NSHM

অফলাইন এবং অনলাইন শিক্ষার সঠিক মিশ্রনই এগিয়ে নিয়ে যাবে বেসরকারী শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলিকে

এনএসএইচএম হল পূর্ব ভারতে একমাত্র প্রতিষ্ঠান, যারা সর্বপ্রথম ই-লিড সার্টিফিকেট পেয়েছে।

Advertisement

কৃষ্ণেন্দু সরকার

শেষ আপডেট: ১২ সেপ্টেম্বর ২০২০ ০২:০২
Share:

খুব অল্প সময়ের মধ্যেই পুরাতন প্রথায় চলা বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলিকে অনলাইন শিক্ষা ব্যবস্থার আওতায় নিয়ে এসেছে কোভিড ১৯ পরিস্থিতি।

Advertisement

ভবিষ্যতের জন্য তথাকথিত শিক্ষা পদ্ধতি এবং ডিজিটাল পদ্ধতিকে মিলিয়ে দিয়ে নতুন কিছু গড়ে তোলা প্রয়োজন। বলা বাহুল্য উচ্চ শিক্ষার সময়ে সর্বদাই পড়ুয়াদের স্বভাব ও অভিজ্ঞতাকে ভাল ভাবে বুঝতে হয়। আবার অন্য দিকে তাদের চাহিদা অনুযায়ী শিক্ষার সম্প্রসারণই হয়ে দাঁড়ায় মূল চাবিকাঠি।

এই পরিস্থিতিতে দাঁড়িয়ে মনে করা হচ্ছে, ২০২৫ এর মধ্যে অনলাইন শিক্ষার বাজার ৩৫০ বিলিয়ন ডলারে পৌঁছে যাবে। বিভিন্ন ভাষার অ্যাপ থেকে শুরু করে ভার্চুয়াল টিউটোরিয়াল, ভিডিও কনফারেন্স, কিংবা যে কোনও ধরনের অনলাইন লার্নিং সফ্টওয়্যার — যাই হোক না কেন, বিগত কয়েক মাসে এই মহামারীর কারণে এই সমস্ত কিছুর ব্যবহারের মাত্রা উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে।

Advertisement

আর এই পরিস্থিতির ফায়দা তুলছে অনলাইন লার্নিং প্ল্যাটফর্মগুলি। কোর্সেরার বর্তমান বাজারমূল্য উঠেছে ১ বিলিয়ন ডলার এবং তারা এই লভ্যাংশ পার্টনার ইউনিভার্সিটির সঙ্গে ভাগ করে নিয়েছে। ২০২০ সালে ফেব্রুয়ারি ও মার্চ মাসে উডেমিতে ৪০০ শতাংশেরও বেশি শিক্ষার্থী তালিকাভুক্ত হয়েছে। এর উপরে, ডিগ্রি প্রদানকারীদের ক্রমবর্ধমান তালিকা তো রয়েছেই। যেমন ধরুন, উডাসিটির ন্যানোডিগ্রি (সপ্তাহে ১০ ঘণ্টা করে তিন থেকে চার মাসের কোর্স), কিংবা ইডিএক্স এর মাইক্রোমাস্টার্স (একটা সেমেস্টারের ফুল টাইম মাস্টার্স প্রোগ্রামের সমান)।

এই সময়ে প্রত্যেকেরই মুল লক্ষ হল শংসাপত্রের দিকে কোনও নির্দিষ্ট পক্ষপাত না করে ধীরে ধীরে প্রমাণিত দক্ষতার উৎসকে খুঁজে বের করা। এটি বেসরকারী ইনস্টিটিউশনগুলির ক্ষেত্রে একটি উপযুক্ত কেস হতে পারে। কারণ, সরকারী সংস্থাগুলির মতো, বেসরকারী ইনস্টিটিউশনগুলি করদাতাদের অর্থের উপরে নিজের অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখে না।

বিশ্বব্যপী সম্মানিত কিউএস-এর ভারতীয় অধ্যায় - কিউএস আইগজের প্রসঙ্গে ই-লিডকে অ্যাকাডেমিক ডিজিটাইজেশনে ই-লার্নিংয়ের উৎকর্ষতার মান হিসেবে সংজ্ঞায়িত করা হয়েছে। ই-লিডের প্রত্যেকটি শংসাপত্রে সেই সমস্ত ভেরিফিকেশন এবং ভ্যালিডিটি রয়েছে, যা একটি ইনস্টিটিউশনের অনলাইনে শিক্ষা প্রদানের জন্য প্রয়োজন হয়। এর প্রতিটি প্রক্রিয়ার সঙ্গে বিভিন্ন পারফরমেন্স মেট্রিক জড়িত।

বর্তমানে ভারতে ই-লিড ব্যাজ রয়েছে মূলত উচ্চ শিক্ষাপ্রদানকারী বেসরকারী সংস্থাগুলির কাছে। যারা কিনা সরকারি ইনস্টিটিউশনগুলির তুলনায় অনেক ভাল ভাবে মিশ্র শিক্ষা প্রদান করতে সক্ষম। বেসরকারী এই প্রতিষ্ঠানগুলির কাছে অনলাইন ও অফলাইনকে মিলিয়ে শিক্ষা প্রদানের মাধ্যমে নিজেকে শ্রেষ্ঠ হিসেবে প্রমাণ করার সুযোগ এটাই।

এই মাপকাঠিতে এনএসএইচএম বেশ এগিয়ে এবং এর কারণগুলি হল:

১. ধারাবাহিকভাবে লার্নিং ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম পরিচালনা ও তার ক্রমাঙ্ক নির্ণয়।
২. কনটেন্ট তৈরিতে, এমনকী গণনার ক্ষেত্রে অপচয়কেও বিশেষ ভাবে গুরুত্ব দেওয়া।
৩. মিশ্র শিক্ষা পদ্ধতির বিভিন্ন মডেল তৈরি ও তার প্রয়োগের মাধ্যমে শিক্ষার্থী 'পছন্দ'কে বেছে নিতে ক্রমাগত পরীক্ষা-নিরীক্ষা চালানো।
৪. ৪.০ টেকনোলজি থেকে নিজেদের বিরত না রাখা
৫. জাতীয় শিক্ষানিতী ২০২০ বিভিন্ন বৈশিষ্ট্যকে গুরুত্ব দিয়ে অন্তর্ভুক্তি করা।

এই সমস্ত কারণেই এখনও পর্যন্ত এমএসএইচএম কলকাতা ও দুর্গাপুর ক্যাম্পাস সমগ্র পূর্ব ভারতে একমাত্র কলেজ যারা ই-লিডের শংসাপত্র পেয়েছে। যা কিনা ভবিষ্যৎ শিক্ষাব্যবস্থায় এক নয়া উদ্যোগের জ্বলন্ত প্রমাণ। পাশাপাশি কিউএস-এর সামগ্রিক মূল্যায়নেও এনএসএইচএম-এর প্রতিটি ক্যাম্পাস পূর্ণ নম্বর অর্জন করেছে।

প্রতিবেদনটির লেখক সিএসআইআর-এর প্রাক্তণ বিজ্ঞানী। ২০০২ সালে অ্যাকাডেমিকের প্রধান হিসেবে এনএসএইচএম-এর সঙ্গে যুক্ত হন তিনি এবং বর্তমানে তিনি প্রতিষ্ঠানের স্ট্র্যাটেজি ও ইমপ্যাক্ট বিভাগের প্রধান।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement