হুসেইন মহম্মদ এরশাদ।—ফাইল চিত্র।
নির্বাচনে সর্বাত্মক জয়ের পরে এ বারেও ‘গৃহপালিত বিরোধী দল’ নিয়েই সরকার চালাবেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ক্ষমতাসীন মহাজোটের শরিক হিসাবে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করলেও হুসেইন মহম্মদ এরশাদের জাতীয় পার্টি ভোটের পরে জানায়, তারা বিরোধী দলের ভূমিকা নেবে। তাদের সংসদীয় দলের নেতা প্রাক্তন সেনাশাসক এরশাদকেই আজ বিরোধী দলনেতার স্বীকৃতি দিয়েছেন সংসদের নবনির্বাচিত স্পিকার শিরিন শরমিন চৌধুরী। উপনেতা হচ্ছেন এরশাদের ভাই প্রাক্তন মন্ত্রী গোলাম মহম্মদ কাদের।
২০১৪-র নির্বাচনে বিএনপি অংশ না-নেওয়ায় ক্ষমতাসীন জোটের শরিক হিসাবে নির্বাচনে অংশ নিয়েও সংসদে বিরোধীর ভূমিকা নেয় এরশাদের দল। তবে একই সঙ্গে মন্ত্রিসভাতেও ছিল তারা। বিরোধী নেত্রী ছিলেন এরশাদ-পত্নী রওশন এরশাদ। এরশাদ ছিলেন মন্ত্রী পদমর্যাদায় প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ প্রতিনিধি। তখনই ‘গৃহপালিত বিরোধী দল’ হিসেবে পরিচিতি পায় জাতীয় পার্টি। বিধি অনুযায়ী বিরোধী দলনেতা এরশাদ এ বারেও পূর্ণমন্ত্রীর মর্যাদা পাবেন। জি এম কাদের পাবেন প্রতিমন্ত্রীর মর্যাদা।
প্রার্থীর মৃত্যুতে যে গাইবান্ধা-৩ আসনে নির্বাচন স্থগিত ছিল, সেটি হবে ২৭ জানুয়ারি। কিন্তু ওই আসনের বিএনপি প্রার্থী মইনুল হাসান আজ নাম প্রত্যাহার করে বলেন, ‘‘আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও জনপ্রশাসনের সহায়তায় ভোটকেন্দ্র দখল, আগের রাতেই ব্যালট বাক্স ভর্তি-সহ আওয়ামি লিগের পক্ষে ভোট ডাকাতির মহোৎসব হয়েছে। বিএনপি তাই নির্বাচনে অংশ নিচ্ছে না।’’ বাম গণতান্ত্রিক জোট ও ইসলামি আন্দোলনের প্রার্থীরাও একই অভিযোগে সরে দাঁড়িয়েছেন।