প্রতিটি শিশুর জীবনে তার মায়ের স্থান বরাবরই আলাদা, স্বতন্ত্র। মা-ই তাদের কাছে আসল পৃথিবী। জন্মানোর পরই তারা যে ভাষাটি উচ্চারণ করে তা হল মা। তবে শুধুমাত্র শিশুরাই নয়। প্রতিটি স্বামিই তাদের স্ত্রী-এর ওপর নির্ভরশীল। এমনকি একজন ভাইয়ের কাছেও, তার বোন, বন্ধুর চেয়ে কোনও অংশে কম নয়।
ঠিক একই রকম ভাবে পুনমও একজনের মা, একজনের স্ত্রী, একজনের বোন।
দুঃসংবাদটা করা নাড়ে জানুয়ারি মাসে। হঠাৎ করে জ্বর এবং তার পরেই শরীর দুর্বল হয়ে পড়ে। সেখান থেকেই এর সূত্রপাত। ডাক্তার দেখিয়ে ওষুধ খেয়ে শরীর সুস্থ হওয়া তো দূরের কথা, যতদিন যায়, পুনমের শরীর আরও খারাপ থেকে, খারাপতর হতে থাকে।
এরপর বিভিন্ন পরীক্ষা করার মাধ্যমে জানা যায়, পুনম লিউকেমিয়া, অর্থাৎ ব্লাড ক্যানসারে আক্রান্ত। তৎক্ষণাৎ তার চিকিৎসা শুরু হলেও, পরিস্থিতি তাদের সাথ দিল না। তার চিকিৎসা চলাকালীনই, এই অতিমারি পরিস্থিতির জন্য তাকে চলে যেতে হয় অন্য হাসপাতালে।
তার ১৫ বছরের মেয়ে, মায়ের এই অবস্থায় সবসময়ই তার কাছে ছিল। মায়ের যত্নও করেছে সে।
মা খুব শীঘ্রই সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরে আসবে, এই বিশ্বাস নিয়েই দিন কাটাচ্ছিলেন পুনমের ছোট্ট মেয়ে। তার স্বামী ক্রমাগত ভয়ের সঙ্গে দিন কাটাচ্ছেন। পুনমের কিছু হয়ে গেলে তার এবং তাদের মেয়ের কী হবে এই ভেবে আতঙ্কিত এই পরিবার।
পুনম এমন একজন মানুষ, যে আমাদের বাড়িটাকে এক ছত্রছায়ায় পরিনত করেছে। আমাদের পক্ষে ওকে ছেড়ে থাকা অসম্ভব। প্রতিনিয়ত, ও নিজের কথা না ভেবে, আমাদের কথা ভাবে। আমি রাত-দিন ওর জন্য প্রার্থনা করি। আমি জানি, ভগবান একটা রাস্তা ঠিকই বের করবেন।- এই কথাগুলোই বলছিলেল, পুনমের ভাই।
ছোট্ট মেয়ের হাত শক্ত করে ধরে থাকতে দেখে, বারবার মনে হয়, এটাই যেন তার মেয়ের সাথে সময় কাটানোর শেষ সন্ধিক্ষণ।
ক্যানসার পুনমকে দিনের পর দিন, দুর্বল করে তুলছে। কেমোথেরাপি চলার পরও তার অবস্থার কোনও উন্নতি হয়নি। এই মুহুর্তে তাকে, যত তাড়াতাড়ি সম্ভব বোনম্যারো ট্রান্সপ্ল্যান্ট করাতে হবে। এবং তার জন্য তার ভাই সঠিক ম্যাচও পেয়ে গিয়েছে। কিন্তু, এই অপারেশন করানোর মত সামর্থ তাদের নেই।
এই চিকিৎসা করানোর জন্য প্রয়োজন ১৮ লক্ষ টাকা।
পুনমের স্বামী জানায়, এতগুলো টাকা জোগাড় করার মতো ক্ষমতা তার নেই। সে খুবই অসহায়।
ছোট্ট মেয়েটি দিনের পর দিন, তার মা-কে, মৃত্যু শয্যায় দেখার যন্ত্রণা সহ্য করে চলেছে। পুনমের পরিবার, এবং তার মেয়ের আপনার সাহায্য়ের খুবই প্রয়োজন। দয়া করে ওদের আপনার সাহায্য়ের হাত বাড়িয়ে দিন। আপনার প্রতিটি সাহায্য়ই পারে পুনমকে সুস্থ করে বাড়ি ফিরিয়ে আনতে।