সময় এবং জীবন, কেউই কারোর জন্য থেমে থাকে না। কিন্তু কোনও কোনও সময়ে জীবন আমাদের এমন কিছু পরিস্থিতির সামনে এনে দাঁড় করিয়ে দেয় যে, সেই সময় আমাদের আর কিছুই করার থাকে না।
ঠিক সেই রকমই এক পরিস্থিতির সম্মুখীন জায়েসের পরিবার। ৮ বছরের সন্তান জায়েসকে নিয়ে সুখেই কাটছিল জীবন। কিন্তু হঠাৎ এক দমকা হাওয়া সমস্ত সুখকে বিষাদে ভরিয়ে দিল।
প্রতিটি মায়ের কাছে তার সন্তানের চেয়ে মূল্যবান আর কিছুই হয় না। সন্তানকে দিনের পর দিন মৃত্যু শয্যায় দেখে কোনও মা-ই ভালো থাকতে পারে না। জায়েসের মা-ও চায় তার সন্তান তাড়াতাড়ি সুস্থ হয়ে উঠুক।
অ্যাপলাস্টিক অ্যানিমিয়া রোগে আক্রান্ত ৮ বছরের জায়েসের চোখে মুখে আজ এক অদ্ভুত ভয়ের ছাপ। নার্স, ডাক্তার, ইনজেকশন এই সমস্ত কিছুর ভয়ই একই সঙ্গে যেন চেপে ধরেছে ছোট্ট শিশুটিকে। আর সেই ভয়কে যতবারই সামনে থেকে দেখে ততবারই তার মায়ের হাত আরও শক্ত করে ধরতে চায় সে। মা এবং তার সন্তান, দু’জনই দু’জনের পরিপূরক। একমাত্র মৃত্যু ছাড়া তাদের আলাদা করে সেই সাধ্যি কারোর নেই। তবুও ভাগ্যের এমন পরিহাস, আজ সেই ছোট্ট সন্তানই প্রতিনিয়ত মৃত্যুর সঙ্গে লড়াই চালিয়ে যাচ্ছে।
দিনের পর দিন বুকে ব্যথা, ঝিমিয়ে পরা ও শরীর দুর্বল হয়ে যাওয়া দেখে যখন ডাক্তারের কাছে তাকে নিয়ে যাওয়া হয়, তখন ডাক্তার জানায়, জায়েস অ্যাপলাস্টিক অ্যানিমিয়া রোগে আক্রান্ত। অ্যাপলাস্টিক অ্যানিমিয়া হল এমন এক ধরনের মারণ রোগ যা আমাদের শরীরের বোন ম্যারোতে রক্তসঞ্চয় বন্ধ করে দেয়। আর এরপরই ছোট্ট, প্রাণচ্ছ্বল শিশুটি ধীরে ধীরে আরও অসুস্থ হয়ে পরতে থাকে।
ব্লাড ট্রান্সফিউশন থেকে ওষুধের সমস্ত জোগাড়, তার বাবার পক্ষে যতটুকু সম্ভব তাঁরা করেছেন। ডাক্তারের কথা অনুযায়ী, যত তাড়াতাড়ি সম্ভব তার ট্রান্সপ্লান্টের জন্য একজন ডোনারের ব্যবস্থা করা দরকার। কিন্তু তার জন্য প্রয়োজন ২১ লক্ষ টাকা।
করোনা পরিস্থিতিতে জায়েসের বাবার একমাত্র রোজগারের রাস্তা বন্ধ হয়ে গিয়েছে। তার মা সমস্ত গয়নাও বিক্রি করে দিয়েছেন। এই মুহূর্তে তাদের কাছে একটি টাকাও অবশিষ্ট নেই যা দিয়ে তারা তাদের সন্তানের চিকিৎসা করাতে পারবেন।
এই অবস্থায়, একমাত্র আপনিই পারেন সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিতে। আপনার সাহায্য বাঁচিয়ে তুলতে পারে একটি তরতাজা প্রাণ। তাই দয়া করে এগিয়ে আসুন এবং ছোট্ট শিশুটিকে সুস্থ করে তুলতে সহায়তা করুন।
এটি একটি বিজ্ঞাপন প্রতিবেদন। স্পনসরের সঙ্গে যৌথ উদ্যোগে প্রকাশিত।