পাবনা জেলার ঈশ্বরদীর রূপপুর , ছবি-নিজস্ব চিত্র
বাংলাদেশের রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র নিমার্ণ প্রকল্পে রাশিয়ার পর এ বার যুক্ত হবে ভারতও। বিদ্যুকেন্দ্রটি তৈরি, পরিচালনা ও তদারকিতে ভারতের অভিজ্ঞ সংস্থার সহযোগিতা ও পরামর্শ নিতে দু’টি চুক্তি করবে বাংলাদেশ।
ভারতের পারমাণবিক শক্তি কমিশনের সঙ্গে বাংলাদেশের পরমাণু শক্তি কমিশনের চুক্তি দু’টি অনুমোদনের জন্য রবিবার মন্ত্রিসভার বৈঠকে আলোচনা করা হয়েছে। বাংলাদেশের মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ সূত্রে এ খবর জানা গিয়েছে। বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয় সূত্রে খবর, পাবনা জেলার ঈশ্বরদীর রূপপুরে ১২০০ মেগাওয়াটের দু’টি ইউনিটে ২৪০০ মেগাওয়াট ক্ষমতার পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণের কাজ চলছে। এটাই দেশের প্রথম পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র। বর্তমানে এ প্রকল্পের প্রথম পর্যায়ের কাজ চলছে। এ বছরের মধ্যেই প্রথম পর্বের কাজ শেষ হবে। আগামী বছর থেকে প্রকল্পের মূল কাজ শুরু হবে। পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রটি নির্মাণে কাজ করছে রাশান ফেডারেশনের ঠিকাদারি সংস্থা ‘এটমস্ট্রয় এক্সপোর্ট’।
বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয় মন্ত্রিপরিষদে জানায়, পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণ ও পরিচালনার বিষয়ে বাংলাদেশ অটোমিক এনার্জি কমিশন (বিএইসি)-এর কোনও অভিজ্ঞতা নেই। তাই বিদ্যুৎকেন্দ্রের নির্মাণ কাজ যথাযথ ভাবে তদারকি করে সুষ্ঠু ভাবে শেষ করতে সংশ্লিষ্ট কাজে অভিজ্ঞ ভারতীয় সংস্থার সহায়তা প্রয়োজন। তারা আরও জানিয়েছে, পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণের কাজে রেগুলেটরি কমপ্লাইন্স এবং মনিটরিং অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এ জন্য ২০১৩ সালে ‘বিএইআরএ’ প্রতিষ্ঠা করা হয়। নতুন প্রতিষ্ঠান হিসেবে বিএইআরএ-এর কোনও পূর্ব অভিজ্ঞতা নেই। এর মধ্যে ‘বিএইআরএ’ রাশান ফেডারেশনের রেগুলেটরি অথরিটির সহায়তায় রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ প্রকল্পের সাইটিং লাইসেন্স ইস্যু করেছে। বর্তমানে ডিজাইন ও কনস্ট্রাকশন লাইসেন্স ইস্যুর বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। ভবিষ্যতে বিএইআরএ কর্তৃক এ বিদ্যুৎকেন্দ্রের অপারেশন লাইসেন্সও ইস্যু করতে হবে। এসব বিষয়ে অভিজ্ঞ রাশান রেগুলেটরি অথরিটির পাশাপাশি অন্য অভিজ্ঞ রেগুলেটরি অথরিটির সহায়তা নেওয়া প্রয়োজন।
চুক্তি দু’টি অনুমোদন পেলে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পরবর্তী ভারত সফরে তা সই হতে পারে বলে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ সূত্রে জানা গিয়েছে।
আরও পড়ুন- এ বছর বিদেশ যাবেন ৮ লাখ বাংলাদেশি কর্মী