ঢাকার কুমারী পুজো।— নিজস্ব চিত্র।
সাত বছরের রূপকথা চক্রবর্তীকে কুমারী প্রতিমা করে তাতে জগজ্জননীর উদ্দেশে অঞ্জলি দিল ঢাকার রামকৃষ্ণ মিশনের পূজার্থীরা। বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকাতে অনুষ্ঠিত ২৩১টি পুজোর মধ্যে একমাত্র গোপিবাগের রামকৃষ্ণ মিশনে অনুষ্ঠিত হল এই পুজো। যদিও সারা দেশের আরও কয়েকটি রামকৃষ্ণ মিশনেও মহা আড়ম্বরে অনুষ্ঠিত হয়েছে মাতৃজ্ঞানে কুমারী পুজা।
আরও পড়ুন, ফেসবুক লাইভ @ বাগবাজার সর্বজনীন
শারদীয় দুর্গাপূজার সবচেয়ে আকর্ষণীয় ও জাঁকজমকপূর্ণ দিন মহাঅষ্টমীতে এই কুমারী পুজো ঘিরে রামকৃষ্ণ মিশনগুলিতে ছিল পূজার্থীর ঢল। ঢাকার রামকৃষ্ণ মিশনে পুজো শুরু হয় বেলা ১১টার কিছু পরে। এ বারের মাতৃজ্ঞানে পূজা পাওয়া রূপকথা চক্রবর্তীর শাস্ত্রীয় নাম মালিনী, সে ক্লাস ওয়ানে পড়ে।
সকাল থেকে রামকৃষ্ণ মিশনে কুমারী পুজো করতে আসা ভক্তের উপচে পড়া ঢল নামে। উলুধ্বনি, শঙ্খ, কাঁসর, ঢাকের বোলে মুখর হয়ে ওঠে এ সময় রামকৃষ্ণ মিশনের পূজামণ্ডপ। একই সঙ্গে দেবীকে আসন, বস্ত্র, নৈবেদ্য, স্নানীয়, পুষ্পমাল্য, চন্দন, ধূপ ও দীপ দিয়ে পূজা অর্চনা ও পুষ্পাঞ্জলি দেন ভক্তেরা।
আরও পড়ুন, ফেসবুক লাইভ @ কুমারী পুজো
কুমারী মা ‘মালিনী’ লাল টুকটুকে বেনারসি পরে ভক্তের পূজো পেতে মণ্ডপে আসেন। শুরুতেই গঙ্গাজল ছিটিয়ে ‘কুমারী মা’কে পরিপূর্ণ শুদ্ধ করে তোলা হয়। এর পর চরণযুগল ধুয়ে তাকে অর্ঘ্য প্রদান করা হয়।
কুমারী পুজোর ১৬টি উপকরণ দিয়ে এর আনুষ্ঠানিকতা সূত্রপাত। এর অগ্নি, জল, বস্ত্র, পূষ্প ও বাতাস এই পাঁচ উপকরণে দেয়া হয় ‘কুমারী’ মায়ের পূজা। অর্ঘ্য প্রদানের পর দেবীর গলায় পরানো হয় পুষ্পমাল্য। পুজো শেষে প্রধান পূজারি দেবীর আরতি দেন এবং তাকে প্রণাম করেন। সবশেষে পূজো মন্ত্র পাঠ করে ভক্তদের মাঝে চরণামৃত বিতরণের মধ্য দিয়ে পুজো শেষ হয়। কুমারী পুজোর শেষে সাত বছর বয়সী কুমারী, রূপকথা বলে, ‘‘আমার খুব আনন্দ হচ্ছে। সবার যেন কল্যাণ হয়।’’