অ্যাডগলি’স সিএমওস’ চর্চা
অসাধারণ সাফল্যের স্বাদে সমাপ্তি ঘটল অ্যাডগলি’স সিএমওস’ চর্চা - কলকাতা অধ্যায়ের। গত ১৪ জুন দ্য ললিত গ্রেট ইস্টার্ন, কলকাতায় এই অনুষ্ঠানে ৫০০-রও বেশি শিল্প বিশেষজ্ঞ সামিল হন। মার্কেটিং বিভাগের পেশাদারদের জন্যে এই দুর্দান্ত ইভেন্টটি জ্ঞান, অনুপ্রেরণা এবং উন্নত নেটওয়ার্কিংয়ের সুযোগের এক অন্যতম কেন্দ্রস্থল হয়ে উঠেছিল।
এ বছরের অনুষ্ঠানের মূল আকর্ষণ ছিল মার্কেটিং অ্যান্ড অ্যাডভার্টাইজিং অ্যাওয়ার্ডস (এমএএ)-এর সূচনা, যা নির্দিষ্ট অঞ্চলে শ্রেষ্ঠত্ব অর্জন করা মার্কেটিং পেশাদার ও সংস্থাগুলির মেধা এবং প্রভাবকে স্বীকৃতি এবং সম্মান জানিয়েছিল। ৩০০-রও বেশি মনোনয়নের মধ্যে ‘এমএএ অ্যাওয়ার্ডস’ ১০০-এরও বেশি বিজয়ীকে সম্মানিত করে, যাঁরা শিল্প ক্ষেত্রে নিজেদের প্রতিভার উজ্জ্বল প্রমাণ রেখে সাফল্য অর্জন করেছে।
ইভেন্টের বিশেষ মুহূর্ত:
বছরের জনপ্রিয়তম ব্র্যান্ড পার্সন: প্রিয়াঙ্কা সরকার
বছরের সেরা অভিনেতা: প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়
বছরের সেরা অভিনেত্রী: ইশা এম সাহা
বছরের সেরা স্টাইলিশ আইকন (পুরুষ): অনির্বাণ ভট্টাচার্য
বছরের সেরা স্টাইলিশ আইকন (মহিলা): নুসরত জহান
জেন জেডের পছন্দে সবচেয়ে জনপ্রিয় অভিনেতা: যশ দাশগুপ্ত
জেন জেডের পছন্দে সবচেয়ে জনপ্রিয় অভিনেত্রী: ঋতাভরী চক্রবর্তী
বছরের উদীয়মান তারকা (পুরুষ): অর্জুন চক্রবর্তী
বছরের সেরা বিজ্ঞাপন পরিচালক: ধ্রুব বন্দ্যোপাধ্যায় (বার্জার, লাইফবয়)
বছরের সেরা বিনোদন জুটি: কৌশানি মুখার্জি ও বনি সেনগুপ্ত
বছরের সেরা মিডিয়া ও এন্টারটেইনমেন্ট কোম্পানি সংস্থা: এসভিএফ মিডিয়া
বছরের সেরা ব্র্যান্ড: জি বাংলা
বছরের সেরা এজেন্সি: থ্রি ফোর্থ সলিউশনস
বছরের সেরা এজেন্সি (অ্যাডগলি চয়েস): এসওএস আইডিয়াস
অ্যাডগলির প্রতিষ্ঠাতা ও সিইও বিজয়া ঘোষ বলেন, “অ্যাডগলির সিএমওস’ চর্চা - কলকাতা অধ্যায়ের অসাধারণ সাফল্য শিল্প ক্ষেত্রে আমাদের গতিময়তা এবং ক্রমপরিবর্তনশীলতাকেই তুলে ধরে। এই অনুষ্ঠান শুধু মার্কেটিং বিভাগের পেশাদার এবং এজেন্সিগুলির উজ্জ্বলতাকেই স্বীকৃতি জানায়নি, বরং মার্কেটিংয়ের ভবিষ্যৎ গঠনে প্রযুক্তি এবং ডেটা-ভিত্তিক কৌশলের গুরুত্বকেও স্পষ্ট করেছে।”
