বিমান থেকে নেমে ট্রেন ধরে সিরাজগঞ্জের বাড়ি যাচ্ছিলেন। কিন্তু, যাওয়া হয়ে উঠল না। খুন হয়ে গেলেন পথেই। ঢাকার কাছে গাজীপুরে রেললাইনের পাশ থেকে মালয়েশিয়া প্রবাসী সফিকুল ইসলামের দেহ উদ্ধার করা হয়েছে মঙ্গলবার সকালে। এলাকাবাসীরা রেললাইনের পাশে ট্রেনে কাটা দেহ দেখে পুলিশে খবর দেন। পরে পুলিশ গিয়ে দেহটি উদ্ধার করে।
পুলিশের ধারণা, মালপত্র ছিনিয়ে নিয়ে ট্রেন থেকে ফেলে দেওয়াতেই সফিকুল ইসলামের (৩৫) মৃত্যু হয়েছে।
টঙ্গী রেলওয়ে ফাঁড়ির এএসআই দেলোয়ার হোসেন জানান, মঙ্গলবার সকালে সিটি কর্পোরেশনের হায়দরাবাদ এলাকায় ঢাকা-ময়মনসিংহ রেললাইনের পাশ থেকে তাঁর লাশটি উদ্ধার করা হয়। সফিকুলের লাশের পাশে একটি ব্যাগ পাওয়া গিয়েছে। সেখানে তার স্ত্রীর পাসপোর্টও পাওয়া গিয়েছে। ওই এএসআই বলেন, “প্রাথমিক তদন্তে মনে হচ্ছে, ছিনতাইকারীরা সফিকুলের সঙ্গে থাকা মালপত্র ছিনিয়ে নিয়ে তাকে ট্রেন থেকে ফেলে দেয়। এর ফলে মাথায় আঘাত লেগে তাঁর মৃত্যু হয়েছে।”
পরে লাশের সঙ্গে থাকা পাসপোর্টের সূত্র ধরে সফিকুলের পরিচয় জানা যায় এবং তার পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করে পুলিশ।
গাজীপুর সিটি কর্পোরেশনের ওয়ার্ড কাউন্সিলর মাকসুদুল হাসান বিল্লাল জানান, সফিকুল সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলার মাজুআইল গ্রামের বাসিন্দা। ২০০৭ সালে চাকরি নিয়ে তিনি মালয়েশিয়ায় যান। পরে সিতি হাজার বিনতি নামে এক মালয়েশীয় তরুণীকে তিনি বিয়ে করেন।
সফিকুলের মা রাজু বালা বেগমকে উদ্ধৃত করে বিল্লাল বলেন, ‘‘স্ত্রীর জন্য কাগজপত্র তৈরি করতে সোমবার দেশে আসেন সফিকুল। ঢাকায় নামার পর বিমানবন্দর স্টেশন থেকেই ট্রেনে করে সিরাজগঞ্জে রওনা হন।’’ এর পর সকালে গাজীপুরে রেললাইনের পাশে স্থানীয়রা তার লাশ দেখতে পেয়ে বিল্লালকে খবর দেয়। পরে বিল্লাল খবর দেন থানায়।
আরও পড়ুন: নারায়ণগঞ্জে সাত খুনে ২৬ জনের ফাঁসির আদেশ