বুধবার রাতে কাতার পৌঁছেছিলেন পাইলট ফজল মাহমুদ। ছবি: সংগৃহীত
ফিনল্যান্ড সফররত বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ঢাকায় আনতে বিমান নিয়ে বুধবার রাতে কাতার পৌঁছেছিলেন পাইলট ফজল মাহমুদ। তবে তাঁর সঙ্গে পাসপোর্ট না থাকায় দোহা আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে বিমানকর্মীদের জন্য নির্ধারিত হোটেলে তিনি যেতে পারেনি। প্রশ্ন উঠেছে, পাসপোর্ট ছাড়া তিনি কী ভাবে ঢাকার বিমান বন্দর থেকে উড়ান নিয়ে গেলেন? কারণ বিদেশে যেতে গেলে পাইলটের পাসপোর্ট থাকা বাধ্যতামূলক। যদিও ফজল দাবি করেছেন, পাসপোর্ট নিতে তিনি ভুল করেছিলেন। সেই ‘ভুল’ নিয়েই গঠিত হয়েছে তদন্ত কমিটি। হাসিনাতে আনার পাইলটও বদল হয়েছে।
এর পরেই ক্যাপ্টেন ফজলের বদলে সিনিয়র পাইলট ক্যাপ্টেন আমিনুল ইসলামকে ওই বিমানের দায়িত্ব দেওয়া হয়। আগামী কাল শনিবার সকালে ঢাকার হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে শেখ হাসিনার নামার কথা। এই বিষয়ে ফজল মাহমুদ জানিয়েছেন, পাসপোর্ট ছাড়া তিনি কাতার পৌঁছলেও দোহার হামাদ ইন্টারন্যাশনাল বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ তাঁকে আটক বা জিজ্ঞাসাবাদ করেননি। তাঁর দাবি, হামাদ ইন্টারন্যাশনাল এয়ারপোর্টের ভিতরে তিনি একটি হোটেলে ছিলেন।
অন্য দিকে, পাসপোর্ট না নিয়ে যাওয়ার কারণে ক্যাপ্টেন ফজল মাহমুদকে আটক করেছেন কাতার ইমিগ্রেশন কর্তৃপক্ষ এই ‘খবর’ পেয়ে বাংলাদেশের মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের তরফে তদন্ত কমিটি করা হয়েছে। ঘটনাটি অনাকাঙ্ক্ষিত বলে তাঁরা জানিয়েছেন। পাশাপাশি, ওই ক্যাপ্টেন কী ভাবে পাসপোর্ট ছাড়াই ঢাকার হজরত শাহজালাল বিমানবন্দর ছেড়ে বেরোলেন তা নিয়ে সেখানকার ইমিগ্রেশন কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে কর্তব্যে অবহেলার অভিযোগ এনে তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। চার সদস্যের এই কমিটির আহ্বায়ক করা হয়েছে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের অতিরিক্ত সচিব মোসাম্মৎ নাসিমা বেগমকে।
নিয়ম অনুযায়ী বাংলাদেশের যে কোনও আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে বিমান ওড়ার আগেই পাইলট এবং বিমানকর্মীদের একটি ফর্ম পূরণ করতে হয়। সেখানে পাসপোর্ট নম্বর, জন্মতারিখ, গন্তব্য-সহ প্রয়োজনীয় তথ্য উল্লেখ করতে হয়। প্রত্যেকের সঙ্গেই পাসপোর্ট রাখা বাধ্যতামূলক। বিমানটি অন্য দেশে পৌঁছনোর পর সেই দেশের বিমানবন্দরে পাসপোর্ট দেখিয়ে বাইরে বার হতে হয় পাইলট ও বিমান কর্মীদের।
আরও পড়ুন: মোদী ফিরতেই তিস্তা নিয়ে তাগাদা ঢাকার
বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের তরফে শাকিল মেরাজ জানিয়েছেন, পাসপোর্টবিহীন থাকার কারণে ফজল মাহমুদকে কাতার ইমিগ্রেশন কর্তৃপক্ষ আটক করেননি। এই বিষয়ে ভুল তথ্য এসেছে। বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের ক্যাপ্টেন ফজল মাহমুদ গত ৩০ বছর ধরে বিমান চালাচ্ছেন। দীর্ঘ অভিজ্ঞতার কারণে তাঁকে ভিভিআইপি ফ্লাইটের দায়িত্ব দেওয়া হয়।