বিজয়া ঘোষ আরও বলেন, “এই বছরের সিএমওস’ চর্চায় ‘এমএএ অ্যাওয়ার্ডস’-এর উদ্বোধন আমাদের জন্য একটি বড় মাইলফলক। মার্কেটিং বিভাগের পেশাদার এবং এজেন্সিগুলির অসাধারণ অবদানকে স্বীকৃতি দেওয়া এবং উদ্যাপন করা আমাদের জন্য একটি সম্মানের বিষয়। তাঁদের উদ্ভাবনী এবং প্রভাবশালী কাজের ধারা একটি উচ্চ মানদণ্ড তৈরি করে। তাঁদের কৃতিত্বকে সর্বসমক্ষে তুলে ধরার একটি মঞ্চ গড়তে পেরে আমরা গর্বিত।”
এমন ভাবনার খোরাক জুগিয়ে দেওয়া সমাবেশের জন্য এক আকর্ষণীয় প্রেক্ষাপট গড়ে দিয়েছিল কলকাতার মতো প্রাণবন্ত শহর। 'মার্কেটিং রেনেসাঁ’: পরিবর্তনশীল মিডিয়া ল্যান্ডস্কেপে ভবিষ্যৎ নির্ধারণ' থিমে 'সিএমওস’ চর্চা'র ২০২৪ সংস্করণ আধুনিক বিপণন কৌশলগুলিকে তুলে ধরেছিল। প্রযুক্তি এবং তথ্য-নির্ভর পদ্ধতি কী ভাবে এই শিল্প ক্ষেত্রের ভবিষ্যৎ গড়ে দিচ্ছে, সে বিষয়টি প্রাধান্য পায় আলোচনায়।
ভিএমএল-এর সিইও ববিতা বড়ুয়া এ দিনের সম্মেলনের সূচনা করেন, ‘চার্টিং দ্য ফিউচার ফর এজেন্সিস ইন অ্যান ইভলভিং মার্কেটিং ল্যান্ডস্কেপ’ শীর্ষক বক্তব্যে। এর পর ‘পাওয়ারিং স্টার্ট-আপ ইকোসিস্টেম- দ্য ইস্ট সাইড স্টোরি’-এর উপর একটি প্যানেল হয়, যা পূর্ব ভারতের বাজারে স্টার্ট-আপ সেক্টরের তুমুল প্রসার এবং সংস্থাগুলির অনন্য শক্তিগুলিকে তুলে ধরে।
দিনভর কর্মশালা, বক্তব্য পেশ এবং আলোচনায় সামিল হন বিশেষজ্ঞরা। কলকাতা বাজারে সফল বিপণনী প্রচার, তার বাস্তবায়নে ব্যবহারিক ধারণা এবং বাস্তব উদাহরণ উঠে আসে চর্চায়। এই অনুষ্ঠানে এক একটি অঞ্চলের নিজস্ব প্রবণতা, চ্যালেঞ্জ এবং সুযোগ নিয়ে আলোচনা চলে। যার কেন্দ্রে ছিল পূর্ব এবং উত্তর-পূর্ব ভারতের বাজার পরিস্থিত।
অ্যাডগলি’স সিএমওস’ চর্চা - কলকাতা অধ্যায়ের অভূতপূর্ব সাফল্য বিশেষত ভারতের পূর্বাঞ্চলে বিপণন শিল্পের গতিশীল এবং পরিবর্তনশীল চরিত্রকেই প্রতিফলিত করে। কলকাতার ব্যাপক সমর্থন এবং শিল্পনেতাদের বিপুল অংশগ্রহণের মাধ্যমে এ বছরের ভবিষ্যতের সংস্করণগুলির জন্যেও এক নতুন মাপকাঠি তৈরি করে দিল।
এই প্রতিবেদনটি অ্যাডগলি’স —এর সঙ্গে আনন্দবাজার ব্র্যান্ড স্টুডিয়ো দ্বারা যৌথ উদ্যোগে প্রকাশিত।