এখনও আগুন জ্বলছে।
দূর থেকেই জল দিয়ে যাচ্ছে দমকল বাহিনী। বাংলাদেশের টঙ্গীতে টাম্পাকো কারখানার ভিতরে এখনও আগুন জ্বলছে। এখনও ভিতরে ঢুকতে পারেননি দমকলকর্মীরা। ফলে ভিতরে কোনও মৃতদেহ রয়েছে কিনা, বা থাকলেও কত জনের তা এখনও স্পষ্ট নয় কারও কাছেই।
ফায়ার সার্ভিসের পরিচালক (উন্নয়ন ও প্রশিক্ষণ) মোশারফ হোসেন বলেছেন, “আগুন নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। তবে পুরোপুরি নেভাতে দরকার আরও সময়। আমরা কাজ করে যাচ্ছি। ভবনটি ঝুঁকিপূর্ণ হওয়াতে এর ভেতরে এখনই প্রবেশ করা যাচ্ছে না। তবে ভিতরে জল দেওয়া হচ্ছে।”
ধ্বংসস্তূপের ভিতরে আরও মানুষ আছে কি নেই তা স্তূপ না সরালে জানা যাবে না বলে জানিয়েছেন ফায়ার সার্ভিসের এই কর্মকর্তা। রবিবার সকালে ও দুপুরেও ধসে যাওয়া ভবনের ভেতরে আগুন ও ধোঁয়া দেখা গেছে।
ভবনটির যে পাশের অংশ রাস্তায় ধসে পড়েছে সেখান থেকে উৎকট গন্ধ বের হচ্ছে। স্থানীয়রা জানিয়েছেন, এই সড়কটিতে সব সময় অংসখ্য রিকশা থাকে। গতকাল এই সড়কে এক রিকশাচালক ও দুই যাত্রী নিহত হয়েছেন। তাঁদের উপর বাড়ির ছাদ ও এরিয়া দেয়ালের অংশ ধসে পড়েছিল।
সকালে শিল্পমন্ত্রী আমির হোসেন আমু ঘটনাস্থল পরিদর্শন শেষে বলেন, “গ্যাসের লিকেজ থেকে বিস্ফোরণ ঘটেছে। আমরা সারাদেশের শিল্প কারখানার অগ্নি নির্বাপক ব্যবস্থা আরও নিরাপদ করার জন্য কাজ করছি।”
গতকাল, শনিবার ভোর ৬টা নাগাদ টঙ্গীর শিল্প এলকার টাম্পাকো ফয়েলস লিমিটেডে বিস্ফোরণের পর অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। এসময় পাঁচতলা ভবনটি ধসে পড়ে। এ ঘটনায় এখন পযন্ত ২৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। আহত হয়েছেন জনা পঞ্চাশেক মানুষ। দশ শ্রমিকের খোঁজ পাওয়া যাচ্ছে না।
(সৌজন্য বাংলা ট্রিবিউন)