Narayan Memorial Hospital

আপাত চিকিৎসায় ক্রিটিক্যাল কেয়ার বিভাগের কর্মপদ্ধতি সম্পূর্ণ আলাদা, জানাচ্ছেন চিকিৎসক রক্তিম গুহ

কেন হাসপাতালের ক্রিটিক্যাল কেয়ার বিভাগ বা ইনটেনসিভ কেয়ার বিভাগ অন্যতম জরুরি বিভাগগুলির মধ্যে একটি? আলোচনায় নারায়ণ মেমোরিয়াল হাসপাতালের ইনটেসিভ কেয়ার বিভাগের বিভাগীয় প্রধান চিকিৎসক রক্তিম গুহ।

এবিপি ডিজিটাল ব্র্যান্ড স্টুডিয়ো

শেষ আপডেট: ২৭ অক্টোবর ২০২২ ১৭:২৬
Share:

আলোচনায় চিকিৎসক রক্তিম গুহ

যে কোনও সময়, যে কোনও ব্যক্তির জীবনে গুরুতর বিপদ আসতে পারে। যে বিপদ সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিকে ঠেলে দিতে পারে মৃত্যু মুখে। হার্ট অ্যাটাক, ব্রেন স্ট্রোক, দুর্ঘটনা, কোমা ইত্যাদির মতো গুরুতর অবস্থায় চিকিৎসকদের কাছে একমাত্র ভরসা ক্রিটিক্যাল কেয়ার ইউনিট। এই ইউনিট-এর সাহায্য নিয়েই আপাতকালীন অবস্থায় হাসপাতালে আগত বহু রোগীদের সুস্থ করে জীবনের আলোয় ফিরিয়ে দিয়েছেন চিকিৎসকেরা। আবার অনেক সময় তা সম্ভব হয়নি। এই কারণেই ‘ক্রিটিক্যাল কেয়ার’ বিভাগটিকে বহু মানুষ সম্ভ্রমের চোখে দেখেন। কিন্তু কী ভাবে কাজ করে এই ইউনিট? কেন হাসপাতালের ক্রিটিক্যাল কেয়ার বিভাগ বা ইনটেনসিভ কেয়ার বিভাগ অন্যতম জরুরি বিভাগগুলির মধ্যে একটি? আলোচনায় নারায়ণ মেমোরিয়াল হাসপাতালের ইনটেসিভ কেয়ার বিভাগের বিভাগীয় প্রধান চিকিৎসক রক্তিম গুহ।

আলোচনায় চিকিৎসক রক্তিম গুহ

দীর্ঘ সময় ধরে ক্রিটিক্যাল কেয়ার বিভাগের সঙ্গে যুক্ত রয়েছেন চিকিৎসক। তাঁর অভিজ্ঞতার কথাই তিনি তুলে ধরলেন আমাদের কাছে। ক্রিটিক্যাল কেয়ার অর্থাৎ আশঙ্কাজনক রোগীর চিকিৎসা। চিকিৎসকের মতে, ক্রিটিক্যাল কেয়ারের অন্যতম প্রধান কাজ হল একটি অর্গান মনিটরিং। কোনও রোগী এই ইউনিটে আসার পরে তাঁকে যথার্থ পর্যালোচনা করে প্রাথমিক ভাবে বাঁচিয়ে রাখাই হল এই ইউনিটের মূল উদ্দেশ্য।

তবে বর্তমানে সময়ে ‘অঙ্গ দান’-এর পরিমাণ বেড়েছে। সে ক্ষেত্রে কোনও রোগীর ব্রেন ডেথ হয়ে যাওয়ার পরে, তাঁর অঙ্গ-প্রতঙ্গগুলিকে সঠিকভাবে সচল থেকে শুরু করে তার প্রতিস্থাপন পর্যন্ত সব দায়িত্বভার পালন করে এই ইউনিট।

চিকিৎসক রক্তিম গুহ জানাচ্ছেন, জরুরি বিভাগ ও ইনটেনসিভ কেয়ার ইউনিটের মধ্যে বেশ কিছু পার্থক্য রয়েছে। জরুরি বিভাগে খুব স্বল্প সময়ে রোগীদের চিকিৎসা করা হয়ে থাকে। অন্য দিকে ইনটেনসিভ কেয়ার ইউনিটে রোগীদের ভাল ভাবে পর্যবেক্ষণ করার পরেই আরও বিস্তারিত চিকিৎসা পদ্ধতির সাহায্য নেওয়া হয়।

এই ইউনিটে কাজ করা প্রত্যেক কর্মীকেই বিশেষভাবে প্রশিক্ষণ নিতে হয়। চিকিৎসক জানাচ্ছেন, যখন কোনও রোগী তিনি অত্যন্ত গুরুতর অবস্থায় ক্রিটিক্যাল কেয়ারে ভর্তি হন, তখন সেই রোগীর তাৎক্ষণিক চিকিৎসার প্রয়োজন হয়। পরীক্ষা থেকে শুরু করে রোগ নির্ণয়, বা সাপোর্ট দেওয়া, ইত্যাদি কোনও ক্ষেত্রে যদি বিলম্ব হয়, তা হলে সেই রোগীর মৃত্যু পর্যন্ত ঘটতে পারে। পরবর্তী সময়ে রোগীকে পর্যবেক্ষণে রেখে অত্যন্ত বিচক্ষণতার সঙ্গে রোগীর দেখভাল করতে হয়। ফলে এই ইউনিটের প্রতিটি কর্মীর আলাদা ও বিশেষ প্রশিক্ষণের প্রয়োজন পড়ে, যাতে কোনও রকম সমস্যার সৃষ্টি হলেই তাঁরা যেন দ্রুত ব্যবস্থা নিতে পারেন।

সময়ের সঙ্গে সঙ্গে উন্নত হয়েছে চিকিৎসাবিজ্ঞান। তবে এখনও এই ক্রিটিক্যাল কেয়ার বা ইনটেনসিভ কেয়ার সাধারণ মানুষের মনে বেশ কিছু উদ্রেক রয়েছে, ভীতি রয়েছে। কিন্তু মনে রাখতে হবে দক্ষ, প্রশিক্ষিত এবং উপযুক্ত ক্রিটিক্যাল কেয়ার টিম, কোনও রোগীকে মৃত্যুর মুখ থেকে ফিরিয়ে আসতে সক্ষম। চিকিৎসক রক্তিম গুহ’র নেতৃত্বে বেহালার নারায়ণ মেমোরিয়াল হাসপাতালে রয়েছে এই ধরনের বিশেষ ইউনিট, যারা প্রতিনিয়ত বহু রোগীকে ফের সাধারণ জীবনযাপনে ফিরতে সাহায্য করছে।

বিশদে জানতে চোখ রাখুন — https://narayanmemorialhospital.com/

অথবা ফোন করুন পাশের নম্বরে — 033 6640 0100

এই প্রতিবেদনটি ‘নারায়ণ মেমোরিয়াল হাসপাতালের’-এর সঙ্গে আনন্দবাজার ব্র্যান্ড স্টুডিয়ো দ্বারা যৌথ উদ্যোগে প্রকাশিত।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন