ঢাকায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কার্যালয়ে্র পিছনে এই বাড়িতেই লুকিয়ে ছিল জঙ্গিরা। ছবি: সংগৃহীত।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকারি কার্যালয়ের ঠিক পিছনেই ছিল জঙ্গিদের আস্তানা! ঢাকার তেজগাঁও এলাকায় জঙ্গিদের সেই আস্তানায় বৃহস্পতিবার রাত থেকে শুক্রবার সকাল পর্যন্ত ‘র্যাব’-এর অভিযানে তিন জঙ্গি নিহত হয়েছে। জঙ্গিরা ঢাকার বিভিন্ন সরকারি কার্যালয়ে হামলার ছক কষছিল। বাড়িটিতে গত পাঁচ বছরে জঙ্গিদের খোঁজে এই নিয়ে চার বার অভিযান চালানো হল।
তেজগাঁও থানার ভারপ্রাপ্ত অফিসার মাজহারুল ইসলাম এই খবর দিয়ে বলেছেন, ‘‘প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় ও এমপি হস্টেলের ঠিক পিছনে ‘রুবি ভিলা’ নামের ওই বাড়িতেই লুকিয়ে ছিল জঙ্গিরা। তাদের দেহগুলি পাওয়া যায় বাড়ির পঞ্চম তলায়। তাদের দেহগুলি ময়না তদন্তের জন্য শহিদ সোহরাওয়ার্দি মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।’’ পুলিশ সূত্রের খবর, জঙ্গিদের খোঁজে ‘রুবি ভিলা’য় ২০১৩, ২০১৬ এবং ২০১৭ সালেও অভিযান চালানো হয়েছিল।
‘র্যাব’-এর গণমাধ্যম শাখার পরিচালক কমান্ডার মুফতি মাহমুদ খান জানান, নিহত তিন জঙ্গি জেএমবি’র সদস্য। ঢাকায় একটি ‘সেল’ গড়ে তুলে গুরুত্বপূর্ণ বিভিন্ন সরকারি কার্যালয়ে হামলার ছক কষছিল ওই জঙ্গিরা।
মুফতি জানান, বৃহস্পতিবার রাতে ‘র্যাব’ অভিযান শুরু করলে বাড়ির ভিতর থেকে গুলিবর্ষণ ও গ্রেনেড ছুড়তে শুরু করে জঙ্গিরা। তাতে কাজ না হওয়ায় ফ্ল্যাটে রান্নার গ্যাস জ্বালিয়ে সেখানে গ্রেনেড রেখে জঙ্গিরা বিস্ফোরণ ঘটানোর চেষ্টা করে। কিন্তু ‘র্যাব’-এর তৎপরতায় জঙ্গিদের সেই পরিকল্পনা ভেস্তে যায়। ‘র্যাব’ পাল্টা গুলি ছুড়লে তিন জঙ্গির মৃত্যু হয়। ‘র্যাব’-এর দুই সদস্যও জখম হয়েছেন।
আরও পড়ুন- ভোট বানচাল চান খালেদা, দাবি ইনুর
আরও পড়ুন- বগুড়ায় ধৃত খাগড়াগড়ের জঙ্গি তালহা
ঘটনাস্থল থেকে তিনটি সুইসাইডাল ভেস্ট, দু’টি পিস্তল, না-ফাটা তিনটি ইম্প্রোভাইজড এক্সপ্লোসিভ ডিভাইস (আইইডি), ১৪টি ডেটোনেটর, চারটি পাওয়ার জেল, অন্যান্য বিস্ফোরক ও কয়েকটি বাল্ব উদ্ধার করা হয়েছে বলে ‘র্যাব’ সূত্রের খবর।
মুফতি বলেন, ‘‘বাড়িটির পঞ্চম তলা থেকে দু’টি জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি কার্ড) পাওয়া গিয়েছে। তাদের এক জনের নাম জাহিদ। ২০১৭ সালের ২৮ ডিসেম্বর জাহিদকে বাড়িটির পঞ্চম তলা ভাড়া দিয়েছিলেন বলে জানিয়েছেন বাড়িটির ম্যানেজার রুবেল। জিজ্ঞাসাবাদের জন্য বাড়ির মালিক সাবিরকে হেফাজতে নিয়েছে ‘র্যাব’।’’