প্রতিটি নারীর সাজেই একটি গুরুত্বপূর্ণ অনুষঙ্গ হল গয়না। কারণ, গয়না ছাড়া সাজ প্রায় অপূর্ণ থেকে যায় বললেই চলে। তাই ঐতিহ্য ও পরম্পরা বজায় রেখে সব অনুষ্ঠানের জন্যে আর সি পারেখ জুয়েলার্স নিয়ে এসেছে একগুচ্ছ চোখধাঁধানো সম্ভার। সাধ ও সাধ্যের মধ্যে নতুনত্বের ছোঁয়ায় ভরানো প্রতিটি কালেকশন আপনার নজর কাড়তে বাধ্য।
সময়ের পরিবর্তনের সঙ্গে গয়নার নকশাতেও ভিন্নতা এসেছে। এক সময়ে বিয়ের গয়না মানে ছিল শুধুই সোনার গয়না। কিন্তু এখন বিয়ের দিনেও অনেকে পছন্দ করছেন হালকা ধরনের ট্রেন্ডি গয়না। তাই ঐতিহ্যের সঙ্গে আধুনিকতাকে বজায় রাখতে চাইলে আপনিও এই ধরনের কুন্দন সীতাহার বেছে নিতে পারেন।
শুধু বিয়েবাড়িই কেন? বাঙালি মানে বারো মাসে তেরো পার্বণ। উৎসবের ঘনঘটা সব সময়েই লেগে রয়েছে। তাই এখন উৎসবের মরসুমে শুধুই আভিজাত্যপূর্ণ সোনার গয়না নয়, জায়গা করে নিয়েছে এই ধরনের পাথরের গয়নাও। নিজের পছন্দমতো বেছে নেওয়ার সুবিধা থাকার কারণে এই ‘কাস্টমাইজ়ড জুয়েলারি’ এখন খুবই ট্রেন্ডিং।
গলাভরানো সোনার নেকলেস এখন আর আগেকার মতো কেবল হলুদ বা সাদা রঙের মধ্যে সীমাবদ্ধ নেই। পুরনো গয়না ভেঙে বিয়ের শাড়ির সঙ্গে মিলিয়ে পাথর, পুঁতি বসিয়ে এ রকম হালকা ধরনের নকশার মধ্যে নজরকাড়া গয়না বানিয়ে নিতেই পারেন।
নিত্যনতুন ফ্যাশন ট্রেন্ডে পোশাকের সঙ্গে মানানসই করে তৈরি হচ্ছে গয়না। আট থেকে আশি কেউই এখন বিশেষ ভারী গয়নার দিকে ঝোঁকেন না। আপনিও যদি তাঁদের মধ্যে এক জন হন, তা হলে এ রকম হালকা পাথরের কাজ করা হার, কানের দুল ও বালা জোড়া বেছে নিতেই পারেন। যে কোনও অনুষ্ঠানে শাড়ির সঙ্গে এই ধরনের গয়না আপনার লুকে আভিজাত্য ফুটিয়ে তুলবে।
অনেকেই এখন জমকালো পোশাকের সঙ্গে ভারী গয়না পছন্দ করেন না। সে ক্ষেত্রে যে কোনও অনুষ্ঠানে সাজগোজে নতুনত্ব রাখতে গলায় হালকা ধাঁচের হারের সঙ্গে এই ধরনের একটা ভারী ঝুমকো পরতেই পারেন।
ঐতিহ্যবাহী বিয়ের গয়নার মধ্যে অন্যতম হল রতনচূড়। মুঘলদের হাত ধরে এই গয়না ভারতে প্রচলিত হয়েছিল। সেই থেকে আজ অবধি বাঙালি বিয়ের রীতিতে ঐতিহ্য ও আভিজাত্য বজায় রেখেছে এই রতনচূড়।
গয়নার প্রকারভেদে সোনার পাশাপাশি বর্তমানে ‘গোল্ড প্লেটেড’, ‘মেটাল’, ‘স্টোন’, পুঁতি-সহ নানা ধরনের গয়না জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। এই সকল প্রকার গয়নার সম্ভার এখন এক ছাদের নীচে, শুধুমাত্র আর সি পারেখ জুয়েলার্সে।
হালফ্যাশনে জমকালো সাজের সঙ্গে পাল্লা দিচ্ছে হাতের বিভিন্ন গয়নাও। এক হাতে থাকছে ব্রেসলেট, বালা বা বাউটি এবং অন্য হাতে থাকছে ঘড়ি বা আংটি। এ ক্ষেত্রে পোশাকের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে এই ধরনের পাথর বসানো কুন্দন বালা বেছে নিতে পারেন।
তবে শুধু বিয়েই নয়, যে কোনও অনুষ্ঠানের জন্যই আর সি পারেখ জুয়েলার্সের চোখধাঁধানো সংগ্রহ আপনাকে মুগ্ধ করবে। যেমন চোকার থেকে শুরু করে লেয়ারড নেকলেস, লহরী মালা, বকুলফুল হার ইত্যাদি। আসন্ন অক্ষয় তৃতীয়ায় পরিবারের সুখ ও সমৃদ্ধি বৃদ্ধি করতে আজই আসুন আর সি পারেখ জুয়েলার্সে।
ঠিকানা: ৩বি, আপার উড স্ট্রিট, কলকাতা ৭০০০১৭ ফোন নম্বর- ৪০৬০৪০৬০ এই প্রতিবেদনটি ‘আর সি পারেখ জুয়েলার্স’—এর সঙ্গে আনন্দবাজার ব্র্যান্ড স্টুডিয়ো দ্বারা যৌথ উদ্যোগে প্রকাশিত।