা সে প্লেসমেন্টের ক্ষেত্রেই হোক অথবা প্রাক্তন শিক্ষার্থীদের সঙ্গে যোগাযোগ,ইন্টার্নশিপ, কোলাবরেশন, সিম্পোসিয়াম, বিভিন্ন ধরনের স্পেশালাইজেশনের ক্ষেত্র।

ডিজাইন, ডিবেট সায়েন্স, নিউরো ইলেক্ট্রো ফিজিওলজি, ডেটা সায়েন্সে মাইনর-সহ ম্যাথেমেটিক্সে স্নাতক, ওয়েস্ট ম্যানেজমেন্ট অ্যান্ড এনভাইরনমেন্টাল হাইজিন, অ্যারোস্পেস ইঞ্জিনিয়ারিং (এইই),অটোমেশন অ্যান্ড রোবোটিক্স ইঞ্জিনিয়ারিং (এআরই) সহ আরও অনেক বিষয়ে স্নাতক করা যায় এই বিশ্ববিদ্যালয়ে। বর্তমান বাজারের কথা ভেবেই এই কোর্সগুলি তৈরি করা হয়েছে। আজকের দিনে দাঁড়িয়ে বাস্তব প্রেক্ষাপটে এই ডিগ্রিগুলির বেশ চাহিদা রয়েছে। স্বভাবতই এই কর্যক্রমগুলি শিক্ষার্থীদের কেরিয়ারের সুযোগ আরও বাড়িয়ে তুলতে পারে।

এই প্রতিষ্ঠানের আরও একটি দিক রয়েছে। বিভিন্ন বিষয়ে গবেষণার ক্ষেত্রে এই প্রতিষ্ঠান নিয়মিত শিক্ষার্থীদের বিষয়ভিত্তিক নতুন দৃষ্টিভঙ্গি তৈরি করতে উৎসাহ দেয়। যে গবেষণা সামাজিক ক্ষেত্রে শিক্ষার্থীদের সহায়তা করে। বিগত সময় জুড়ে এই বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যক্ষ, দক্ষ অনুষদ এবং শিক্ষার্থীরা সকলে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে নীতি আদর্শ বজায় রেখে এই প্রতিষ্ঠানকে এগিয়ে নিয়ে চলেছে।

সময়ের সঙ্গে সঙ্গেই নিজ তালে অগ্রগতির পথে এগিয়ে চলেছে অমৃতা। গবেষণা, পরিকাঠামো,পাঠ্যক্রম, কার্যক্রম এবং সহ-পাঠ্যক্রমের ক্ষেত্রে প্রতিনিয়ত বিশ্বব্যপী অবদান রেখে চলেছে এই বিশ্ববিদ্যালয়।

শিক্ষার্থীরা প্রতিনিয়ত জীবিকা ও জীবনের জন্য শিক্ষাকে হাতিয়ার করে আগামীর লক্ষ্য নিয়ে এগিয়ে চলেছে। যদিও জীবিকার জন্য শিক্ষাক্ষেত্রে সাফল্য জরুরী। তবে মনে রাখতে হবে যে এই শিক্ষাই তরুণদের মধ্যে জ্ঞান, দক্ষতা এবং মূল্যবোধ তৈরি করে। যা নৈতিক জীবনযাপনের জন্য অত্যন্ত প্রয়োজনীয়। সেই পথ ধরেই এগিয়ে চলেছে অমৃতা বিশ্ববিদ্যালয়।

প্রতিবেদনটি অমৃতা বিশ্ববিদ্যালয় -এর সঙ্গে আনন্দবাজার ব্র্যান্ড স্টুডিয়ো দ্বারা যৌথ উদ্যোগে প্রকাশিত।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন