পূর্নেন্দু পত্রীর কবিতার মতোই সিনেমা ‘সত্ত্বা’কে ঘিরে পাওলি দামের স্বপ্নটাও সাত রঙে রাঙানো। এই ছবিই বাংলাদেশে তার অভিনীত প্রথম ছবি। সেই ছবির সেন্সর বোর্ডের ছাড়পত্র মিলেছে কোন ছাঁটকাট ছাড়াই। পরিচালক হাসিবুর রহমান কল্লোল খবরটা জানিয়েছেন আনন্দবাজার পত্রিকাকে।
ছবিটিতে কলকাতার নায়িকা পাওলি দামের বিপরীতে আছেন ঢাকাই চলচ্চিত্রের কিং শাকিব খান। চলতি বছরের মার্চ-এপ্রিল মাসেই ছবিটি মুক্তির ইচ্ছা পরিচালকের।
মঙ্গলবার সকালে ছাড়পত্রের খবরে আনন্দিত কল্লোল আনন্দবাজারকে বললেন, ‘ খুব ভাল লাগছে, কারণ অনেক সময় নিয়ে আমি ছবিটি তৈরি করেছি। সেন্সর বোর্ড ছবিটি গত বৃহস্পতিবার দেখেছে, ছবিটির প্রশংসাও করছে। আমি চেয়েছিলাম এমন একটি ছবি নিয়ে আসতে যাতে দর্শকরা নতুন কিছু পান। আমি মনে করি দর্শক নিরাশ হবেন না।’
ছবিটি কবে মুক্তি পাবে জানতে চাইলে কল্লোল বলেন, ‘মুক্তির তারিখ এখনও ঠিক করিনি। গত ১২ জানুয়ারি সেন্সরে জমা দিয়েছিলাম, আজ (৩১ জানুয়ারি) ছাড়পত্র পেলাম। এখন চিন্তা করব কবে ছবিটি মুক্তি দেওয়া যায়। টার্গেট করেছি মার্চ-এপ্রিল’।
শাকিব খানের সঙ্গে ‘সত্ত্বা’র পোস্টারে পাওলি
কল্লোল জানিয়েছেন, ‘ছবিটি নিয়ে এরই মধ্যে সবার আগ্রহ তৈরি হয়েছে। এখন আমি ছবির মার্কেটিং পলিসি নিয়ে ভাবছি। ছবির প্রচারণার ধরন একটু ভিন্ন করতে চাই। প্রচারণায় শাকিব খান এবং পাওলি দুজনই অংশ নেওয়ার কথা রয়েছে।’
সত্তার মূল আকর্ষণ কলকাতার পাওলি দামের সাথে ঢাকাই ছবির শাকিব খান। তবে ছবির গল্পটাও কম আকর্ষণীয় নয়। সোহানী হোসেনের ‘মা’ গল্প অবলম্বনে ছবিটি তৈরি করছেন কল্লোল।
‘সত্ত্বা’র পরিচালক হাসিবুর রহমান কল্লোল
শুটিং প্রসঙ্গে কল্লোল বলেন, গত ২০১৪ সালের ১৬ নভেম্বর বিএফডিসিতে ‘সত্তা’ ছবির শুটিংয়ে অংশ নিয়েছিলেন শাকিব খান ও পাওলি দাম। এরপর শাকিবের সঙ্গে আর শিডিউল মেলানো যায়নি। ফলে বারবার পিছিয়ে গিয়েছিল ছবির কাজ। অবশেষে গত বছরের ডিসেম্বরের মাঝামাঝিতে এসে কক্সবাজারে টানা দুই সপ্তাহ শুটিং করে শাকিব ও পাওলি অংশের কাজ শেষ করা হয়।
গল্প সম্পর্কে জানতে চাইলে পরিচালক বলেন, ছবিতে শাকিব একজন মাদকাসক্ত যুবক। আর পাওলি রেখা নামের এক তরুণী। যেখানে পাওলিকে দেখা যাবে সে বিভিন্ন ঘাত-প্রতিঘাতে বড় হয়েছে। কখনো সে ফুল বিক্রেতা আবার কখনও পরিস্থিতির চাপে পতিতা।
প্রসঙ্গত, ছবির সংগীত পরিচালনা করেছেন বাপ্পা মজুমদার। নাচের কোরিওগ্রাফি করছেন স্বনামধন্য কোরিওগ্রাফার মাসুম বাবুল।
(ছবি: নিজস্ব চিত্র)