খালেদা জিয়ার পুত্র তারেক রহমান।
প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার পুত্র তারেক রহমানকে লন্ডন থেকে দেশে ফেরাতে ব্রিটিশ সরকারের কাছে দরবার করছে বাংলাদেশ সরকার। কমনওয়েলথ শীর্ষ সম্মেলন (চোগাম)-এ অংশ নিতে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা লন্ডনে গিয়ে এ খবর জানানোর পরে তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছে খালেদার দল বিএনপি।
জিয়া অনাথালয় তহবিল দুর্নীতি মামলায় খালেদা জিয়া জেলে যাওয়ার আগে বিএনপির অস্থায়ী চেয়ারম্যানের দায়িত্ব দিয়ে যান ছেলে তারেককে। তিনিই লন্ডন থেকে দল চালাচ্ছেন। কিন্তু একই মামলায় তারেককেও ১০ বছর কারাদণ্ড দিয়েছে আদালত। খালেদা জিয়া সরকারের মেয়াদ শেষ হওয়ার পরে সেনা নিয়ন্ত্রিত তত্ত্বাবধায়ক সরকার বিভিন্ন দুর্নীতির মামলায় তারেককে গ্রেফতার করে। জামিনে মুক্তি পেয়ে ২০০৮-এ তিনি সপরিবার লন্ডনে যান। বছর দুই আগে দেশ থেকে অর্থ পাচারের একটি মামলায় তারেকের দু’বছরের জেল হয়েছে। তার পরে জিয়া অনাথালয় তহবিল মামলাতেও কারাদণ্ড হয়েছে। তারেকের বিরুদ্ধে আরও প্রায় এক ডজন মামলা চলছে। মঙ্গলবার লন্ডনে একটি অনুষ্ঠানে প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘‘তারেক আদালতে দণ্ডিত ব্যক্তি। আমরা তাঁকে দেশে ফিরিয়ে আদালতের মুখোমুখি করতে চাই। এ ব্যাপারে আমরা ব্রিটিশ সরকারের সঙ্গে আলোচনা করছি।’’ প্রধানমন্ত্রীর কথায়— ‘‘ব্রিটেনের দরজা সবার জন্য খোলা। কিন্তু এক জন দণ্ডিত লোককে কী ভাবে তারা আশ্রয় দেয়?’’
প্রধানমন্ত্রীর এই ঘোষণার পরে বুধবার বিএনপি-র সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভি অভিযোগ করেন, সরকার তারেককে নিশানা করেছে। প্রধানমন্ত্রী প্রতিহিংসা চরিতার্থ করছেন। তিনি বলেন, ‘‘প্রকৃত বিচার নয়— দেশে আওয়ামি বিচার হচ্ছে, শেখ হাসিনার বিচার হচ্ছে। বিচারকরা কখনও ন্যায়ের পক্ষে রায় দিলে আর দেশে থাকতে পারেন না। মালয়েশিয়ায় পালিয়ে যেতে হয়।’’ রিজভি অভিযোগ করেন, খালেদা ও তারেককে ‘সাজানো মামলা’-য় দণ্ড দেওয়া হয়েছে। তাঁর কথায়, ‘‘ব্রিটেনে মানবিক মূল্যবোধ আছে।’’