বিজয় গোখলে।
ভারত এবং বাংলাদেশের মধ্যে এখন ‘স্বর্ণযুগ’ চলছে। তিন দিনের ঢাকা সফরে এসে আজ এ কথা জানালেন ভারতের বিদেশসচিব বিজয় গোখলে।
দায়িত্ব পাওয়ার পর প্রতিবেশী রাষ্ট্রগুলিতে সফর শুরু করেছেন বিদেশসচিব। মোদী সরকারের বিদেশনীতিতে এই মুহুর্তে সবচেয়ে দুর্বল স্থান হল প্রতিবেশী-বলয়, এমনটাই মনে করছে কূটনৈতিক শিবির। চলতি প্রেক্ষিতে ভারতের বন্ধু শেখ হাসিনা-সরকারের উপর ভারতের নির্ভরতা তাই ক্রমশই বাড়ছে নয়াদিল্লির। অভ্যন্তরীণ রাজনৈতিক মতপার্থক্যের কারণে তিস্তা চুক্তি সম্পন্ন করা যাচ্ছে না ঢাকার সঙ্গে। কিন্তু তা না গেলেও রোহিঙ্গা সমস্যা সমাধানে হাত লাগানো, রাখাইন প্রদেশের উন্নয়ন, বিভিন্ন যৌথ প্রকল্পে ঋণদানের মত বিষয়গুলি নিয়ে আগামী কয়েক মাসে সক্রিয়তা বাড়ানোর পরিকল্পনা চলছে সাউথ ব্লকের। আজ সে দেশের ‘ইনস্টিটিউট অব পলিসি অ্যাডভোকেসি অ্যান্ড গভর্নেন্স’(আইপিজি)-এর উদ্যোগে ভারত-বাংলাদেশ সম্পর্ক সংক্রান্ত একটি আলোচনাচক্রে বিজয় গোখলে আরও জানান, দক্ষিণ এশিয়ার উন্নয়নের প্রশ্নে বাংলাদেশ এক প্রধান চালিকাশক্তি। ভারত যে ঢাকার পাশে থাকতে চায় তা স্পষ্ট করে বিদেশসচিব বলেছেন, গত কয়েক বছরে দু’দেশের মধ্যে যে চুক্তি এবং যৌথ প্রকল্পগুলি ঘোষিত হয়েছে তাতে ভারত এবং বাংলাদেশ উভয়েই লাভবান হবে।
গত কাল সে দেশের গণমাধ্যমের প্রতিনিধিদের সঙ্গে একটি বৈঠক করেছেন গোখলে। সেখানে রোহিঙ্গা সমস্যা নিয়ে সরব হয়েছেন তিনি। জানিয়েছেন, মায়ানমারকে রোহিঙ্গা সঙ্কটমোচনের জন্য ইতিমধ্যেই অনুরোধ করেছে ভারত। বিষয়টি নিয়ে নয়াদিল্লিও একই ভাবে চিন্তিত। তিস্তা চুক্তি রূপায়ণ নিয়ে সংশ্লিষ্ট রাজ্যের (পশ্চিমবঙ্গ) সঙ্গে আলাপ আলোচনা আরও বাড়াতে হবে বলে জানিয়েছেন তিনি। বাংলাদেশের বিদেশসচিব ছাড়াও সে দেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গেও সাক্ষাৎ করেছেন ভারতীয় বিদেশসচিব। মঙ্গলবার সকালে ভারতে ফিরছেন তিনি।