ওয়েব সিরিজ়ের একটি অংশ
মিমি চক্রবর্তী এবং টোটা রায় চৌধুরী অভিনীত হইচই এর নতুন বছরের প্রথম সিরিজ় ‘যাহা বলিব সত্য বলিব’ মুক্তি পেয়েছে ইতিমধ্যেই। মিমি চক্রবর্তীর ওটিটি ডেবিউয়ের সঙ্গে এই গল্পটি একটি সত্য ঘটনা অবলম্বনে তৈরি হয়েছে। টিজ়ার বেরোনোর পর থেকেই দর্শকের মধ্যে চরম উন্মাদনা এই সিরিজ়টিকে নিয়ে। ২০০২ সালে কলকাতার বুকে ঘটে যাওয়া যেই মর্মান্তিক ঘটনার কথা আজও শহরবাসী ভুলতে পারেনি, সেই ঘটনাকে কেন্দ্র করেই এই সিরিজ়টি বানিয়েছেন পরিচালক চন্দ্রাশিস রায়।
বাংলার ওয়েব জগতে সত্য ঘটনা অবলম্বনে কাজের পরিমাণ এখন খুবই সীমিত। কিন্তু আশা করা যায় এই সিরিজ়টির হাত ধরে, ভবিষ্যতে আরও এরকম সাহসী কাজ দেখতে পাবে বাংলার দর্শকবাসী। এই গল্পে পৃথা রায়ের ভূমিকায় অসামান্য অভিনয় করেছেন মিমি চক্রবর্তী। তাঁর বিপরীতে রয়েছেন জয়রাজ সিংহ। যে চরিত্রটি নিখুঁতভাবে ফুটিয়ে তুলেছেন টোটা রায় চৌধুরী। এই কোর্টরুম ড্রামাটি পুরোটাই ফুটে উঠেছে পৃথা রায়ের নজরে। আইসি তাপস সাহা হত্যাকাণ্ড মামলায় যেখানে কাঠগোড়ায় স্বয়ং পুলিশ, সেখানে পৃথা রায় একা একজন নারী এবং প্রসিকিউশন উকিল হিসাবে কতটা পারবে নিহত পুলিশ কর্মীর পরিবারকে ন্যায় দিতে? — ঠিক এই বিষয় নিয়েই গল্প এগোয়।
শুধু মিমি চক্রবর্তী এবং টোটা রায় চৌধুরীই নয়, বাকি চরিত্রদের অভিনয়ও দাগ কেটেছে মানুষের মনে। এই রকম একটা কাজ দর্শককে উপহার দেওয়ার পর দর্শকের মনে আরও নতুন ধরনের গল্প দেখার আগ্রহ বাড়িয়ে তুলেছে হইচই। গল্প থেকে মেকিং, সংলাপ থেকে ট্রিটমেন্ট, সব মিলিয়ে ‘যাহা বলিব সত্য বলিব’ একাধারে বেশ টান টান একটি সিরিজ়। সত্য ঘটনা অবলম্বনে নির্মাণ হওয়ার দরুন এই সিরিজ়ে লক্ষ্য করা গিয়েছে বেশ রিয়েলিস্টিক এবং রিলেটেবেল একটি অ্যাপ্রোচ। এখন আপামর দর্শকের হইচইয়ের কাছে প্রত্যাশা একটাই। তারা যেন এমন আরও গল্প দর্শকদের উপহার দেয় এবং তাদের কাজের মাধ্যমে সমাজের বিভিন্ন দিকগুলিকে নির্ভীকভাবে ফুটিয়ে তোলে।