আটক করা সাড়ে ১৩ মণ সোনা আর ৪২৭ গ্রাম হিরের সবই অবৈধ। আটকের পর বৈধ কাগজপত্র দেখানোর জন্য বাংলাদেশের অলঙ্কার ব্যবসায়ী সংস্থা আপন জুয়েলার্সকে সময় দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু তাদের পক্ষ থেকে গত ২০ দিনেও এই বিষয়ে কোনও বৈধ কাগজপত্র দেখানো সম্ভব হয়নি। ফলে সমস্ত সোনা আর হিরে পাঠিয়ে দেওয়া হল বাংলাদেশ ব্যাঙ্কে।
গত ১৪ ও ১৫ মে ঢাকার গুলশন ডিসিসি মার্কেট, গুলশন এভিনিউ, উত্তরা, সীমান্ত স্কোয়্যার ও মৌচাকে আপন জুয়েলার্সের পাঁচটি শো-রুমে অভিযান চালিয়ে ওই বিপুল পরিমাণে সোনা আর হিরে আটক করে বাংলাদেশ শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদফতর। এর দাম প্রায় ১৭৯ কোটি টাকা। আজ রবিবারে শুল্ক গোয়েন্দা অধিদফতরের মহাপরিচালক মইনুল খান সংবাদমাধ্যমকে জানান, 'রোববার সকাল ৯টায় ঢাকা কাস্টমস হাউসের মাধ্যমে স্বর্ণালঙ্কারগুলো বাংলাদেশ ব্যাঙ্কের কাছে হস্তান্তর করা হয়। আপন জুয়েলার্সের পাঁচটি শোরুম থেকে সেগুলো জব্দ করা হয়েছিল।'
এর মধ্যে আত্মপক্ষ সমর্থনে আপন জুয়েলার্স কর্তৃপক্ষকে মোট তিনবার এই বিষয়ে শুনানির সুযোগ দেওয়া হয়। কিন্তু তারা এই সোনা ও হীরার কোনো বৈধ কাগজ দেখাতে পারেনি।
ঢাকার বনানীর দুই ছাত্রীকে ধর্ষণের মামলার প্রধান আসামি সাফাত আহমেদের পিতা দিলদার আহমেদ আপন জুয়েলার্সের মালিকদের অন্যতম।
আরও পড়ুন: স্ত্রীকে খুন করে কবরের পাশেই আত্মহত্যা স্বামীর